সত্তর এবং আশির দশকে দেখেছি ছাত্রসমাজ বিভিন্ন উৎস থেকে গল্প উপন্যাস কবিতার বই ছড়ার বই ইতিহাস বই বিজ্ঞান বই ইত্যাদি ক্রয় করে, যোগার করে, বিভিন্ন পাঠাগারে গিয়ে পড়তো। শিক্ষিত জনতাও তাই করতো। এর ফলে বিদ্যমান সরকারি বেসরকারি পাঠাগা্রগুলি প্রচুর বই ক্রয় করতো, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও তাদের লাইব্রেরির জন্য প্রচুর বই ক্রয় করতো। এ ছাড়া জনগণের পড়ার সুবিধার্থে পাড়ায় পাড়ায় নতুন নতুন পাঠাগার সৃষ্টি হতো । তারাও বই ক্রয় করতো । সমাজের অনেকেই বই ক্রয় করার জন্য পাঠাগারগুলিকে অর্থ দান করতো। ফলশ্রুতিতে লেখকগণ এবং বই প্রকাশকগণ যেমন উপকৃত হতো তেমনি ছাত্র জনতা জ্ঞান অর্জন করতো, তাদের অবসর সময় কাটাতো । আজে বাজে কাজে জড়িয়ে পড়তো না । সমাজে অপরাধ প্রবনতা কম ছিলো । কিন্তু দুঃখের বিষয় নব্বই-এর দশক থেকে তারা বই পড়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে । তাদের বেশির ভাগই মন দিচ্ছে অন্য কাজে । অপরাধ প্রবনতার দিকে । আর কম ভাগ ই-বই পড়ছে । আমি ই-বই পড়ার বিপক্ষে নই । ই-বইও পড়ার প্রয়োজন আছে । কিন্তু সাথে সাথে কাগজের বইও অবশ্যই পড়া প্রয়োজন । কাগজের বই পড়ার মজাই আলাদা । সকলকে নিয়মিত বই পড়ার বিশেষ করে কাগজের বই পড়ার দিকে আকৃষ্ট করার জন্য আমাদেরকেই কাজ করতে হবে । আমি মনে করি সবাই যদি তাদের অবসর সময়ে বই পড়ে তাহলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি মনও অপরাধ প্রবনতার দিকে জোঁকবে না ।
এখনই সময় । সবাই মিলে বই কেনা বই পড়া বিষয়ে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার । সমাজ ও দেশের স্বার্থে সবাই এগিয়ে আসবেন এই প্রত্যাশা ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১৫