সরকারের কাছে ফেসবুক হইল অনেকটা পিপড়ার মতো। পিপড়া কামড়াইলে সাধারণত মানুষ মরে না কিন্তু বিরক্ত হয়।
ফেসবুকে লোকে সারাদিন সরকারের সমালোচনা করে বলে সরকার অনেকদিন ধরেই খুব বিরক্ত ছিল। সরকার অন্য সকল যোগাযোগ মাধ্যম নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে, সংবাদপত্র, টেলিভিশন সবকিছুই সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, যতটুকু সমালোচনা হয় তা মাত্রা ছাড়ায় না। সব সময় একটা ব্যালেন্স থাকে- একজন সরকার বিরোধী থাকলে আরেকজন সরকার মনোনিত আলোচক থাকে। সরকারের বিপক্ষে একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হলে পক্ষেও একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
কিন্তু একমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সরকারের এরকম এবস্যুলিউট নিয়ন্ত্রণ নাই।
সরকার হয়তো দীর্ঘদিন ধরেই ফেসবুক বন্ধ করা বা নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ খুতেছিল। ফাসীর রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতার আশংকাকে কাজে লাগিয়ে ঝোপ বুঝে কোপটা মেরে দিল। লোকেও বিনা প্রশ্নে মেনে নিল। এখন সরকার মজা পেয়ে গেছে। খুব সহজে খুলবে না ফেইসবুক।
অথোরিটারিয়ান সরকার কর্তৃক ফেসবুক বন্ধ করা নতুন কিছু না- চীন, সিরিয়া, ইরান বহু দিন ধরেই এই কাজটা করছে। চীন সিরিয়া ইরানের কাতারে যাওয়ার জন্য আমাদের গর্ব বোধ করা উচিত হয়তো।
চাইলে ভিপিএন বা প্রক্সি ব্যাবহার করে ঢোকা যায়। কিন্তু ভালো লাগে না, মনে হয় বেশির ভাগ মানুষ যা অবাধে ব্যবহার করতে পারছে না সেটা ঘুর পথে ব্যাবহার করে কি হবে!
সরকার নিরাপত্তার অযুহাতে নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, আর আমরা কয়েকজন ভিপিএন বা প্রক্সি ব্যাবহার করে ফেসবুকে ঢুকতে পেরে শ্লাঘা বোধ করছি, সরকারের অন্যায় মেনে নিচ্ছি।
তাই অনেক দিন পরে ব্লগে পোষ্ট দিলাম.. কথাগুলো শেয়ার করলাম..
এক সময় ব্লগে ঢুকতে যেমন ভালো লাগতো না, এখন ফেসবুকে ঢুকতে ভালো লাগছে না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১