somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিক বর্তমান সভ্যতা কওমী মাদরাসার বিজ্ঞানীদের অবদানে গড়া...(উৎসর্গ: ব্লগার নূরানী নূর কে )

৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কওমী শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন যে ওআইসি ইসলামী নোবেল দিতেছে না আমি সেটার কারন খুজে পাইনা। কওমী শিক্ষা ব্যবস্থার মত অতি উন্নত একটা ব্যবস্থা থাকিতে মানুষ বেকুপের মত আংরেজী পড়ে।এখনই সবাইকে কওমী মাদরাসায় ভর্তি হয়ে মেডিকেল ও ইনজিনিয়ারিং কে লাথি মারা উচিত। কি আছে মেডিকেলে ? কি আছে প্রকৌশলে ? আমাদের কওমী মাদরাসা গুলো হালজামানার ডাক্তার ইন্জিনিয়ারদের চাইতে অনেক ভালো হেকীম এবং রাজমিস্ত্রি তৈরী করেছে? মানুষ বুঝতে চায়না যে নাজিরহাট বড় মাদরাসা , হাটহাজারী মাদরাসা ,লালবাগ মাদরাসা , পটিয়া মাদরাসার বিল্ডিংগুলো তো কওমী সিভিল ইন্জিনিয়াররা তৈরী করেছে। পৃথিবীর অনেক কওমি বিজ্ঞানী বিদ্যুৎ আবিষ্কার করিয়া আমাদের সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়েছেন। ধন্যবাদ কওমী মাদরাসার বিজ্ঞানীদেরকে। ক্লোস আপ ওয়ান আপনাদের কেই খুজছে।

পোষাক শিল্পে কওমী মার্চেন্ডাইজারদের অবদান :

আমাদের কওমী মাদরাসা সংষ্লিষ্ট অনেকেই লম্বা পানজাবী পড়ে থাকেন । এটি পোষাক শিল্পের ব্যবসায়ীদের জন্য উপকারী । কওমী মাদরাসার ফ্যাশন সচেতন আলেম উলামা পীর মাশায়েখ গন এম্ব্রয়ডারী করিয়া পানজাবী পড়ার কারনে এটি পোষাক শিল্প সংশ্লিষ্ট অনেকের উপকারের পাশাপাশি দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে চরম সহায়ক হয়েছে। বায়িং হাউজগুলো অযথা আংরেজী জানা লোক নিয়োগ করে আমেরিকায় পোষাক রপ্তানী করে ঈমানের সাথে এক চরম সাংঘর্ষিক বিষয় এর সুচনা করেছে। এতে দেশপ্রেম ধুলায় ভুলুন্টিত হয়েছে। কওমী বিজ্ঞানীগন মাদরাসায় যে আরবী ,ফারসী ,উর্দু ভাষা শিক্ষা অর্জন করে এই পৃথিবীর উন্নতি এবং এবং বাংলাদেশকে একটি মিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র করে ফেলেছেন তারই সুত্র ধরে তৈরী পোষাক শিল্প কে বাচিয়ে রাখার জন্য তারা পাকিস্তান ইরান আরবদেশে পোষাক রপ্তানীর মত কাজটি অনায়াসে করতে পারতেন। কিন্তু জ্ঞান অর্জনের মহান ব্রত নিয়ে ওনারা অন্যভাবে দেশ ও বিশ্ব উন্নতিতে অবদান রাখছেন ঈর্ষনীয়ভাবে।


স্থাপত্য শিল্পে অবদান:

উইকিপিডিয়ার এই ঠিকানায় স্থাপত্য মহাবিদ্যার যে হিসটোরি আছে ইহা পৃথিবীর সেরা মিথ্যাচার ।
Click This Link

ক্যাটাগরী: Skyscraper স্ট্রাকচার: Burj Khalifa দেশ: United Arab Emirates শহর: Dubai উচ্চতা মিটারে: 829.84 উচ্চতা ফুটে: 2,722.57 তৈরী সাল :2010 ।

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে , দুবাইয়ের এই পৃথিবী সেরা বিল্ডিংটা কওমী সিভিল ইন্জিনিয়ারদের অবদান্ । আমরা স্থাপত্য কর্মের আর কোন কাজে আপাতত অংশগ্রহন না করে এগুলো ইহুদী নাসারাদের জন্য আমরা ছেড়ে দিয়েছি। আমরা বেহেস্তবাসী হতে চাই। তাই বিল্ডিং বানানোর মত অযথা কাজ আমরা করতে চাচ্ছিনা। আমাদের সেবা দাস খ্রিষ্টান এবং ইহুদীরা এগুলো করবে আর আমরা তার ভিতরে হান্দাইয়া বালাগাত মানতিক আর ১৪০০ বছর পূর্বের ইমরুল কায়েস এর কবিতা আর উর্দু ফারসী আরবী শিখব শুধু। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীরা আমাদের মা বোনদের সেক্স বিষয়ক চাহিদা পুরন করেছে বিধায় উর্দু ভাষা আমাদের শিখতে হবেই।আঙরেজী একটা কুফরী ভাষা ।মুসলমানদের মধ্যে যারা ইংরেজ দেশে আছে তারা মুসলিম দেশে চলে আসতে হবে । বুখারী শরীফের ঢালে মানে বাইরে এটা কি গায়েবী লেখা নাই? আমেরিকায় যারা থাকে হেরা তো মুসলমান না ।সাচ্চা মুসলমান হল কওমী বিজ্ঞানী গন।

যে পারস্য সাম্রাজ্য বাদীরা এদেশে এসে সালাতকে নামাজ বলাইল , সাওমকে রোযা বলাইল , আল্লাহকে খো্দা বলাইল তাদের ভাষা না শিখে আমরা নিমক হারাম হইতে পারি না। তাই আংরেজী থেকে আমরা বেচে থাকি। আঙরেজি জানা হারাম এবং আংরেজি জানার ট্রাই করলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের মধ্যে একটি জিহাদী দৃঢ় ঈমানী চেতনা বাগ্মীতা আকারে বের হয়। তাই আপনারা কওমি শিক্ষাব্যবস্থার বিজ্ঞানীগন কে এপিজে আবদুল কালামের মত প্রেসিডেন্ট বানানোর প্রয়োজন কেন অনুভব করছেন না???

কম্পিউটারে কওমী বিজ্ঞানীদের অবদান:

আপনারা জানেন কওমি শিক্ষাব্যবস্থা আরবী মাধ্যমে। বাঙলাদেশে থাকিয়া ও আমরা হাটহাজারী মাদরাসাকে আরবী বিশ্ববিদ্যালয় ভাবতে পছন্দ করি। বাংলা হিন্দুয়ানী ভাষা তো তাই। বাংলাবিশ্ববিধ্যালয়ের কি দরকার? কবিগুরু বাংলাকে বরবাদ করেছেন। আমরা কওমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা শিক্ষা করে বসে থাকি নাই । মধ্যে প্রাচ্যতে ভারতীয় ব্রাম্মন্যবাদীদের হটাইয়া দিয়া কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং নেটওর্য়াকিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমরাই নিয়োগ ভাগাইয়া লইয়াছি। কেন ভাগাইতে পারুম না? আমরা আরবী জানা লোক। মধ্যপ্রাচ্যের শেখ, কফিল ও আরবাবরা তো আমাদের দ্বীনি বোনের জামাই ।তাই দয়া পরবশবশত সকল আইটির চাকরি গুলা কওমী কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা পাইয়াছিলেন। আমরা দ্বীনইসলামের খেদমত করব ভেবে মধ্যপ্রাচ্যর সকল আইটির চাকরী ছেড়ে আরবি শিক্ষায় পুন:নিয়োজিত হয়েছি। আমাদের সেবাদাস হিন্দুরা এই চাকরি করুক ওরা আমাদের চাকর । ওদের সেবা আমাদের প্রাপ্য অধিকার। উল্লেখ্য যে আংরেজি জানতে সময় ব্যয় হলেও ফারসী উর্দু জানতে সময় ব্যয় হয় না। ধার হয় শুধু । বুঝলেন?????


ডাক্তারী শিক্ষা ব্যাবস্থায় কওমী চিকিৎসদের অবদান:

এটা তো আর না বললেই নয়। একসময় ইবনে সিনা ডাক্তারি বিদ্যার সবকিছু আবিষ্কার করে দিয়ে গেছেন। আমরা ইসলামের মহান খেদমতে নিয়োজিত বিধায় আপাতত মেডিকেল শিক্ষা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিনা। অসুখ দিয়েছেন আল্লাহ নিয়ে যাবেন আল্লাহ। ট্রাই এর কি দরকার ? আমাদের কিন্তু ধর্ম্ন্ধ ভাববেন না। আমরা অনেক আধুনিক। ভাল পারফিউম ইউজি করি।
কি দরকার ? গোমরাহ , হেদায়াত ত্যাগীরা মেডিকেল গুলোতে পড়ে ও ডাক্তারী প্র্যাকটিস করে দুনিয়াতে ভাল থাকুক । আখেরাতে তো ওদের জন্য কিছু নেই । আমরা বেহেস্তবাসি হইয়া ওদের ভাল থাকার প্রতিশোধ নিব।

বিশ্ব অর্থনীতিতে কওমী অর্থনীতিবিদদের অবদান:

একসময় আমাদের সোনালী অতীত চিল। খোরাসান থেকে আন্দলুসিয়া সর্বত্রই আমাদের ঐশ্বর্য ঘোষিত হয়েছিল। এখন আমরা অবসরে আছি। দেখছি আমেরিকা কি করে । শালার ইহুদী খ্রিষ্টানরা আমরা তোদের দেখিয়ে দেব। কওমী মাদরাসার অর্র্থনীতি আবার বিশ্ব কাঁপাবে। দেখেন না কওমি মাদরাসার ছাত্রদের আল্লাহ কিভাবে খাওয়ায়? সবাই এসে সওয়াবের নিয়তে দান করে যায় । ছাত্ররা খায়্ । ছাত্রীদেরকে পড়াশুনা করায়ে টাইমলসের কারবার নাই। ওদের আকল পুরুষের অর্ধেক। ওদের বিয়ে দিয়ে ইজ্জত আব্রু রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ন। তাই কওমি মাদরাসায় আমরা ছাত্রী রাখিনাই। ওরা থাকলে ওদের সৌন্দর্যের সামনে আমরা গলে যেতে পারি। আমাদের চোখের পর্দা রক্ষা করার জন্য আমরা ওদের ঝেটিয়ে বিদায় করে কওমী শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি বেহেশতী খানায় পরিনত করেছি। সব মেযের একই যোগ্যতা সন্তান লালন পালন আর জন্মদান। ওদের অশিক্ষিত রেখে আমরা কোন কুসংস্কারের ছোয়া তাদের ব্রেনে লাগতে দেইনি। কওমী নারীরা পৃখীবীর সেরা ফ্রেশ এবং র মেটেরিয়াল। যাক সে কথা। অর্র্থনীতি নিয়ন্ত্রন করে আমরা আল্লাহকে ভূলতে চাই না। অর্থনীতিতে অনেক আংরেজী আছে। আংরেজী পড়া টাইম লস। শালার বাঙ্গালীরা বেকুব.কেন যে আংরেজী পড়ে .... সব হেদায়াত থেকে ফারেক.... সবাইকে হেদায়াত দান কর আল্লাহ । আমীন সুম্মা আমীন..

প্রতিক্রিয়ামূলক ফানপোস্ট।
এই লেখার ৫ নং কমেন্ট এর প্রতিক্রিয়া।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:১৩
১০টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণপরিষদের সাথে বিএনপির সখ্যতার কারণ কি ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭


বিএনপির নেতাদের সাথে গণপরিষদের নেতাদের ঘন ঘন সাক্ষাতের বিষয়টি মিডিয়াতে প্রচারিত হচ্ছে।বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে যখন বিএনপি হাই কমান্ড থেকে পটুয়াখালী -৩(দশমিনা-গলাচিপা) আসনের নেতাকর্মীদের কাছে চিঠি দেয়া হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২



সুকান্তর একটা কবিতা আছে, দুর্মর।
"সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়:, জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।" মানুষের ভবিষ্যৎ বলা সহজ কিন্তু একটি দেশের ভবিষ্যৎ কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে টেনে জাস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসকন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭


INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×