২০১৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের নির্বাচনে দেশপ্রেমিক জোটের বিপক্ষে প্রপাগান্ডার জন্য আওয়ামী বাকশালী মিডিয়ার সর্বাত্বক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আপনার জানেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পূর্বে ১২ টি চ্যানেল অনুমোদন দিয়েছিল। আবার এখন নতুন করে ৩ টি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দিল।
টিভি চ্যানেল গুলোর মালিক কারা একটু দেখুনঃ
মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম অনুমোদন দেয় ১.ভিএম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের মাই টিভিকে।
২.মাহফুজুর রহমানের এটিএন নিউজ । এই মাহফুজ সাগর রুনি কে নিয়ে কি করেছে দেশবাসী জানে।
৩.সরকারদলীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমদ মজুমদারের মোহনা টিভি
৪. বেঙ্মিকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি
৫. স্কয়ার গ্রুপের অঞ্জন চৌধুরীর মাছরাঙা টেলিভিশন
৬.আহমেদ জোবায়েরের সময় টেলিভিশন
৭.চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিজয় টিভি (পরবর্তীতে এখানে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানও বিনিয়োগ করেছেন)
৮.মোজাম্মেল হকের ৭১ টেলিভিশন
৯নারায়ণগঞ্জের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের ছেলে গাজী গোলাম আশরিয়া বাপ্পির গাজী স্যাটেলাইট টেলিভিশন লিমিটেড
১০ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ভ্রাতৃবধূ সৈয়দা মাহবুবা আখতারের চ্যানেল নাইন
১১ হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ,আলীগ নেতা একে আজাদের চ্যানেল ২৪
১২.সালাহউদ্দিন আহমেদের এসএ চ্যানেল প্রাইভেট লিমিটেড।
আরও তিনটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স দিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। নতুন এ তিনটি চ্যানেল হচ্ছে
১. এশিয়ান টিভিঃ
এশিয়ান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. হারুন-উর রশীদের মালিকানাধীন এশিয়ান টেলিকাস্ট লিমিটেড (এশিয়ান টিভি).এশিয়ান টিভি ইতোমধ্যে তাদের একটা বড় শেয়ারই বিক্রি করে দিয়েছে ওয়ালটন গ্রুপের কাছে। জানা গেছে, ওয়ালটন সাত কোটি টাকা দিয়ে শেয়ার কিনেছে।
২.গানবাংলা টিভি চ্যানেলঃ
বার্ডসআই মাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ফারুকের (ড. চঞ্চল) গানবাংলা টিভি চ্যানেল
৩.দীপ্ত বাংলাঃ
কাজী মিডিয়া লিমিটেডের কাজী জাহেদুল হাসানের দীপ্ত বাংলা স্যাটেলাইট চ্যানেল.
শীঘ্রই এই তিনটি চ্যানেল প্রচারে আসবে বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইতিপূর্বে আরও ১২টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছিল। সবশেষে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে এই তিনটি চ্যানেল।
সূত্র জানায়, অনুমোদন হওয়া নতুন তিনটি চ্যানেল শীঘ্রই সম্প্রচারে আসবে। ইতোমধ্যে তাদের অনাপত্তি পত্র দেওয়া হয়েছে।
তাহলে কি বুঝা যায় ? ওরা প্রস্তুত। আমরা যদি জনসাধারন কে এই গুলো বাকশালী টেলিভিশন চ্যানেল বলে সচেতন না করি তাহলে নির্বাচনের সময় টিভিগুলো দেশপ্রেমিক জনতার জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠবে । আওয়ামীদের গোয়েবলসীয় প্রচারনার কাছে দেশ জিম্মি হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই সময় দেশপ্রেমিক জনতাকে সচেতন করার।
সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।