স্বপ্ন মানে কিছু অর্জনের জন্য আকাঙ্খা। এই স্বপ্ন ঘুমিয়ে হয়না। ঠান্ডা মাথায় পারির্পাশ্বিকতাকে বিবেচনায় রেখে এই স্বপ্ন দেখতে হয়। যে স্বপ্নের সাথে যোগ হয় একটি বাস্তবসম্মত যোগ্য বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা ও হাঁর না মানা পরিশ্রম তখন স্বপ্নরা বাস্তবে ধরা দেয়। তবে আমার জীবনে দেখেছি স্বপ্নরা তখনই বাস্তবে ধরা দেয় যখন উপরের বিষয়ের সাথে আল্লাহর রাহমাত, সুস্থতা ,হায়াত থাকা ও পারির্পাশ্বিকতা আনুকুল্য থাকে। লক্ষ্যার্জনে আপনার অবিচল অবিরাম পথচলা আপনার স্বপ্ন আপনার কদমবুচি ও চুমি করতে দেখবে ধরার অধরাস্বপ্ন নিয়ে বেচে থাকা নিষ্ফল ও সফল মানুষগুলো ঈর্ষনীয় দৃষ্টির তীর্যকতায়। তখনই আপনি মূল্যয়িত হবেন শুধু । অথচ এই মানুষগুলো আপনাকে হেয় করেছে অসম্ভব রূঢ় ভঙ্গিমায় । আপনার তনুমন রক্তাক্ত করেছে তারা আর এখন সরি বলে পার পেতে চায়। আমার হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের এক বন্ধু বলেছে মানুষ সম্ভাবনাকে মূল্যয়ন করেনা করে বর্তমান স্টেটাসকে। আমি বলব সম্ভাবনাকে মূল্যয়ন না করলে কোন পিতামাতায় তার সন্তানকে বড় করতনা।এই স্বার্থপর দুনিয়ায় স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের ক্ষেত্রে একজন রাজমিস্ত্রি পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার । রাজমিস্ত্রি যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের স্বপ্নের বিল্ডিংটি তৈরী করে ঠিক তেমনি একজন রাজমিস্ত্রির প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করে অথচ এই অভাব বেশিরভাগই পূরুন হয়না। হযরত খাদিজা রাঃ ছিলেন রাসুল সাঃ এর জীবনে রাজমিস্ত্রি যে কিনা জীবনের সকল ভালবাসা ও ত্যাগ দিয়ে রাসুল সাঃ কে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরনা দিয়েছেন । তার মৃত্যুর বছরটি রাসুল সাঃ এর কাছে আমুল হুজন। এমন ভালবাসা ঈর্ষনীয় ও সবাই কামনা করে।
সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর স্বপ্নরা ধরা না দিলে সেটি আমার আপনার তাকদীর। স্বপ্নরা যখন অধরা তখন যেন বিষন্নতাও থাকে আপনার অধরা। বিষন্নতা আপনার জন্য হতে পারে বিষাক্ত মানসিক যন্ত্রনার কারন। তাই আল্লাহ বলছেন “তোমরা আল্লাহর রাহমাত থেকে নিরাশ হইওনা” ।
স্বপ্নরা ধরা দিক আপনার জীবনে স্বপ্নীল মুগ্ধতায় । তবে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখাটা কাম্য নহে। জেগে স্বপ্ন দেখুন। স্বপ্নরা যখন মাথায় কিলবিল করে সেখান থেকে একটি ভাল স্বপ্ন বেচে নিন । যদি থাকে ভাল কোন গাইড করার মানুষ তবে তার সাহায্য নিন। মহান রাব্বুল আলামীন সে জাতির ভাগ্য ততক্ষন পরিবর্তন করেননা যতক্ষন না সে চেষ্টা করে। তাই চেষ্টা বা জিহাদটা চালিয়ে যান।
স্বপ্নরা যখন দুঃস্বপ্ন হয় তখন মুনাজাতে আল্লাহকে বলুন যিনি সকল ভাল মন্দের জ্ঞান রাখেন। মানসিক শক্তিটা হিমালয়ের এভারেষ্টের মত অনেক উচুঁতে থাকা বাঞ্চনীয় । পারলে আরও উপরে রাখুন। বিশ্বাস রাখুন নিজের উপরে যে “আপনি পারবেন”। আপনাকে কেউ পাত্তা না দিলে তাকে আপনার পাত্তা দেয়ার কি দরকার? “প্রত্যাশা করনা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকবেনা” কিছু ক্ষেত্রে যদি পারেন এই নীতিটি ফলো করা যায় কিনা দেখুন। স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনি নিজেকে কম মনে করে নিজেকে বেশি করার জন্য পড়তে থাকুন। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অবতীর্ন হলে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবুন।
কিছু ক্ষেত্রে দেখেছি পৃথিবীর কিছু বিষয়কে লাথি মেরে দুরে সরিয়ে রাখলে পৃথিবী মাথায় তোলে আর পৃথিবীর ভোগকে কাছে পেতে চাইলে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়তে পারেন। এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন পৃথিবীর কি কি বিষয়কে আপনি লাথি মারবেন।
তবে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতাই প্রকৃত সফলতা। কারন আল্লাহ দোয়া করতে শিখিয়েছেন যে “রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ”।
উৎসর্গঃ প্রনয়ীনিয়ন্তিকা কে যার ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখে এই লিখা লিখতে উৎসাহিত হয়েছি।