বিপ্লবীদের মাথায় যে আদর্শ বা চিন্তা ঘুরপাক খায় তার প্রতিফলন বিপ্লবীদের কর্মে দৃষ্টিগোচর হয়।যদি চিন্তাটি ভাল হয় তবে ধরনীর জন্যে খুবই ভাল।আর থিওরীটা ত্রুটিপূর্ন হলে আমাদের প্রিয় ধরনী অসুস্থ হয়।
বিপ্লবীদের নিয়ে জনগনের তাই কিছু ভয় আছে যদি থিওরীটা ত্রুটিপূর্ন হয়! জনগনের সাথে মিশে দেখেছি তারা বুর্জোয়াপন্থী । বিপ্লবীরা সাহিত্য ও তত্ত্বীয় ভাষায় বেশী কথা বলে ।জনগন কঠিন রসহীন সাহিত্য ও তত্ত্বীয় ভাষা বুঝে না । বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিপ্লবীদের সফল হতে হলে জনগনের ভাষায় কথা বলা শিখতে হবে। জনগনের কথা বলতে হবে।বিপ্লবীরা একটি ফ্রেমে বন্দী।মুক্তচিন্তার চর্চা করলে তারা সাংগঠনিক বাধার সম্মুখীন হয়। আনুগত্যের ফ্রেমে বন্দী হয়ে বেশীরভাগ সময়ে তারা স্বাতন্ত্র্য হারিয়ে বসেন।ভূল আদর্শের ক্রীড়নক হলে সমস্যা বৈকি। কিন্তু স্বতন্ত্র থিউরীর জন্মদাতারা রাজনৈতিক বিপ্লবী অথবা চিন্তায় , লেখায় বিপ্লবী । একটি থিউরী পৃথিবীর চলমান চিন্তা চেতনার কোমরে ধরে ঝাঁকুনি দিতে পারে। থিওরীদাতারা সংখ্যায় কম ।গনতন্ত্রের দৃষ্টিকোনে কিছু ক্ষেত্রে তারা অপাঙ্থেয় ,অথর্ব। তারা চলমান সমাজের চক্ষুশূল হতে পারেন! সক্রেটিস , গ্যলিলিওর পরিনতিও হতে পারে! তাই বিপ্লবীদের বড় কাজ হল থিওরীর পক্ষে জনমত গঠন।পরিস্থিতি ,পরিবেশ তৈরী ও চাপ।বিপ্লবীরা সমাজের মগজ ও স্পন্দন ।
বিপ্লবের সংজ্ঞাতে বিপ্লব জীবন্ত নয়।বিপ্লবের বাস্তব উদাহরনই আসল বিপ্লব।রক্ত ক্ষয় করে বিপ্লবকে স্তিমিত করা যায়না।মজলুমের রক্তক্ষরন বিপ্লবের আগুনকে ত্বরান্বিত করে।সত্যের জন্য যে বিপ্লব সে বিপ্লবকে নিষ্পেষন জীবন্ত আগ্নেয়গিরির মত প্রস্তুত করে। উপযুক্তক্ষনে অগ্নুৎপাত ঘটায়।বিপ্লবীরা আত্বত্যাগী চিরভাস্বর।ইতিহাসের কলেবরকে বর্নাঢ্য বৃদ্ধি করে চলে বিপ্লবীরা।পৃথিবীর ইতিহাসের উজ্জল নক্ষত্রও তারা। আদর্শ কৃষক যেভাবে জমিতে চাষের অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরী হয় তেমনি সমাজের উন্নয়ন পেরেশানী ও কর্মের আগ্রহ, প্রতিক্ষনে কর্মী হিসেবে চারপাশ ছাড়িয়ে যাওয়ার উন্মাত্তাল প্রচেষ্টা ব্যক্তিকে সমাজবিপ্লবী ও সমাজসংস্কারকে পরিনত করে।
অধ্যয়ন ,কর্মের অভিজ্ঞতা,উত্তম সাহর্চয্য নেয়া,ভ্রমন,দুর্দমনীয় মনোবল, সৃজনশীলতা,উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষনী শক্তি ,৬ষ্ট ইন্দ্রিয়ের কার্যকর ব্যবহারে ব্যক্তি চিত্তাকর্ষক বিপ্লবী হয়ে উঠতে পারে।চলমান সময়ের শ্রদ্ধামিশ্রিত সালাম বা ঘৃনা ২ ই জুটতে পারে।শুভেচ্ছা স্বরুপ সত্যবিপ্লবীর জন্য অবশ্যই সহস্র বাগানের অজস্র ফুল এই পৃথিবী নিবেদন করবেই।
বিপ্লবীর বিভিন্ন মান থাকতে পারে। যেমন আর্ন্তজাতিক , দেশীয় , জেলা এবং স্বস্বক্ষেত্রে অনন্য।একজন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন রুমে জ্ঞান সাধনায় বিপ্লবী হয়ে উঠতে পারে। জ্ঞান অর্জনে বিপ্লবী ছাত্রছাত্রী ভাল ফলাফল অর্জনের পর পেয়ে যায় আশপাশ থেকে পুষ্পময় ভলবাসা।
আমার প্রিয় বাংলাদেশ নিষ্কলুষ , নি:স্বার্থ , স্বমহিমায় উজ্জল একজন বিপ্লবীর জন্য অসীম তৃষা নিয়ে অপেক্ষায় হাহাকারে ব্যস্ত।
কখন তৈরী হবে আর একজন হযরত উমর রাঃ, ডাঃ মাহাথির, রশিদ ঘানুসি, তায়েফ এরদোগান, তারিক রামাদান যাদের দেশে জনগনের হাহাকার ও আক্ষেপের শব্দ অনেক ক্ষীণ।