ভারত তার প্রতিবেশীদের ওপর আধিপত্যবাদী থাবা ক্রমেই আরো প্রসারিত করছে। আর কোনো ক্ষেত্রেই প্রতিবেশীদের স্বার্থের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া অপর কোনো দেশ সহজে তার এই খবরদারি মেনে নিচ্ছে না। ভারতের এ ধরনের খবরদারির বিরুদ্ধে আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপ; কিন্তু বাংলাদেশ সরকারই কেবল তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ভারতের তাঁবেদারি করে যাচ্ছে। সর্বশেষ নেপাল তার দেশের সংবিধান প্রণয়ন করার পর ভারত কার্যত নেপালের বিরুদ্ধে কঠোর বিরূপ মনোভাব প্রদর্শন শুরু করেছে। এ সঙ্কটের শুরু নেপালে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাধেসিদের নিয়ে। মাধেসিরা প্রধানত ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে নেপালের সমতল ভূমি তেরাই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছে। জাতীয় সংসদে মাধেসিদের প্রতিনিধি ১১২ জন। সংবিধান প্রণয়নের সময় তাদের মধ্যে ১০৭ জনই এই সংবিধানের পক্ষে ভোট দেন। এই পরিস্থিতিতে ভারত উপলব্ধি করতে শুরু করে, নেপালের ভেতরে যদি দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত জিইয়ে রাখা না যায়, তাহলে নেপাল সরকারকে তাঁবে রাখা ভারতের পক্ষে সম্ভব হবে না। সংবিধানে নেপালকে সাতটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়। সেটি নেপালের সংবিধান প্রণেতাদের প্রতিশ্রুতি ছিল। জনগণ বা মাধেসিরা তখন এর কোনো বিরোধিতা করেনি। কিন্তু সংবিধান প্রণয়নের পর ভারত এই মাধেসিদের দিয়ে এক আন্দোলনের সূচনা করে। তারা হঠাৎ করেই একটি দাবি উত্থাপন করে যে, শুধু মাধেসিদের নিয়ে কয়েকটি প্রদেশ করতে হবে।
কিন্তু তাদের এই দাবির প্রতি মূল নেপালিদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো সমর্থন ছিল না। এমনকি দীর্ঘকাল ধরে ভারতের বশংবদ বলে পরিচিত নেপালি কংগ্রেসও মাধেসিদের এই দাবি মেনে নিতে পারেনি। এখন নেপালে যে সরকার, তারা ক্ষমতায় আসীন হয়েছে সংবিধান প্রণয়নের পর। সে সংবিধানও প্রণয়ন করেছে নেপালি কংগ্রেস। অর্থাৎ চিরকাল ভারতের অনুগত কংগ্রেসের মধ্যেও আত্মমর্যাদা ও ভারত-অনুকূল মনোভাবের পরিবর্তন ঘটেছে। এ রকম অবস্থায় ভারত নেপালি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে মাধেসিদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর মাধেসিদের দাবির সমর্থনে ভারত চার মাসের অধিককাল ধরে নেপাল সীমান্তে অবরোধ সৃষ্টি করে রাখল। নেপালের পেট্রলিয়ামজাত পণ্যের সবটুকুই আসে ভারত থেকে। বাকি ৭০ ভাগ বাণিজ্য ভারতের সাথে। এই অবরোধের ফলে নেপালি জনগণ অবর্ণনীয় দুর্দশার শিকার হন। ভারত ভেবেছিল এই চাপের মুখে নেপাল সরকার ভারতের ইচ্ছামতো মাধেসিদের আবাস এলাকা তেরাই অঞ্চলকে একাধিক পৃথক প্রদেশ হিসেবে রাখবে এবং একসময় সুযোগ বুঝে সিকিমের মতো ওই এলাকা দখল করে নেবে। তেরাই অঞ্চলে নেপালের মোট প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকের বসবাস। এই অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর। ফলে বহুসংখ্যক নেপালিও এই এলাকায় বসবাস করেন। ভারতের চাপে নয়Ñ সংবিধান প্রণয়ন কমিটি নিজস্ব বিবেচনায় সংবিধান সংশোধন করে।
আর চার মাস ধরে আন্দোলনের ফলে মাধেসিদের মোর্চায়ও ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ অবরোধ করার লোকও কমতে থাকে। যদিও প্রথম দিকে ভারত তার নিজের সীমান্তে তাঁবু খাটিয়ে, খাদ্য সরবরাহ করে সেখান থেকে সীমান্ত এলাকায় মাধেসিদের দিয়ে অবরোধ পালন করে আসছিল। নেপালি পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। কিন্তু ক্রমেই তা শিথিল হয়ে পড়ে। আর জ্বালানি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সঙ্কট তৈরি হওয়ায় মাধেসি নেতারা আন্দোলনের বদলে বরং চোরাচালানে অধিক মনোযোগী হয়ে পড়েন। ফলে নেপাল-ভারত ট্রানজিট রুট দিল্লি সরকার খুলে দিতে বাধ্য হয়। নেপালের বর্তমান রাজনীতিকেরা অত্যন্ত পোড় খাওয়া মানুষ। তারা দীর্ঘকাল আন্দোলন করেছেন, গেরিলা যুদ্ধ করেছেন, রাজতন্ত্র উচ্ছেদের জন্য বছরের পর বছর গেরিলা যুদ্ধ করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি নিজে টানা ১২ বছর জেল খেটেছেন। সুতরাং ভারত ব্যাপারটিকে যত সহজ মনে করেছিল, সেটি তত সহজ থাকেনি।
এ রকম পরিস্থিতিতে ভারত নেপালের মাধেসি ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণে মরিয়া প্রয়াস নিয়েছে। তা ছাড়া মালদ্বীপে ভারতপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। নিজের চেষ্টায় সফল না হয়ে ভারত আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য নাশিদকে কারামুক্ত করতে পেরেছেন। নাশিদকে এক মাসের জন্য কারামুক্তি দেয়া হয়েছিল। তিনি এখন ব্রিটেনে আছেন। ধারণা করা যায়, শিগগিরই তিনি আর ফিরবেন না। বরং মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারণা চালিয়ে যেতে থাকবেন, যা তিনি ইতোমধ্যেই শুরু করেছেন। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত ৩০ মার্চ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ বৈঠক শেষে যুক্ত ইশতেহারে মাধেসিদের ইস্যু তুলে এনেছে। যুক্ত ইশতেহারে বলা হয়েছে, তারা এই মর্মে একমত হচ্ছেন যে, মাধেসিদের বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, নেপাল সরকার তা গ্রহণ করবে। তার ফলে নেপালের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জিত হবে। অপর দিকে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ গত ৪ এপ্রিল তাদের এক রিপোর্টে এই মর্মে সতর্ক করেছে যে, তেরাই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসনের দাবি নেপাল সরকার যদি মেনে না নেয়, তাহলে সেখানে আরো বেশি সঙ্কট সৃষ্টি হবে।
এ দুটো ঘটনায় ভারতীয় শাসকদের নেপাল ইস্যু আন্তর্জাতিকীকরণের প্রমাণ। আর এমন এক সময় দু’টি বিবৃতি এসেছে যখন নেপালের প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ অলি তার সফল চীন সফর সমাপ্ত করে দেশে ফিরেছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী তার আগেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক সপ্তাহের জন্য ভারত সফর করেন। সেখানে অলিকে শীতল অভ্যর্থনা জানানো হয়। এবং কার্যত কোনো সহযোগিতামূলক চুক্তি যেমন হয়নি, তেমনি সফর শেষে যুক্ত ইশতেহারও প্রকাশ করা হয়নি। গত ২০ বছরের মধ্যে যুক্ত ইশতেহার প্রকাশ না করার ঘটনা এটাই প্রথম। এ দিকে ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী অলি সাত দিনের জন্য চীন সফর করেন। তাতে ট্রানজিট ট্রানশিপমেন্টসহ বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এগুলো বাস্তবায়ন হলে নেপালের ভারত-নির্ভরতা বহুলাংশে কমবে এবং পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি বিকল্প উৎস ও পথ উন্মোচিত হবে। ভারতের আধিপত্যবাদী লিপ্সা তাতে মার খেয়ে যেতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারতের মধ্যে এই যুক্ত বিবৃতি এমন একসময় প্রকাশ হয়েছে, যখন সেসব দেশের রিফিউজি এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্কট অত্যন্ত প্রবল। সে রকম একটা সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধেসি সঙ্কট নিয়ে এ বিবৃতি অনেক আকস্মিক। কিন্তু সেটা যে সে সময় ব্রাসেলসে অবস্থিত নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টার ফল, তা বুঝিয়ে বলার দরকার হয় না। এ থেকে আরো প্রমাণ হয়, ব্রাসেলস মাধেসি ইস্যুতে মোদিকে সন্তুষ্টই করতে চেয়েছে।
কিন্তু এই বিবৃতিতে চুপ করে থাকেনি নেপাল সরকার। তারা তীব্র ভাষায় এই যুক্ত বিবৃতির নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রত্যাখ্যান করেছে। নেপালের পররাষ্ট্র দফতর গত ৫ এপ্রিল ইউরোপীয়ান মিশনের রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধানকে পররাষ্ট্র দফতরে ডেকে এনে কঠোর ভাষায় এই বিবৃতির প্রতিবাদ জানান। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমল থাপা তাদের কাছে এই বিবৃতির পেছনে কী উদ্দেশ্য আছে, সেটি জানতে চান। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, নেপালের সংবিধান যখন প্রণয়ন করা হয় তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু এখন একেবারেই বিপরীত অবস্থান তারা কেন নিয়েছে? ওই দুইজন ইউরোপীয় দূত নেপালি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, ওই বিবৃতিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতির ধারাবাহিকতা নয় এবং ২০০১ সালে নেপালে যে ১০ কোটি ডলারের মানবিক সাহায্য কর্মসূচি ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়েছে তা বাধাগ্রস্ত হবে না। নেপালের পররাষ্ট্র দফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই বিবৃতি শুধু নেপালের জনগণের মনোভাবকে আহত করেনি, তা অপরের অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার আন্তর্জাতিক নীতিও লঙ্ঘন করেছে। তা ছাড়া ওই বিবৃতি জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেপাল তার সাংবিধানিক কাঠামোর ভেতরে নিজেদের সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম। সুতরাং এখানে কারো হস্তক্ষেপ কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু সরকারই নয়, নেপালের প্রায় সব রাজনৈতিক দল ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতির প্রতিবাদে তীব্র ঘৃণা জানিয়েছে। নেপালের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা পুষ্পকমল দাহল প্রচন্দ বাইরের এই হুমকি মোকাবেলার সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ দিকে নেপালি কংগ্রসের নেতা গগন থাপা নেপালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করতে ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছেন। দিল্লি সরকার ভেবেছিল এ ধরনের চাপ প্রয়োগের কৌশলে নেপাল নতি স্বীকার করবে। কিন্তু ওই বিবৃতি বরং আত্মমর্যাদাবান নেপালি জাতির গর্বে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। নেপালের রাজনীতিকেরা বলেছেন, তাদের ব্যাপারে চিন্তা না করে ভারত বরং জম্মু ও কাশ্মির সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে মনোযোগ দিক। এ ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি একটি দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করেছেন। অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এই অন্ধকার এলাকার দিকে মনোযোগী হতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার পশ্চিমা দেশের একটি রাজধানীতে বসেই এমন একটি বদ নজির স্থাপন করল। তবে ভারত যদি মনে করে থাকে নেপাল ও মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার তাদের আছে, তাহলে নেপাল সরকার ভারতের অভ্যন্তরে যে ঘৃণ্য বর্ণবৈষম্যবাদ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে, সেই কুৎসিত দিকগুলো তুলে ধরবে।
অপর দিকে কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রণজিৎ রাই সম্প্রতি আরো একটি নির্লজ্জ কাণ্ড করেছেন। তিনি তার সরকারি বাসভবনে মাধেসি নেতাদের ডেকে নিয়ে এসে একটি প্রাতরাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তিনি তাদের কাছে জানতে চান, মাধেসিরা তাদের পরবর্তী আন্দোলন কিভাবে করতে চান এবং সে বিষয়ে তাদের কতটুকু প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি মাধেসি নেতাদের জানান, পরবর্তী পর্যায়ে তারা যদি আন্দোলন শুরু করেন তাহলে ভারত সাবেক ভারতীয় গোরখা সৈন্যদের নেপালের পার্বত্য এলাকা ও কাঠমান্ডুতে আন্দোলনে যোগদানের ব্যবস্থা করে দেবে।
উল্লেখ্য, মাধেসিদের রাজনৈতিক মোর্চা গত সেপ্টেম্বরে তাদের আন্দোলন শুরু করে এবং ভারত অনানুষ্ঠানিকভাবে নেপাল সীমান্তে অবরোধ সৃষ্টি করে। ফলে নেপালের পেট্রলিয়ামজাত পণ্যের সঙ্কট সৃষ্টি হয়। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ দু®প্রাপ্য হয়ে ওঠে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরও মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়। কষ্টসহিষ্ণু নেপালি জনগণ এই চার মাস প্রচণ্ড শীতেও হেঁটে, জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করে, সোলার অ্যানার্জির ব্যবস্থা করে নিজের মর্যাদা নিয়ে টিকে থাকার লড়াই করতে থাকে। আর তার ফলেই প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি তার উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী চীনের দিকে ঝুঁকে পড়তে বাধ্য হন। ফলে ভারতের প্রতি নেপালি জনগণের ঘৃণা হিমালয়-প্রমাণ হয়ে ওঠে। এর আগে মাধেসিদের দাবি ছিল, পার্লামেন্টে তাদের অধিক প্রতিনিধি দিতে হবে। এখন ভারতীয় মদদে তারা তেরাই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন দাবি করছে। মাধেসিরা নতুন আন্দোলন শুরু করতে চাইছে এখান থেকেই।
ভারত এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে যে, এই অঞ্চলে তার বলদর্পী মনোভাব ও ক্রিয়াকাণ্ড সবাই মেনে নিক। কিন্তু তা হয়নি, বরং এর ফলে ভারতের প্রতি চরম ঘৃণাই বেড়েছে। ভারত এখন প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সামনে ঋণের মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ভারত চাইছে, তার প্রতিবেশীদের ওপর খবরদারি বাড়িয়ে চীন পর্যন্ত পৌঁছে যেতে। কিন্তু চীনও ভারতবিরোধী মনোভাবের এই সুযোগ যে নেবে, সেটাও নিশ্চিত। সেখানে সব প্রতিবেশীকে ভারতের ইচ্ছানুযায়ী তার অক্ষপথে ঘোরানো খুব সহজ হবে না।
রেজোয়ান সিদ্দিকী