(লেখাটি হড়ড় গ্রুপে প্রকাশিত)
রহমান সাহেবের বাড়ির সামনে এক চিলতে জায়গা আছে। সেখানে তিনি মাঝে মাঝে নানারকম ফুলফলের গাছ লাগান। এখন বয়স হয়ে যাওয়াতে এসবের পিছনে তেমন সময় দিতে পারেননা। অযত্ন অবহেলায় সেখানে ফুল গাছের বদলে দুর্বা ঘাস গজিয়ে উঠলো....সেই জায়গায় দেয়ালের ধারে আছে একটা মোটাসোটা কাঁঠাল গাছ। পাশের বাড়ির করিম সাহেবের ছাগল দুটা প্রায়ই দেয়াল টপকে কাঁঠাল পাতা খেতে আসে (ছাগলও দেয়াল টপকাতে পারে, ভাবতেই ভয়ে হাত পা......)।
একদিন ভর দুপুরে ছাগলদুটো দেয়াল টপকে কাঁঠাল পাতা খেতে আসল। গাছের নিচে দুজন বসে সুখদুখের আলাপ করছে আর পাতা খাচ্ছে....
ছাগল ১: বুঝলি দোস্ত....কেন যে ছাগল হইয়া জন্মাইছি!! লোকে আমাদেরকে রাজাকারের সাথে তুলনা করে...
ছাগল ২: হ...ঠিকই কইছস....মাঝে মইধ্য মনে হয় সুইসাইড খাইয়া ফেলি...
ছাগল ১: চল একদিন সুইসাইড খাই। কিন্তু কেমনে সুইসাইড খাবি?
ছাগল ২: যেহেতু কাঁঠাল পাতা আমাদের মেইন ফুড তাই এটার সাথে আমার মনিবের ভাইয়ের ম্যারিকা থেকে পাঠানো কীটনাশক মিশায়া সুইসাইড খাব...
পরদিন তারা আবার কাঁঠাল গাছের নিচে এল, এবার সাথে নিয়ে এল ম্যারিকান কীটনাশক। এক ছাগল কিছু পাতা জড়ো করে সেখানে ম্যারিকান কীটনাশক ঢেলে বলল..."এবার চল খাইতে থাকি।"
আরেক ছাগল বলে...."আগে তুই খা...পরে আমি খামু।"
এই বলে দুজনের মাঝে লেগে গেল ঝগড়া.....কেউই আগে খেতে চায়না। তাদের ঝগড়ার এক পর্যায়ে জড়ো করা কাঁঠাল পাতা ফুঁড়ে একটা পঁচা গলা কাটা ডান হাত বের হয়ে এল। ছাগল দুটা ভয়ে চিৎকার দিয়ে দৌড় দিল। কিন্তু তাদের পা আর চলছিলনা। কাটা হাতটা কিছু পাতা জড়ো করে ছাগলদের দিকে ছুঁড়ে মারল। কোথা থেকে যেন একটা ঠান্ডা বাতাস এল.......একটা হাসির শব্দ ভেসে এল.....হাতটা ধীরে ধীরে একটা কাঁঠাল গাছে পরিণত হতে লাগল.....। তারপর আতঙ্কে ছাগল দুটোর চার পা.....
জ্ঞান ফেরার পর ছাগল দুটো দেখল তারা ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। দুজন পাশাপাশি বেডে শুয়ে আছে।
ছাগল ১: দোস্ত আমরা কি সুইসাইড খাইছি?.....
ছাগল ২: বুঝতাছিনা....মনে হয় খাইছি...
এরপর ভয়ে আর লিখতে পারতেছিনা....
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৮