somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পতঙ্গের বন

০৯ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই বনের ভেতর কত যে পঙ্গপালের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে
তাদের মড়া পাখনার অনেক ভাঙ্গাচোরা
বুনো বাতাসের বেয়ারা ধুলোর সঙ্গে এখনো উড়ছে
বর্ষার পর এসব ধুলোবালি খড়কুটো কোথাও আর থাকেনা
ঝরাপাতা ডালপালা সমেত পশু ও পতঙ্গের মল সমেত মড়ে পচে ভেজা মাটিতে মিশে গিয়ে শেকড়ের ক্ষুধা মিটিয়ে ক্লান্ত মাটিকে আবারো জীবন্ত করে তুলে
আর রাতের গভীরে সেই সব মড়া পতঙ্গের প্রেত আত্মারা ধরাদেয় অন্ধকারে ধপকরে জ্বলে ওঠা আলেয়ার আলো হয়ে যেন আবার দুপুরের রোদে ফিরে আসতে চায় কিন্তু সেই চেষ্টা আর সফল হয়না দিনের বেলা কেবলি উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পশুপাখি কীটপতঙ্গ আর জ্বালার পাসে ঝিঁ ঝিঁ পোকারা আৎকে ওঠে, এরা এসবের রহস্য কিছু বুঝতে না পারলেও কিছু ক্ষণের জন্য কারো কারো মনে কিযেনো এক দুঃস্বপ্ন ভর করে। এভাবে দিনের আলোর সময়টুকু চুপ থাকার পর বিশ্রামে থাকা সেইসব নিশাচরেরা তাদের স্বাভাবিক প্রতিদিনকার জীবন যাত্রায় ফিরেযায়। রাত যেনও আরো ভয়ঙ্কর, শিকারেরা সেখানে পালাতে ব্যস্ত, শিকারিরা তাদের পিছু ধাওয়া করে। এক সময় চাঁদ উঠলে পরে মৃদু চাঁদের আলোয় আলো সংবেদী গাছেরা তাদের তাদের ফুল আর পাতার পসরা মেলে ধরে, বর্ণহীন পূর্ণযৌবনা ফুলেরা তীব্র সুবাস ছড়িয়ে নিশাচর পতঙ্গদের কাছেটানতে থাকে। জীবন যাত্রায় অভ্যস্তের মত সাত পাঁচ কোন কিছু না ভেবেই পতঙ্গেরাও সেদিকেই পা বাড়ায়। রাত যত বাড়তে থাকে শিশির পরার সময় যেন ততবেশী ঘনিয়ে আসে। এভাবেই বার বার অঢেল রোদ-অন্ধকার-আলো-অন্ধকার-আলো, অঢেল বৃষ্টি ক্ষরণ। মাটির গভীর হতে এই সব ব্যস্ত জীবন প্রতিদিন থেকে থেকে যে রস শুষে নেয় তার অন্তর্গত সত্যকে এখানের কারোরই সামান্য পরিমাণেও জানার দরকার হয় না। কিন্তু অন্তর্গত এই সত্যের ভেতর-বাইরের কোন এক অন্তর্ঘাতী স্বপ্ন তাদেরও তাড়াকরে ফেরে। পরম্পরার এতসবের সাক্ষী হয়ে আছে এই বন, না ! বন নয় এই মাটি। না ! মাটি শুধু এই মাটি কেনও এই পৃথিবী সূর্য , হতে পারে পুরোটা ছায়াপথ, সমস্ত মহা বিশ্ব। কিন্তু এরও পর আছে। আসলেই সেরকম আছে নাকি কিছু ?
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনে হাসি আর কান্না.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

জীবনে হাসি আর কান্না.....

কবি সুনির্মল বসু তার "হবুচন্দ্রের আইন" কবিতায় হবুচন্দ্র রাজা আইন করে কান্না নিষিদ্ধ করেছিলেন। অথচ এখন সেই কল্পিত কবিতার রাজা হবুচন্দ্রের মতো আইন করে কান্না নিষিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

'৭৪ সালের কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এখন সময়ের দাবী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫


বিগত আম্লিক সরকারের আমলে যে কুখ্যাত আইনের অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে গায়েব করার চেষ্টা চলতো তা হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। এই আইন ব্যবহার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণচোখ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮


(ষড়ঋপু সিরিজের তৃতীয় কাহিনি — লোভ)

⸻ সতর্কীকরণ: ছায়া পড়লে আলোও কাঁপে ⸻

এই কাহিনি কেবল একটি গল্প নয়। এটি এক মানসিক প্রতিচ্ছবি, যেখানে লুকিয়ে আছে মানব আত্মার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব লুটপাটের শেষ কোথায়!

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

আধা লিটারের পানির বোতল দোকানদার কেনে সর্বোচ্চ ১২.৫০ টাকায় আর ভোক্তার কাছে বিক্রি করে ২০ টাকা। এগুলো কি ডাকাতি না?

গোপন সূত্রে যতটুকু জানা যায়,
প্রাণ ৮.৫ টাকা কেনা
ফ্রেশ ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।



আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×