এই বনের ভেতর কত যে পঙ্গপালের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে
তাদের মড়া পাখনার অনেক ভাঙ্গাচোরা
বুনো বাতাসের বেয়ারা ধুলোর সঙ্গে এখনো উড়ছে
বর্ষার পর এসব ধুলোবালি খড়কুটো কোথাও আর থাকেনা
ঝরাপাতা ডালপালা সমেত পশু ও পতঙ্গের মল সমেত মড়ে পচে ভেজা মাটিতে মিশে গিয়ে শেকড়ের ক্ষুধা মিটিয়ে ক্লান্ত মাটিকে আবারো জীবন্ত করে তুলে
আর রাতের গভীরে সেই সব মড়া পতঙ্গের প্রেত আত্মারা ধরাদেয় অন্ধকারে ধপকরে জ্বলে ওঠা আলেয়ার আলো হয়ে যেন আবার দুপুরের রোদে ফিরে আসতে চায় কিন্তু সেই চেষ্টা আর সফল হয়না দিনের বেলা কেবলি উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পশুপাখি কীটপতঙ্গ আর জ্বালার পাসে ঝিঁ ঝিঁ পোকারা আৎকে ওঠে, এরা এসবের রহস্য কিছু বুঝতে না পারলেও কিছু ক্ষণের জন্য কারো কারো মনে কিযেনো এক দুঃস্বপ্ন ভর করে। এভাবে দিনের আলোর সময়টুকু চুপ থাকার পর বিশ্রামে থাকা সেইসব নিশাচরেরা তাদের স্বাভাবিক প্রতিদিনকার জীবন যাত্রায় ফিরেযায়। রাত যেনও আরো ভয়ঙ্কর, শিকারেরা সেখানে পালাতে ব্যস্ত, শিকারিরা তাদের পিছু ধাওয়া করে। এক সময় চাঁদ উঠলে পরে মৃদু চাঁদের আলোয় আলো সংবেদী গাছেরা তাদের তাদের ফুল আর পাতার পসরা মেলে ধরে, বর্ণহীন পূর্ণযৌবনা ফুলেরা তীব্র সুবাস ছড়িয়ে নিশাচর পতঙ্গদের কাছেটানতে থাকে। জীবন যাত্রায় অভ্যস্তের মত সাত পাঁচ কোন কিছু না ভেবেই পতঙ্গেরাও সেদিকেই পা বাড়ায়। রাত যত বাড়তে থাকে শিশির পরার সময় যেন ততবেশী ঘনিয়ে আসে। এভাবেই বার বার অঢেল রোদ-অন্ধকার-আলো-অন্ধকার-আলো, অঢেল বৃষ্টি ক্ষরণ। মাটির গভীর হতে এই সব ব্যস্ত জীবন প্রতিদিন থেকে থেকে যে রস শুষে নেয় তার অন্তর্গত সত্যকে এখানের কারোরই সামান্য পরিমাণেও জানার দরকার হয় না। কিন্তু অন্তর্গত এই সত্যের ভেতর-বাইরের কোন এক অন্তর্ঘাতী স্বপ্ন তাদেরও তাড়াকরে ফেরে। পরম্পরার এতসবের সাক্ষী হয়ে আছে এই বন, না ! বন নয় এই মাটি। না ! মাটি শুধু এই মাটি কেনও এই পৃথিবী সূর্য , হতে পারে পুরোটা ছায়াপথ, সমস্ত মহা বিশ্ব। কিন্তু এরও পর আছে। আসলেই সেরকম আছে নাকি কিছু ?