মানুষের ভুল হওয়াটা মানুষের চরিত্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । যে এই বলে স্বীকার করে যে আমি ভুল করি না তাকে নিঃসন্দেহে একজন ধোঁকাবাজ বলা যায় । মানুষ ভুল করতে না চাইলেও ভুল হবে কারণ মানুষের জ্ঞানের পরিধি অতটুকু ব্যাপ্ত নয় । মানুষ ইচ্ছে করলেই পারে না সকল কিছু জেনে একটি নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে । অনেক সময় নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েও কাজে ভুল হয়ে যায় । কারণ মানুষ নিয়ন্ত্রক নয়, মানুষ বাস করে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। এই জন্যই যে কোন কিছুতে মাপকাঠির উৎপত্তি অর্থাৎ ঠিক এতটুকু যেতে পারলেই তাকে সঠিক বলে বিবেচনা করা হবে। পৃথিবীকে যারা ধ্যান, জ্ঞান, পরিশ্রম, ত্যাগ দিয়ে পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রেখেছিলো এবং রাখছে তাদের ভুলের পরিমান যে কোন একজন সাধারণ মানুষের থেকে অনেক বেশি । কারণ তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো পৃথিবীকে কিছু দেয়া, নিজস্ব পদচিহ্ন রেখে যাওয়া । তাই তাঁদের চেষ্টা চিলো বিভিন্ন আঙ্গিকে, বিভিন্ন কৌশলে । এ জন্য তাঁদের ভুলও হয় বেশি । কিন্তু তাঁরা এভাবেই চেষ্টা করে যায় এবং ভুলের পাল্লা ভারী করে, নিজেকে ঘষামাজা করে ক্ষুরধার করে। এভাবে তাঁরা ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবন বিসর্জন দিতে দিতে যখন সঠিক কিছু করে ফেলে তখন বিগত সকল ভুল হয়ে যায় তাঁদের সফলতার চাবিকাঠি । তাই ভুলকে সফলতার অলংকা্বার ভাবতে হবে । ভুল যত বেশি হবে সফলতার ভরিও তত বেশি হবে । তাই হতাশ হওয়াকে কোন ভুল বলা যায় না । কারণ হতাশা মানুষকে পেঁছনে টেনে নিয়ে যায়, ফেলে দেয় গভীর কোন কূপে । তাকে ওখানেই মরে যেতে হয় । বারংবার হতাশাকে পরাজিত করেই ভুল করতে হবে। তবেই সফলতার দেখা পাওয়া যাবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২২