আমার জার্মানির কলিগ "আন্দ্রেস" তার নিজের দেশকে সাপোর্ট না করে আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করে। কারণ তার মেসির খেলা ভালো লাগে। সে শুধু আর্জেন্টিনার খেলা দেখে অন্য কোনো ম্যাচ সে দেখে না। এটা আমাদের দেশে হলে তাকে ভাদা(ভারীয়তীয় দালাল) , পাদা (পাকি দালাল) নামে ডাকা শুরু হয়ে যেত। তার মধ্যে কোনো দেশপ্রেম নেই ইত্যাদি ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করতাম।
আমার বস ডেনমাকিয়ান "বেটিনা" তিনি কোনো দেশকে সাপোর্ট করেন না এমনকি কোনো খেলাও দেখেন না কিন্তু আর্জেন্টিনাকে বিশেষ করে ম্যারাডোনাকে একদম সহ্য করতে পারেন না। ড্রাগ পাপী বলে তাকে এবং তার দেশ আর্জেন্টিনাকে পছন্দ করেন না।
ফিলিপাইনের কলিগ "রোলান্ড" কখনো মেসি নেইমার দের নাম শুনেনি। তাদের দেশে বাস্কেট বল খুবই জনপ্রিয় খেলা। ফুটবল নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। বিশকাপ খেলা ও দেখেন না।
আমার নেপালি বন্ধু গতকাল জিজ্ঞাসা করছে এবারের বিশ্বকাপ কোথায় খেলা হচ্ছে ? আমি শুনেই পুরা অবাক। আমাদের দেশের ৮ বছরের বাচ্চারাও বলতে পারবে এবারের খেলা কোথায় হচ্ছে।
আমার আশেপাশে যখন এই অবস্থা তখন আমার অবস্থা কেমন হবে বুঝতেই পারছেন। কোথাও নেই কোনো আলোচনা ,নেই কোনো উড়ানো পতাকা , দেয়াল লিখন, নেই কোনো বড় পর্দায় খেলা দেখা , ফুটবল উন্মাদনা বলে কিছু নেই। সবাই ব্যস্ত নিজের কাজ নিয়ে।
আমারও আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল এর ম্যাচ ছাড়া অন্য কোনো খেলা দেখা হয় না। পুরাই প্যানসে বিশ্বকাপ

১. ২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫০ ০
আমার পরিচিত আপ্নার পরিচিত এক ই জাতির ফুটবল ক্রেজিনেস এ ভুগছে
রাশিয়ান মেইট আমাকে গালি দিয়ে বলেছিল মেসি থেকে নেইমার জন প্রিয়। জার্মান জাতি দের এক্টাকেও দেখি নাই নিজ জাতির বাহিরে কাউকে দল করতে তবে সবাই এক নয়। ফিলিপাইন বাচ্চা গুলি মা এর কাছে পানিনি স্টিকারে মেসিকে খুজে আর তিনি আমার কলিগ। নেপালি ভারতীয় বাঙালী রা দল বেধে বেট টু উইন নামে জুয়াড় শপেখেলা দেদেখতে যায়, অনেকে আবার বাজিও ধরে। নিরভর করে কোথায় জনপ্রিয়তা। আরবী গুলা তো ফুটবল বলে পাগল ই দেখী। ওদেএ সাথে একবার খেলেছিলাম। পারি না। যাই হোক দুবাই ওয়ালারা ফুটবল এ তেমন মেতে ঊঠেনা বুঝা গেল। মোবাইল থেকে তাই ঠিকমত টাইপ করতে পারলাম না।