মধুর আমার মায়ের হাসি, চাঁদের মুখে ঝরে,
মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে...
প্রদীপ হয়ে মোর শিয়রে, কে জেগে রয়, দুঃখের ঘরে,
সেই তো আমার মা, সেই তো আমার মা, বিশ্ব ভুবন মাঝে তাহার, নেইকো তুলনা ....
সেই ছোট বেলা থেকেই অনুপ ঘোষালের এই গানটি আমার খুব প্রিয়। কারণ গানটির মাঝে একটি মায়ের পরিপূর্ণ রুপ এঁকে দেয়া হয়েছে। অনলাইনে একবার একটি প্রবন্ধ দেখেছিলাম। সেখানে একটি শিশু ভুমিষ্ট হবার আগে সৃষ্টিকর্তাকে জিজ্ঞেস করছে, ক্ষুধায় যখন আমি কাতর থাকবো, কথা তো বলতে পারবো না, চিৎকার করে শুধু কাঁদবো, তখন আমাকে কে খাওয়াবে, কে ঘুম পাড়াবে, কে যত্ন নেবে, কে পরিস্কার করবে? তখন সৃষ্টিকর্তা তাকে অভয় দিয়ে বলেন, আমি তোমাকে দুনিয়ায় পাঠাচ্ছি। তোমার সব রকম দেখভাল করবেন একজন ফেরেশতা। সে তোমাকে আগলে রাখবে সকল দুঃখ কষ্ট থেকে।২৪টি ঘন্টা সে তোমার খেয়াল রাখবে। তোমার প্রত্যেকটি নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে সে তোমার অবস্থা বুঝবে। ঘুমিয়ে থেকে, দূরে থেকে, চোখের আড়ালে থেকেও তোমার যত্ন নেবে সেই ফেরেশতা। শিশুটি তখন সৃষ্টিকর্তাকে জিজ্ঞেস করলো, আমি তাকে কি নামে ডাকবো? সৃষ্টি কর্তা মুচকি হেসে জবাব দিলেন, তুমি তাকে "মা" বলে ডেকো ......
একবার এক হুজুরের ওয়াজ শুনেছিলাম। ঘটনাটি ছিলো এই রকম... এক ছেলে তার মাকে ঘর থেকে বের করে জঙ্গলের দিকে রেখে আসতে গেলো। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। মা ছেলেকে বলছে, বাবা, তুই তাড়াতাড়ি আমাকে রেখে চলে যা, পথে আবার না বাঘ শিয়াল তোর ক্ষতি করে!! এই হচ্ছে - মা ....
যারা এখনো মা য়ের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেন, আজ থেকে শপথ নিন, আমৃত্যু আর কোন দিন মায়ের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। তার মনে এতটুকু আঘাত লাগে, এমন কাজ বা কথা বলবেন না। আমাদের সমাজে পরিবারে একটি বড় সমস্যা হলো নিজের স্ত্রীর সাথে নিজের মায়ের সমন্বয়। প্রায়ই বউ শ্বাশুড়ীর সম্পর্কের টানাপপোড়নে জীবন অস্থির হয়ে যায়। প্রয়োজনে আপনি আপনার কষ্টগুলো আপনার মায়ের চোখের আড়াল করুন। মা - বৌকে সমস্বয় করতে কৌশলী হোন।প্রয়োজনে যারা মাকে কষ্ট দেয়, বউ এর কানের কাছে জোরে জোরে তাদের নাম ধরে গালাগাল পাড়ুন, বউ বুঝে যাবে ... যদি শিক্ষিত হয়! ( ঝি কে মেরে বউকে শেখানো আর কি ) তাহলেই মা দিবসের সার্থকতা ...
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯