কলাবাগানে দুজন নাগরিককে গতকাল সন্ধ্যায় হত্যা করা হয়। তাদের দুজনের মধ্যে একজনের পরিচয় জুলহাজ মান্নান, তিনি ইউএসএআইডি-র কর্মকর্তা ছিলেন। অপর জন নাট্য কর্মি। জনাব জুলহাজের পাশাপাশি আরো একটি পরিচয় ছিলো, তিনি সমকামী ও হিজড়াদের অধিকার বিষয়ক সাময়িকী রুপবান এর সম্পদনার সাথেও জড়িত ছিলেন।
যে কোন হত্যাকন্ডই আমাদের দেশে তথা সারা বিশ্বেই অপরাধ হিসেবে গন্য। কেউ যদি হত্যা করার কাজে মদদ যোগায় তবে সে-ও অপরাধী। সেই মোতাবেক জুলহাজও একজন অপরাধী ছিলেন। কারণ বাংলাদেশে সমকামী আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে স্বিকৃত। তিনি সেই সমাকামীদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট ছিলেন অর্থাৎ তিনি একটি অপরাধকে লালন, আশ্রয়, প্রশ্রয় অর্থাৎ মদদ যুগিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আ্ইনের কোন প্রয়োগ হয় নাই। বেইনি সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে তারা এতদিন মুক্ত বাতাসে কিভাবে ছিলো এবং এদের সমর্থকেরাও এখনো কিভাবে আইনের আওতায় গ্রেফতার হচ্ছেন না, সেটাই প্রশ্ন।
আমি বলছি না যে এর ফলে তিনি খুন হয়েছেন, এটা ঠিক আছে। মোটেও ঠিক হয়নি। এই দেশে বেঁচে স্বাভাবিক নিয়মে বেঁচে থাকার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। হত্যাও এই দেশে একটি মারাত্মক অপরাধ। অচীরেই অপরাধীরা ধরা পড়ুক এবং সঠিক বিচার হোক- এটা সবাই প্রত্যাশা করে।
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সরকারের উচিৎ যারা রুপবান সংক্রান্ত কার্যক্রম এর সাথে জড়িত বা সমর্থন করেন, তারা যে বাংলাদশের আইন অুনযায়ী আইন বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, সেটার ব্যপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
সমকামীতা সংক্রান্ত বাংলাদেশে প্রচলিত আইনঃ
বাংলাদেশের আইনে সমকামিতা বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশই সমকামিতাকে বৈধতা দিলেও বাংলাদেশে এটি অপরাধ। বাংলাদেশের আইন সমকামিতাকে এখনো প্রকৃতি বিরুদ্ধ মনে করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তি প্রদান করে। বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে কোনো পুরুষ, নারী বা জন্তুর সাথে প্রকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাস করেন, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা দশ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডিত হবেন। এ ধারায় বর্ণিত অপরাধীরূপে গণ্য হবার জন্য যৌন সহবাসের নিমিত্তে অনুপ্রবেশই যথেষ্ট বিবেচিত হবে। [Section 377. Unnatural offences– Whoever voluntarily has carnal intercourse against the order of nature with any man, woman or animal, shall be punished with imprisonment for life, or with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine. Explanation– Penetration is sufficient to constitute the carnal intercourse necessary to the offence described in this section.] এখন প্রশ্ন আসতে পারে প্রকৃতি বিরুদ্ধ বলতে কি বুঝানো হয়েছে? এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে – “The unnatural offenses are two: {a} Sodomy and {b} bestiality. Sodomy consists of penetration per anus with another person. Bestiality can be committed either by a male or female human being with an animal.” মূলত এই ধারার অধীনে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মামলাতে পায়ুকাম এবং পশ্বাচারকেই (পশুর সাথে যৌনসঙ্গম) অস্বাভাবিক অপরাধ অর্থাৎ “অর্ডার অব ন্যাচার” পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশের আইনে সমকামিতা বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশই সমকামিতাকে বৈধতা দিলেও বাংলাদেশে এটি অপরাধ। বাংলাদেশের আইন সমকামিতাকে এখনো প্রকৃতি বিরুদ্ধ মনে করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তি প্রদান করে। বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে কোনো পুরুষ, নারী বা জন্তুর সাথে প্রকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাস করেন, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা দশ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডিত হবেন। এ ধারায় বর্ণিত অপরাধীরূপে গণ্য হবার জন্য যৌন সহবাসের নিমিত্তে অনুপ্রবেশই যথেষ্ট বিবেচিত হবে। [Section 377. Unnatural offences– Whoever voluntarily has carnal intercourse against the order of nature with any man, woman or animal, shall be punished with imprisonment for life, or with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine. Explanation– Penetration is sufficient to constitute the carnal intercourse necessary to the offence described in this section.] এখন প্রশ্ন আসতে পারে প্রকৃতি বিরুদ্ধ বলতে কি বুঝানো হয়েছে? এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে – “The unnatural offenses are two: {a} Sodomy and {b} bestiality. Sodomy consists of penetration per anus with another person. Bestiality can be committed either by a male or female human being with an animal.” মূলত এই ধারার অধীনে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মামলাতে পায়ুকাম এবং পশ্বাচারকেই (পশুর সাথে যৌনসঙ্গম) অস্বাভাবিক অপরাধ অর্থাৎ “অর্ডার অব ন্যাচার” পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।