
বাংলা লিংন্ক এই ঈদে একটা নতুন বিজ্ঞাপন রিলিজ করছে। দেখছেন নিশ্চয় আপনারা অনেকেই। বাবুদের পাশের গ্রমে ফোন কম্পানীর টাওয়ার বসিয়েছে। বাবুর বিশ্ময়ের সীমা নেই! সে তার আদরের বুবুকে বাড়ীতে এসে সে খবর দেয়। যাবি বুবু দেখতে! দু'ভাই বোন মিলে দে ছুট গ্রামের প্রান্তর ধরে। এদিকে বাড়ীতে বিয়ের আয়োজন দু'ভাই/বোনের সে দিকে ভ্রুক্ষেপও নেই। তার পর গল্প যারা দেখার দেখেছেনইত আর না বলি। খারাপ লাগে নাই, ভাল হইছে। আ ট্রিবিউট টু পথের পাাঁচালির অপু ও দূর্গা।



বিজ্ঞাপনের লোক সত্যজিৎ রায় সিনেমা বানিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করে গেছেন যেমন তেমনি দেশ ও জাতিকে এনে দিয়েগেছেন অসামান্য সম্মান। কি সে যুগে কি এ যুগে পঞ্চাশ দশকই হউক আর নব্বই দশকই হউক রায়ের অনেক কারিশমার মাঝে একটি ছিল তিনি খুব কম খরচে ভীষন পরিমিত ভাবে বিশাল বিশাল ছবি বানাতেন।
বাংলা লিন্কের বিজ্ঞাপন নির্মাতারাও ছবি বানানোর স্বপ্ন নিয়ে বিশাল বিশাল বাজেটে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিজ্ঞাপন ছবি বানাচ্ছেন। আশা করি এক দিন তারাও নিশ্চয় বড় ছবি বানাবেন। তবে ভয় হয় ১ মিনিটের ছবি বানাতে তারা যে ১৫/২০ লাখ টাকা মজুরী নেন একটা ১২০ মিনিটের ছবি বানাতে না জানি তারা কতটাকার মজুরী নেবেন! এই দুরমূল্যের বাজারে শিল্প সংস্কৃতি কি কেবল তারাই করাবেন/করবেন, যার আছে ভূড়ি ভূড়ি!
এ্যাড ফিলিমটা সেইরকম জটিল হইছে মাম্মা! আমাদের নীল দরিয়া থেকে শহীদ মিনার, বিভূতি বাবুর অপু দূর্গা থেকে প্রেমাংশুর রক্ত চাওয়া নির্মলেন্দু গুন কর্পোরেট নজরে পড়েছে সবাই। নির্মাতা থেকে অভিনেতা সকলেই খোশ। মাল পানি জিন্দাবাদ গুরু! আমাদের সকল আবেগ অনুভূতির তারাই ধারক তারাই প্রচারক। আমরা কেবল আবেগ দিয়া চাইয়া চাইয়া দেখব, আর কথা বলে যাবো, "ইশ। কত্ত কথা বলেরে..."
হ্যা অসহায়ের মতো আমরা ত কেবল কথাই বলতে পারি, আর ত কিছু পারি না!
* ছবি গুলো অপু দূর্গা লিখে নেট থেকে সংগ্রহ করে নিয়েছি
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩