কোথায় যেন দেখেছিলেম তোমায়? ???
কোথায়, ,,,,,কোথায়, ,,,,,,কোথায়? ??
হুমম, ,,,,মনে পড়েছে! শিরীষ বনের ধারে যে নদী আছে , সেইখানে, ,,নাইতে দেখেছিলেম তোমায় ।
খুব যে সুন্দরী তুমি, তা কিন্তু নয়! কিন্তু একটা আলগা চটক আছে তোমার মধ্যে ।
শিরীষ বনের ধারের ঘোলা নদীর জলে তোমার ভেজা শরীরে যখন শিরীষ গাছের ফাঁক দিয়ে রোদ এসে পরে, ,,,,,মোহময়ী দেখায় তোমায়!
রোদ আর জলের মিশ্রণ খেলা করে তোমার গায়ে!
শিমুল , শিরীষের ছায়া মাখামাখি হয়ে তোমার শরীর ছোয়!
বয়ে আসা ঝর্ণার জল নদীর বুকে ঢেউ তুলে মিশে গেছে গলে যাওয়া মাটির সাথে, ঘোলা করেছে নদী ভরা জল ।
তোমার ভেজা শাড়ি আর ভেজা চুলের জল মাটির বুকে পরে রসনার সৃষ্টি করে ।
আমি দু চোখ ভরে সেদিন দেখেছিলেম তোমায়, ,,,,,!
যেন কোনও অনন্ত কাল থেকে তোমারই খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছি আমি!
বলেছিলেম মনের কথা, ভালোবাসার কথা !
তুমি খানিক হেসেছিলে সেদিন, ,,,,,উত্তর দাও নি কিছুই!
ঘোলা জল গায়ে মেখে, জলে ছলাৎ ছলাৎ শব্দ তুলে হারিয়ে গিয়েছিলে গহীন শিরীষের বনে, ,,,,,,,।
আমি কেবল নির্বাক হয়ে চেয়েছিলেম সে পথে ।
তারপর কেটে গিয়েছে এতগুলি বছর, ,,,,,,
আমি ভুলতে বসেছিলেম অনামিকা নারীর চঞ্চল যৌবন দীপ্ত শরীরের কথা, তার রাশি রাশি অবাধ্য চুলের কথা, তার চিকন কোমড়ে এলোমেলো শাড়ির কুঁচি, আর ভুলে গেছি শিরীষ বন আর ঘোলা জলের নদীর কথা, ,,,,,,।
তবে আজ কেন তুমি সামনে এসে দাঁড়ালে অমন করে?
কেন পা রাখলে এই ভিরে ঠাসা শহরের বুকে?
যদি কেউ তোমার যৌবন, অমন চিকন শরীর খুবলে খায় !!!
পারবে নিজেকে বাঁচাতে?
সেদিন তো ছুরে ফেলে দিয়ে চলেগেছিলে আমার ভালোবাসা ।
তবে আজ কেন ফিরে এলে?
ফেলিনি তো! !!!
সে প্রেম আমি কুড়িয়ে রেখেছিলেম, আঁচলের খুটে বেঁধে!
তুমি চলে যাওয়ার পর এসেছিলেম শিরীষ বনের ধারে, চিৎকার করে কেঁদে ছিলেম কতো, ,,,,,,নিজের অসহায়ত্বের কাছে, সমাজের নিষ্ঠুর নিয়মে বিধবার প্রেম যে মানা, ,,,,,!
কিন্তু আজ সময় এসেছে মুক্তি পাওয়ার বৈধব্য রোগের সাদা কাপড়ে রঙিন বসন্ত মেখে নেওয়ার!
তুমি কি রাজি হবে? ???
নিশ্চয়ই, ,,,,আরও একবার শিরীষ বনের গহীনে খুঁজবো যৌবন মাখা প্রেম, ,,,,,!!!!