কাল শেভ করতে গিয়ে খোকনকে পেলাম। সে নাকি দোকান বিক্রি করে দিয়েছে। কিনে নিয়েছে এক বিহারী। কি মনে করে ফোন দিলাম পুরানো পাড়ায়। গনেশও নেই। কাকতালীয় মিল। দেশের হিন্দু নাপিতগুলোকে কি ভিটেমাটি ছাড়া করা হচ্ছে? করছে কারা? লোকালটক হচ্ছে দেশের একটি বিশেষ ঘরানার সুশীল বলদ ছাগাকারদের সঙ্গে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
যেমন কলুর কথাই ধরন। আমরা পড়েছি কলুদের বলদ থাকে। কিন্তু কলু নিজেই একটা বলদ। তার সখা ছাগুরাম। কারণ দুজনেই লেজ উচিয়ে সামনে থাকতে পছন্দ করে। প্যাসিভ রোল। ছাগু মাকুন্দা, তার ছাগলা দাড়িও নাই। তাছাড়া হিন্দু নাপিতের কাছে ক্ষৌরকর্ম করলে শুনেছে ধর্ম যায়, তাই শিবিরের ম্যানুয়েলে দাড়ি কাটা নিষেধ। বড়জোর ছাটা যাবে, সেটাও জেনেভা ক্যাম্প থেকে। সম্প্রতি বিহারীরা নাগরিকত্ব পাওয়ার পর থেকে শিবির তাদের বিভিন্ন সেলুন দখল করে বসিয়ে দিচ্ছে। ছাগু এই খবর সেদিন নাকি বেশ রসিয়ে শুনিয়েছে কলুকে। তারা আবার সম্প্রতি বেশ মেসেঞ্জার কনফারেন্স করে। বিষয় আজ এটিমের গ্রুপ মেইলে কি লেখা ছিলো। চতুষ্পদগুলির তো আর জানা নেই গুরুরা তাদের ইচ্ছেকৃত নিউজ ফিড করছে। এমনকি পাসোয়ার্ডসহ নিক দিয়ে।
এখন নাপতালির আইডিয়াটা কলুর খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু সে তো রাজনীতি করে না। সে ঠিক করেছে ভিন্নভাবে এতে অবদান রাখবে। এজন্য সে সপ্তাহের ছুটির দিনটি বেছে নিয়েছে। সেদিন সে সামহোযারে নিজের ব্লগ খোলে। প্রতিটি পোস্টের প্রতিটি অক্ষর তীব্র ভালোবাসা নিয়ে বারবার পড়ে। আর নাকের চুল ছেড়া দিয়ে শুরু করে। তারপর যায় বগলে, আর তারপর নামতেই থাকে। তাই তার মাথার চুল বাড়তেই থাকে। কিন্তু সারা অঙ্গে এছাড়া বাড়তি কোনো পশম মেলা ভার। এতে এক ঢিলে দুই পাখী মারছে সে। নাপিতের পেটে লাথি দিচ্ছে, আর সামহোয়রে হু হু করে হিট বাড়ছে। (দুইলাখের হিসাব মিলিয়ে দিলাম)। লোকাল টক হচ্ছে শিগগিরই সে হিট বাড়ানোর উপায় এবং নাপিতের খরচ বাচানোর এই কৌশলটি জানিয়ে প্রথম আলো ব্লগে স্টিকি পোস্ট দেবে।