somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণতন্ত্র ও বিশ্বায়ণ - হিপোক্রেসীর হাতিয়ার

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণতন্ত্র ও বিশ্বায়ণ - দুটিই খুব সুন্দর ও আকর্ষনীয় শব্দ। আর এ দুটো ব্যবহার করেই আধুনিক বিশ্বে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। বিশ্বের চরম দারিদ্রের জন্য এতদিন 'গণতন্ত্র' শব্দটিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল, ইদানীং তার সঙ্গে যোগ দেয়া হয়েছে 'বিশ্বায়ণ'। বিশ্বায়ণ তন্ত্রে বলা হচ্ছে পণ্য ও বিনিয়োগের চলাচল মুক্ত ও অবাধ হতে হবে, কারণ এর প্রবক্তাদের যে এ দুই ই আছে। যদি সত্যিকারে বিশ্বায়ণের কথা বলি, সে তন্ত্রে সবকিছুরই মুক্ত ও অবাধ চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে, মানুষের চলাচল সহ। কিন্তু প্রবক্তারা কি এটি গ্রহণ করার জন্য তৈরী? আংশিক মুক্তির ধারণার পিছনে রয়েছে শক্তিশালী প্রবক্তাদের হিপোক্রেসী।

শিল্পোন্নত বিশ্বের তৈরী শিল্প পণ্য যেন বিনা শুল্কে তৃতীয় বিশ্বে ঢুকতে পারে সে জন্য চাপ দেয়া হয়, কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের পণ্য যেন সহজে শিল্পোন্নত দেশে ঢুকতে না পারে সে জন্য 'মান নিয়ন্ত্রণের' হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়। যদি মুক্ত বাণিজ্যের দর্শনের কথা বলা হয়, তবে এ নিয়ন্ত্রণ কেন? ক্রেতার সমঝদারীই ঠিক করে দেবে কোনটি টিকবে আর কোনটি টিকবে না।

আবার একই সময়ে তৃতীয় বিশ্বের খাদ্যশস্যের উপর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র ৩০০% থেকে ৫০০% শতাংশ আমদানী শুল্ক আরোপ করে। এর বাইরেও তাদের কৃষকদের আভ্যন্তরীন ও রপ্তানী ভর্তুকী দেয়া হয়। যুক্তি - নাহলে এরা প্রতিযোগিতায় হেরে যাবে। ওয়ার্লড ট্রেড এর নীতিমালার মধ্যে এজন্য কিছু সুযোগ রাখা আছে, কিন্তু তা কেবল শক্তিশালীরাই ব্যবহার করতে পারে। দুর্বলের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করা হয় সে সুযোগ ব্যবহার না করতে পারার জন্য। তার উপর বাংলাদেশের মত দেশের নীতিনির্ধারকদের হীনমন্যতা ও অযোগ্যতা বাড়তি সুযোগ করে দেয়। পাশ্চাত্যকে খুশী করার জন্য আমরা আগ বাড়িয়ে আমাদের সব খুলে-তুলে দিই। তাই নব্বই এর দশকে বিশ্বায়ণের প্রবর্তনের সাথে সাথেই আমরা রাজী হয়ে যাই, যেখানে ভারত ও চীন আসে অনেক পরে, অনেক সাবধানতার সঙ্গে। এ বিষয়ে চীনের এক প্রেসিডেন্টের কথা মনে পড়ে। তিনি বলেছিলেন যে আমরা বিশ্বায়ণ প্রক্রিয়ায় একজন সক্রিয় খেলোয়াড় হতে চাই, তাই এর প্রস্তুতির জন্য আমাদের কিছু সময় দরকার। প্রস্তুতি সে নিয়েছে, আর প্রস্তুতি নিয়ে যখন যোগ দিয়েছে, পাশ্চাত্যের প্রবক্তাদের সে এক হাত দেখিয়ে দিয়েই ছাড়ছে।

তাই আমার দেশের নেতৃত্বের হীনমন্যতা ও অযোগ্যতা থেকে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত আমরা মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারব না।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×