somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রচলিত গণতন্ত্র কেবলমাত্র 'নাগরিক' দের জন্য, গ্রামবাসীর জন্য নয়

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণতন্ত্র কার জন্য? - তত্বগতভাবে বলা হয় গণতন্ত্র হচ্ছে “নাগরিক” বা “সিটিজেন” দের জন্য। কথাটি কিন্তু আক্ষরিক অর্থেও সত্যি মনে হয়। অর্থাৎ গণতন্ত্র “নাগরিক” দের জন্য - যারা নগরবাসী, কেবল তাদের জন্য। কারণ কেবল তারাই পারে নিজের আয়ের স্বল্প ক্ষতি স্বীকার করে রাজধানীতে বা নগরে আসীন নব্য রাজাদের জীবনকে একটু হলেও জিম্মি করে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে, তাদের প্রভাবান্বিত করতে, নিজেদের অধিকার আদায় করতে। এজন্য আমরা দেখি ছাত্র-শ্রমিকদের সমস্যা হলে রাজপথ আটকিয়ে ভাংচুর করতে, শহর নগরের জীবনকে স্থবির করে দিতে, তখন তাদের সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু গ্রামের মানুষের পক্ষে শহরের জীবনকে আঘাত করা খুবই কঠিন, কারণ এটি অপরিচিত এক জগৎ, তাই গ্রামের মানুষের সুখ-দু:খের কথা কিভাবে নব্য রাজাদের কাছে যাবে, কিভাবে তাদের ভাবাবে? পাশ্চাত্যের অনেক দেশে শিল্পায়নের ফলে সবাই প্রায় শহরবাসী হয়েছে, তাই তাদের পক্ষে ‘নাগরিক’ হওয়া সম্ভব হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের মত গ্রামপ্রধান দেশে তা কি সম্ভব? আর ভাংচুরের মাধ্যমে অধিকার আদায়ের পথটিকে কি আমরা বেছে নেব? ভাংচুর না হলেও কেবল মিছিলও জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে, আর যারা মিছিল করে তাদেরও অনেক কাজ ফেলে, অনেক ক্ষতি স্বীকার করেই তা করতে হয়। এ পথও বা কেন বেছে নিতে হবে আমাদেরকে? যদি পদ্ধতি এমন থাকে যে যথাযোগ্য যুক্তিই একটি পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট, তবে তো মিছিল ভাংচুরের দরকার হয় না।
তাই ঠান্ডা মাথায় একটু ভাবা দরকার, যেভাবে গনতন্ত্র সংজ্ঞায়িত হয়েছে বা চলছে তা কি ঠিক? সত্যিই কি সে তার কাঙ্খিত ফলাফল কখনও দিতে পারবে?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এসব লুটপাটের শেষ কোথায়!

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

আধা লিটারের পানির বোতল দোকানদার কেনে সর্বোচ্চ ১২.৫০ টাকায় আর ভোক্তার কাছে বিক্রি করে ২০ টাকা। এগুলো কি ডাকাতি না?

গোপন সূত্রে যতটুকু জানা যায়,
প্রাণ ৮.৫ টাকা কেনা
ফ্রেশ ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।



আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা
March for Gaza | ঢাকা | ২০২৫

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আল্লাহর নামে শুরু করছি
যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী,
যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা—যারা জুলুমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডক্টর ইউনুস জনপ্রিয় হয়ে থাকলে দ্রুত নির্বাচনে সমস্যা কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১



অনেকেই ডক্টর ইউনুসের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন। এর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় নির্বাচন। আদালত যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল করেছে সেহেতু ডক্টর ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডিসেম্বরে নির্বাচন : সংস্কার কাজ এগিয়ে আনার পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৯


ড. ইউনূস সাহবে কে বুঝি পাঁচবছর আর রাখা যাচ্ছে না। আজ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সাথে মত-বিনিময়ের সময় ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন কে সামনে রেখে তিনি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের এগিয়ে আনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×