ভাবছিলাম স্কুলের দিনগুলোর কথা। নতুন একজন প্রেসিডেন্ট হয়েছে। ক্লাস টিচার নাম মুখস্থ করতে বললেন। সে নাম মোটেও মুখস্থ হতে চায় না। মানুষের নাম যে এমন হয় কিভাবে সেটাও চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল। প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। আর ইংরেজীতে সেই নামের সবচেয়ে বিদঘুটে শব্দটা ছিল লেফটেনেন্ট..উহু কত দূরে অথচ কত সজিব সেই দিনগুলি।
বাচ্চারা তাদের স্কুলের দিনগুলি ভুলতে পারে না। যদি পাঠ্য হয় বিনোদনের, মুহূর্তগুলো কাটে আনন্দে...শিক্ষা গ্রহণ হয়ে উঠতে পারে একজন শিশুর অতীব প্রার্থণীয়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল বলে ৮২ সালে ক্লাস থ্রির শিক্ষকদের আমি স্পষ্ট মনে করতে পারি। যদিও মাত্র বছর তিনেক তাদের সংস্পর্শে ছিলাম কিন্তু এখনও সেইদিন গুলো অনেক বেশী এনলাইটেড মনে হয়।
৮২ এর সাথে ২৭ বছর যোগ হয়েছে। প্রাইমারী স্কুলের চিত্র আমার দেখা হয় নি। বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা-ব্যবস্থার সাথেও পরিচয় হয়নি। তবে প্রতিনিয়ত যা শুনছি তাতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির অবস্থা যে সবচেয়ে শোচনীয় অনুমান করতে পারি। একজন প্রধান শিক্ষকের বেতন ৭ হাজার টাকারও কম। কিভাবে সম্ভব এই বেতনে সংসার চালানো?
একটা জাতির প্রাথমিক শিক্ষা-ব্যবস্থার উন্নয়নের নকশা ছাড়া সেটার কি আসলে কোন গন্তব্য থাকে? ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা এনজিওর স্কুলগুলোর অবস্থা তো আরো শোচনীয়। কারা পড়াচ্ছে কি পড়াচ্ছে তার কোন কুল কিনারা খুঁজে পাওয়া যায় না। বেতন শুনলাম সরকারী স্কুলের চেয়েও কম!
রুবেলের "আমাদের পাঠশালা"কে আমার একটা মডেল স্কুল মনে হয়েছে। একটা স্বপ্নের বিদ্যালয়।
আগামী শনিবার সকাল ১১টায় পল্লবীস্থ ঐ স্কুলটা ঘুরে দেখার আরেকবার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বেশ ভাল লাগছে কেউ কেউ সত্যিই স্কুলটা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
আমাদের পাঠশালা নিয়ে কয়েকটা পোস্টের লিংক।
আজকে আমার আরেকটা পোস্ট
সাদিকের গতকালের পোস্ট
২০০৯ এর বাংলা বর্ষবরণ পোস্ট
আমাদের পাঠশালার বর্ষবরণ আহবান করে পোস্ট
২০০৮ এর বর্ষবরণের পোস্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:২৪