somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ছোট কাগজ কথিকা
আমি পেশায় একজন শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সংবাদকর্মী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখে থাকি।

একতার আলোর পথে

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটি ছোট শহর, যেখানে প্রতিটি মানুষের মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ থাকে। সেখানে বিভিন্ন চরিত্রের একঝাঁক মানুষ তাদের জীবন সংগ্রাম ও স্বপ্নের পথে একে অপরের সঙ্গে মিলে এক নতুন অধ্যায় তৈরি করছে।

গল্পের শুরু
শহরের এক কোণে ওয়ালিয়া আজহার নামে এক শিক্ষিকা বাস করেন। তিনি শুধু শিক্ষিকা নন, একজন আদর্শ মা। তাঁর দুটি কন্যা, আরুশি ও আয়েশা, শহরের সেরা বিদ্যালয়ে পড়ে। তাঁর স্বামী আজহার উদ্দিন, সাহসী এবং বন্ধুবৎসল এক মানুষ। তিনি সব সময় সমাজের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। তিনি একজন লেখকও বটে এবং সমাজে চলমান অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরতে কখনও ভয় পান না।

ওয়ালিয়ার একজন কাছের বন্ধু হলো ওয়াহিদা আক্তার, যিনি চিন্তাশীল ও বুদ্ধিমতি নারী। তিনি সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে গভীরভাবে ভাবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন। ওয়াহিদার জীবনেও রয়েছে এক সেরা ব্যক্তিত্ব, যার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। সেই মানুষটি হলেন সাদ্দাম হোসেন, এক প্রতিভাবান বিজ্ঞানী, যিনি একটি অত্যাধুনিক প্রজেক্টের কাজ করছেন, যা পৃথিবীকে নতুন এক দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে। তাঁর আবিষ্কার যদি সফল হয়, তা হলে এটি নতুন যুগের সূচনা করবে।

সংগ্রামের পথে
শামিমা, সংগ্রামী ও সাহসী নারী, শহরের একটি ছোট ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন, যেখানে তাঁকে প্রতিদিন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাঁর একমাত্র মেয়ে কনা, শিক্ষিত ও মমতাময়ী মা, তাঁকে দেখাশোনা করেন। কনা তাঁর মায়ের জন্য সব সময় এক প্রেরণা হিসেবে কাজ করেন। শামিমা সব সময় কনাকে বলতেন, "তুমি শিক্ষিত হয়েছ, এখন তোমার দায়িত্ব হলো সমাজকে শিক্ষিত করা।"

এই শহরেই আব্দুল কাদির জীবন নামক একজন সৃজনশীল ও উদ্যমী লেখক বাস করেন, যিনি সমাজের প্রতিটি দিক নিয়ে লেখেন। তাঁর লেখা বহু মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলে, বিশেষত তরুণদের মাঝে। তাঁর লেখাগুলো আজহার উদ্দিনের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি সমাজের পরিবর্তনের জন্য কলম ধরেন, আর আব্দুল কাদির জীবন তাঁর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

একদিন ওয়ালিয়া এবং আজহার উদ্দিন সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের এই ছোট শহরে এক নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠা করবেন, যেখানে কনা এবং শামিমার মতো মায়েরা তাঁদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারবেন। তাঁদের স্বপ্নের পথে সঙ্গী হন মোজাম্মেল হক ফারহান, একজন শিল্পপতি ও দানবীর, যিনি এই উদ্যোগে সহায়তা দিতে আগ্রহী। তাঁর দানশীল মনোভাব শহরের অনেক মানুষকে সাহায্য করেছে, এবং তিনি সব সময় সমাজের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেন।

নতুন অধ্যায়
শহরের প্রতিটি চরিত্র এক নতুন ভবিষ্যতের জন্য একত্রিত হয়। আবু হানিফ, এক সাহসী ও রোমাঞ্চপ্রিয় তরুণ, স্কুলের নতুন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি তরুণদের উৎসাহিত করেন নিজেদের জীবন নিয়ে নতুন কিছু করতে এবং সমাজে কিছু পরিবর্তন আনতে। তাঁর উদ্যোগে শহরের নতুন প্রজন্ম নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যায়।

সবার মিলিত প্রচেষ্টায় শহরে একটি নতুন শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যেখানে মানুষ নতুন আশা ও উদ্যমে কাজ শুরু করে। সাদ্দাম হোসেন তাঁর নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে এই শহরের নাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন, আর ওয়াহিদা আক্তার ও ওয়ালিয়া আজহার তাঁদের সমাজকে আরও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

সমাপ্তি
এই ছোট শহরের মানুষদের সংগ্রাম ও সফলতার গল্প এভাবেই একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনোভাবে প্রভাবশালী ঘটনা ঘটে, যা সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে। সবার সম্মিলিত উদ্যোগে শহরটি শান্তি ও সমৃদ্ধির এক নতুন মডেল হিসেবে গড়ে ওঠে।

এই গল্পটি তুলে ধরে কিভাবে সমাজে একত্রে কাজ করে মানুষ নিজেদের ও অন্যদের জীবন পরিবর্তন করতে পারে। প্রতিটি চরিত্রের আলাদা আলাদা গুণাবলী সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলেছে, যা তাদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। স্তরে প্রভাব ফেলেছে, যা তাদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি জাতির কান্না......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

একটি জাতির কান্না......

স্বাধীন সিকিম রাষ্ট্রের ভারত ভুক্তির নেপথ্য!
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান ব্রিটিশদের কাছে থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ওই সময় উপমহাদেশে ৫৬৫ টি "Princely States" বা "সতন্ত্র দেশিয় রাজ্য" ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব কিসের ইঙ্গিত?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৯


ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার দাবিতে হঠাৎ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষোভ মিছিল! সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্দেশ আছে তোকে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার’ - হুমায়ুন কবির

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

(মানব জমিনে হুমায়ুন কবির ভাইয়ের গুম নির্যাতনের কথা পড়ে মনোকষ্ট নিয়ে বসে আছি। আপনার জন্য দোয়া করি, আপনাদের আত্মত্যাগেই এই জাতি স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, এখন কাজ হচ্ছে তাদের বিচার করা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার জন্য কোটার দরকার আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬



**** চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না বাংগালী জাতি, কিন্তু চাকুরী থেকে তাড়াতে জানে; কিছু কিছু ব্লগার মানুষকে তাদের কাজের যায়গা থেকে বিতাড়িত করার জন্য ব্লগে চীৎকার করছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ফিরে যেতে ইচ্ছে করে কৈশোরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫


এখানে কী আছে বলো তো, এখানে কী আছে আর
কেন যে সময়ের পিঠে হলাম সওয়ার;
সময় আমায় নিয়ে এ কোথায় এলো
স্বপ্ন সব হয়ে গেল এলোমেলো।

সেই প্রাথমিকের গন্ডি, পা রাখি ইচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×