সময় সন্ধ্যা ৬.৩০ । পলাশ বাসায় ফেরার সময় হয়ে গিয়েছে ।
রুপা আজ শাড়ি পরেছে । পলাশের প্রিয় নীল রঙের শাড়ি আর খোঁপায় বেলি ফুলের মালা । রুপা প্রায়ই পলাশ বাসায় ফেরার আগে এমন শাড়ি পরে হালকা সাজগোজ করে থাকে । সংসারের শুরু থেকেই এমনটি করে আসছে । পলাশ অফিস থেকে বাসায় ফিরলে এভাবে শাড়ি পরে সেজে ওকে সারপ্রাইজ দিতে খুব ভালোবাসে রুপা । প্রথম প্রথম পলাশ চমকালেও এখন আর চমকায়না তবে মনে মনে অপেক্ষায় থাকে কবে রুপা ওমন করে সেজে দরজা খুলে দিবে আর ওর হাসি হাসি স্নিগ্ধ মুখখানি দেখে তার সারাদিনের ক্লান্তি একনিমিষে দূর হয়ে যাবে ।
আজকে কোন বিশেষ দিন না হলেও রুপা অনেক খুশী কারন আজ সে পলাশকে ওর জীবনের অন্যতম একটি খুশীর খবর দিতে যাচ্ছে ।
৬.৫০ হয়ে গেল কিন্তু পলাশ এখনও আসছেনা। রুপা একবার ভাবলো ফোন দিবে কিন্তু দিলনা । ও খুব চালাক । বেশী ফোন দিলে ঠিক বুঝে ফেলবে এদিকে রুপা কোন গোল পাকাচ্ছে । শেষমেশ ওর সারপ্রাইজের মজাটাই যাবে শেষ হয়ে ।
এই ফাঁকে রুপা ঘর গোছাতে লেগে গেল । পলাশ অনেক গোছ গাছ সবকিছুতে তাই রুপাও খেয়াল রাখে সবকিছু একটু বেশীই । এই যেমন বিছানার চাঁদর এলোমেলো থাকা ওর একদম পছন্দ না । তাই ও যখনই ওয়াশরুমে যায় রুপা চট করে বিছানার চাঁদরটা টান টান করে ফেলে।
কাজ না করলেও পলাশ আবার খুব সুন্দর গুছিয়ে কাজ করতে পারে । নতুন সংসারে আসার পর রুপা অনেক কিছু পারতো না তখন পলাশ হাতে ধরে ওকে সব শিখিয়ে দিয়েছে । কিন্তু এখন এক গ্লাস পানিও ঢেলে খেতে দেয়না ওকে রুপা ।
একদিন দুষ্টুমি করে পলাশ বলছিলো তুমি আমাকে এত আদর যত্ন কর মাঝে মাঝে আমার নিজেকে মহারাজা মহারাজা লাগে । রুপা হাসি দিয়ে বলেছিল তুমি তো আমার মহারাজাই ।
আচ্ছা? মহারাজাদের কিন্তু অনেকগুলো বউ থাকে জানো তো ? তাহলে আমিও কিন্তু অনেকগুলো বিয়ে করবো । তবে তুমি থাকবে আমার প্রধান রানী। পলাশ হাসতে লাগলো ।
ইশ! আসছে ! আমি কিন্তু অনেক পাঁজি। আমি ছাড়া আর কোন মেয়েকে তোমার ছায়ার কাছেও আসতে দিবোনা । মেরে দিবো কিন্তু একদম ।
হা হা ! আমাকে না মেরে তুমি ওদেরকে মারবে কেন ?
তোমাকে আমি ভালোবাসিনা তোমাকে কেন কিছু করবো ছিঃ ! ওদেরকেই মেরে ভাগিয়ে দিবো ।
মুহূর্তেই যেন ঝাসি কি রানীর রুপ ধারন করে ফেললো রুপা ।
বাসে করে বাসায় ফিরতে ফিরতে পলাশ বার বার হাতের খামটার দিকে তাকাচ্ছে । ওর স্বপ্ন হাতের মুঠোয়। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইচ্ছে সব ছেলেরই থাকে পলাশও তার ব্যতিক্রম নয় । ঢাকায় একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো পোষ্টে চাকরী করলেও আরও কিছু সাফল্য অর্জনের স্বপ্ন ওকে পেয়ে বসেছিল । সেই স্বপ্ন এখন ওর হাতের খামটির ভেতরে । কিন্তু খবরটি সে রুপাকে কিভাবে দিবে তা ভেবে পাচ্ছেনা । খবরটি শোনার পর বেচারীর মনের অবস্থা কেমন হবে তা ভাবলেই ওর বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে ।
কেন যে মেয়েটি এতো ভালোবাসে আমাকে । মাঝে মাঝে ওর আমাকে এতো বেশী ভালোবাসাটাও কেমন যেন ভারী মনে হয় । একটু কম ভালোবাসলেও তো বাঁচা যায় । এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে রুপা যদি আমাকে একটু কম ভালোবাসতো তাহলে হয়তো আমার জন্য সবকিছু সহজ হতো ।
পলাশ এবং রুপার সংসারের বয়স ৯ মাস । প্রায় ৩ বছর প্রেম করার পর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় ওদের । কিন্তু তাও খুব একটা সহজ ছিলনা । রুপার পরিবার সম্পর্ক করে বিয়ের ব্যাপারে রাজী হচ্ছিলো না । কিন্তু রুপার এককথা সে পলাশ ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবেনা তা সে যে হোক না কেন । শেষ পর্যন্ত সবাইকে মানিয়ে সংসার জীবনে পা রাখতে সক্ষম হয় দুজনে । দুই পরিবারই থাকে চিটাগাং । আর ওরা দুজন পলাশের চাকরী সুত্রে ঢাকায় ।
দুই রুমের ছোট ছিমছাম একটা বাসা ওদের । রুপার খুব সখ ছিলো ওদের বাসায় বড় একটা বারান্দা থাকবে । সেখানে বেলি, জবা, গাঁদা ও গোলাপ ফুলের গাছ থাকবে আর থাকবে দুইটা বেতের চেয়ার। যখন ও বাসায় একা থাকবে তখন ওখানে বসে গল্পের বই পড়বে আর পলাশের ছুটির দিনে একসাথে বসে চা খাবে আর গল্প করবে । বাস স্টপ থেকে একটু দূরে হলেও বাসাটায় একটা বড় বারান্দা আছে তাই পলাশ এই বাসাটাই নিয়েছে শুধুমাত্র রুপার জন্য । দুজনে মিলে অনেক ঘুরে ঘুরে সংসারের সবকিছু কিনেছে । আর বারান্দার ফুলগাছগুলো সব রুপার কেনা ।
বিয়ের রাতে পলাশ রুপাকে জিজ্ঞেস করেছিল এখনতো তুমি আমার বউ । বউ হিসেবে তুমি আমার কাছে কি চাও । রুপা হেসে বলেছিল আমার যা চাওয়ার তাতো আমি পেয়েই গিয়েছি । তুমি আমাকে তোমার বউ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছ এর চেয়ে বড় পাওয়া আমার জীবনে আর কিছু নেই । এখন শুধু তোমার বউ হয়ে সারাজীবন তোমাকে ভালোবাসার অধিকারটুকু চাই আর চাই চোখ বন্ধ করে তোমাকে বিশ্বাস করে তোমার উপর ভরসা করে নিশ্চিন্তে তোমার সাথে সংসার করতে । আর আমাকে খুব বেশী ভালো না বাসলেও চলবে তোমার । রুপা হেসে দিল । শুধু যতটুকু ভালোবাসলে আমি ভারমুক্ত থাকতে পারবো ততটুকু বেসো ।
পলাশ কিছু বলতে যাচ্ছিলো । রুপা ওকে চুপ করিয়ে দিয়ে বললো, দেখ আজকে আর কোন কথা না । আমার যে বিশ্বাসই হচ্ছেনা আমি তোমার বউ হতে পেরেছি। এটা যে আমার কত বড় সুখ তা তুমি বুঝবেনা । আজকে আমি সারারাত তোমার বুকে মাথা রেখে চুপ করে শুয়ে থাকবো যতক্ষণ মন চায় আর আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ এই সুখটুকু অনুভব করবো । পলাশ হেসে রুপাকে তার বুকে টেনে নিলো ।
রুপা কেমিস্ট্রি তে মাস্টার্স করেছে । বিয়ের পর খুব ভালো একটা কোম্পানিতে ওর চাকরী হয় । কিন্তু ও বলেছিল আমি শুধুই সংসার করবো । সকালে ঘুম থেকে উঠে তোমাকে নাস্তা করে দিবো, তুমি অফিস যাওয়ার সময় এটা ওটা এগিয়ে দিবো, তোমার কাপড় ধুয়ে দিবো, কাপড় গুছিয়ে রাখবো, তোমার পছন্দের খাবার রান্না করবো, ঘর গোছাবো, তুমি অফিস থেকে ফেরার সময় হলে বারান্দায় দাড়িয়ে তোমার ফেরার অপেক্ষা করবো তারপর তুমি আসলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিবো ।
এসব ভাবতে ভাবতে বাস চলে এলো গন্তব্যে । একটু হেটে বাসায় যাওয়ার আগে সামনে চায়ের দোকানে বসলো পলাশ । মানসিক ভাবে অনেক দুর্বল লাগছে ওর । একদিকে এতদিনের একটা স্বপ্ন পুরণ অন্যদিকে রুপার মলিন মুখখানি। কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা। প্রথমে সে এতকিছু ভাবেনি কিন্তু আজ যেন দুদিকের টানাপোড়নের যুদ্ধে ভেতরে ভেতরে রক্তাক্ত হচ্ছে ।
সময় যখন ৭.২০ তখন পলাশকে ফোন দিল রুপা ।
কইগো তুমি । দেরী হচ্ছে যে ?
এইতো চলে এসেছি, বাসার কাছেই ।
আচ্ছা ঠিক আছে, আসো ।
সারাদিন কাজ করতে করতে কিভাবে সময় চলে যায় বুঝেইনা কিছু রুপা কিন্তু সন্ধার পর থেকে অপেক্ষার প্রহর যেন আর শেষই হয়না । মানুষটা যখন বাসায় থাকে কোন কথাবার্তা না বলে যদি লাইট অফ করে ঘুমিয়েও থাকে তবুও কি শান্তি লাগে মনে । ঘরে গিয়ে যখন মানুষটাকে দেখে তখন নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হয়।
বিয়ের দুই তিন মাস পরের কথা । সব বন্ধুরা মিলে আরেক বন্ধুর বাসায় গেট টুগেদারের পার্টিতে একরকম জোর করে পলাশ কে রাতে রেখে দিয়েছিলো । রাতের বেলা দুঃস্বপ্ন দেখে ভয়ে ওপাশে পলাশকে ধরতে গিয়ে দেখে ও পাশে নেই তখন আরও বেশী ভয় পেয়ে গিয়েছিলো রুপা । তারপর সারারাত লাইট অন করে ঘুমিয়েছিল ।
পরেরদিন বাসায় ফিরলে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলেছিল তুমি আর কখনও আমাকে ছেড়ে রাতের বেলা বাইরে থাকবেনা । পলাশ রুপাকে কাছে টেনে নিয়ে বার বার সরি বলছিলো আর কথা দিয়েছিলো আর কখনও ওকে একা রেখে বাইরে থাকবেনা ।
এসব ভাবতে ভাবতে কলিংবেল বেজে উঠলো । কাজের মেয়েটি দৌড়ে যাচ্ছিলো দরজা খুলতে ।
রুপা বলল তোর ভাইয়া এসেছে আমি দরজা খুলবো তুই ভেতরে যা ।
খবরটি শোনার পর পলাশের উচ্ছ্বসিত মুখখানি কল্পনা করতেই কি যে ভালো লাগছে রুপার । সামনা সামনি তা দেখার আর তর সইছেনা ।
একদিন ইউটিউবে ছোট বাচ্চাদের মজার কিছু ভিডিও দেখছিলো আর হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরছিলো পলাশ। বাচ্চারা তো আসলেই অনেক কিউট হয় । দেখ দেখ কি করছে দুষ্ট গুলো । আমাদের একটা হলেও অনেক মজা হতো ।
তখনই রুপা ভেবেছিলো পলাশকে একটি লিটল এঞ্জেল উপহার দিবে । যার সাথে ও খেলবে দুষ্টুমি করবে ।
পলাশ ঘরে ঢুকল একদম মনমরা হয়ে । ও ভেবেছে কোনরকম ভুমিকা না করে রুপার হাতেই চিঠিটা দিয়ে দিবে । রুপা এত বেশী আনন্দিত যে পলাশের মনমরা চেহারা খেয়ালই করলো না ।
পলাশ দেখলো টেবিলের উপর একটা কেক, কিছু মোমবাতি আর একগুচ্ছ ফুল ।
আজকে কি কোন বিশেষ দিন ? মানে কোন জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী এমন কিছু ?
রুপা হেসে দিয়ে বললো তুমি যেদিন আমার জীবনে এসেছো তারপর থেকে প্রতিটি দিনই আমার জন্য বিশেষ । যাওতো তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসো । তোমার জন্য একটি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে ।
আমি আজ তোমাকে যে সারপ্রাইজ দিতে যাচ্ছি তার চেয়ে বড় আর কি সারপ্রাইজ হতে পারে ? পলাশ ভেতরে যেতে যেতে মনে মনে বললো ।
ফ্রেশ হয়ে পলাশ ডাইনিং রুমে গেলো । হাতে চিঠিটা । এই চিঠিটার ভার সে আর নিতে পারছেনা । রুপা কিছু বলার আগেই তার হাতে চিঠিটা দিল পলাশ ।
কি এটা ?
একটা লেটার । খুলে দেখো ।
রুপা চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করলো । মুহূর্তের মধ্যে রুপার চেহারার রঙ পাল্টে গেলো ।
Congratulation Mr Palash Ahmed. We are pleased to inform you that you have been appointed for the position of a Branch Manager for Singapore Branch.
রুপা চিঠিটা পড়তে পড়তে পলাশ কেকের প্যাকেটটা খুলে হতভম্ব হয়ে গেলো ।
Congratulation Love. You are going to be a father.
দুজন দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে রইলো । দুজনই কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা ।
রাতের খাবার খেয়ে দুজনে বারান্দার মেঝেতে হেলান দিয়ে বসেছে ।
রুপাই শুরু করলো কথা ।
তুমি যে ওখানে অ্যাপ্লিকেশন করেছো আমাকে বলোনি কেন আগে ?
আসলে তখন সিনিয়ররা সবাই করছিলো তাই আমিও করে দিয়েছিলাম । যদিও চাইছিলাম হোক কিন্তু এত বাঘা বাঘা মানুষের মাঝে আমারই যে হয়ে যাবে তা বুঝিনি আর তখন এত কিছু ভাবিওনি । তুমিও তো আমাকে কিছু বলোনি ।
আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম ।
তারপর দুজনেই চুপ ।
অন্ধকারে পলাশ রুপার মুখটা দেখতে পাচ্ছেনা কিন্তু বুঝতে পারছে ও কাঁদছে ।
পলাশ কিছুক্ষণ ভেবে যা ডিসিশন নেওয়ার নিয়ে ফেললো । এই মেয়েটি, তার ভালোবাসা, তাদের অনাগত সন্তান, ওদের এই খুনসুটির সংসার এসব ফেলে ও কোথাও যাবেনা । এর চেয়ে বড় পাওয়া বড় অর্জন জীবনে আর কি হতে পারে ।
পলাশ একটানে রুপাকে কাছে নিয়ে আসলো ।
আচ্ছা , তুমি আমাকে ভালোবাসোতো ?
রুপা অভিমান করে ঠোঁট বাকিয়ে বললো, না ।
যাহ বাবা, যে কিনা আমাকে ভালোই বাসেনা তার জন্য আমার সিঙ্গাপুরের চাকরী না করে দিয়ে কি লাভ? ভালোবাসলে না হয় একটু ভেবে দেখা যেতো ।
রুপা খুশীতে বোকার মতো আরও বেশী করে কেঁদে উঠলো । আর পলাশ উঠলো হেসে ।
পলাশ বলল , আমাদের ছেলে হলে ভালো হয় না মেয়ে ?
আমার ছেলে পছন্দ রুপা বললো
আল্লাহ যা দেয় আলহামদুলিল্লাহ শুধু তোমার মতো গাধী না হলেই হলো ।
কি আমি গাধী ? তোমার মতো দুষ্টু হলে একটা পিট্টি দিবো ওকে ।
এই খবরদার। আমার বাবুর গায়ে হাত তোলা যাবেনা কিন্তু ।
ইশ তোমার একার নাকি আমারও ।
আমি কিন্তু ওকে স্কুলে পড়াবোনা । নিজে পড়াবো আর ধর্মীয় শিক্ষা দিবো । তবে তোমার কাছে ওকে পড়তে দেওয়া যাবেনা । তুমি যে বোকা কি পড়াতে কি পড়াবে, কি ভুল পড়াবে, পলাশ দুষ্টুমি করতে করতে বললো ।
আচ্ছা! তাই বুঝি ? আমি বোকা ? তোমার বাবু তুমি যেভাবে খুশী সেভাবে বড় করো । আমি আমার সংসার নিয়েই থাকবো ।
এমন হাজারো দুষ্টু আর মিষ্টি কথায় ওদের খুনসুটি চলতে লাগলো আর চলতে লাগলো ওদের খুনসুটির সংসার ।
বিঃ দ্রঃ গল্পটি পাঠকের কাছে কেমন লাগবে ঠিক বুঝতে পারছিনা । তবে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ । আমি আশা করবো পাঠকরা নিরপেক্ষ মতামত দিবেন যেন সামনে ভালো করতে পারি । এর আগের গল্পে দু একজন সিনিয়র ভাইয়া খুবই আন্তরিক ভাবে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন এই গল্পটি লেখার সময় তা মাথায় রাখার চেষ্টা করেছি । আজকেও যদি তেমন কিছু পাই তাহলে খুশী হবো ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩