ছোটবেলা থেকেই জানতাম সিংগাপুর হচ্ছে ফ্রি সেক্সের দেশ। জানার অন্যতম কারন ছিল আমার এক বড় ভাই এই সিংগাপুরেই থাকে প্রায় ১০ বছরের মত। সিঙ্গাপুরে যখন আমি আসি তখনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভালভাবে লেখাপড়া করে রেজাল্টটা ভাল করব এবং নিজের ঈমান যতটা পারি ধরে রাখব। এবং সেই সিদ্ধান্তেই অটুট আছি এখনো। প্রথম এখানে এসে আমারতো মাথা খারাপ। বেশীর ভাগ মেয়েরা সর্ট প্যান্ট এবং সেন্ডেল গেঞ্জীর মত টি সার্ট পরিধান করে। আর ছেলেরা ঠিক তার ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত জিন্স এবং টি সার্ট অনেকটা আমাদের মত। জীবন চালানোর তাগিদে সপ্তাহে ২ দিন পার্ট টাইম কাজ করি তাও এই কিছুদিন হল করছি। কাজের একটা বর্ণনা আমি আগে একটা ব্লগে দিয়েছিলাম। তখন আমার অনেক ব্লগের বন্ধুরা আমাকে অনেক সুপরামর্শ দিয়েছিল। যাই হোক ফালতু প্যাচাল না পাইড়া মূল কথায় আসি।
ঘটনা-১: থিসিস বা প্রজেক্টের কাজ করতে করতে মাঝে মাঝে ক্যাম্পাস থেকে আসতে রাত ২টা বা ৩টা বেজে যেত। তা একদিন রাত ৩ টার দিকে বের হয়েছি দেখলাম এক প্রেমিক যুগল সেক্সের নেশায় এতোটাই মত্ত রয়েছে যে কে আসছে বা যাচ্ছে দেখার সময় নাই। আমি যখন তাদের পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি তখন তারা টের পেল। তখন তারা কিছুটা ঠিকঠাক হবার চেষ্টা করল। অবশ্য তারা ফাইনাল স্টেপ এ যাইতে পারে নাই। অবশ্য আমারও ঐ পথ ছাড়া অন্য পথ দিয়ে যাবার উপায় ছিল না।
ঘটনা-২: পার্ট টাইম কাজ করার সময় আমার সাথে কিছু মেয়ের পরিচয় হয়। তারা সবাই সিঙ্গাপুরিয়ান কিন্তু তাদের ভিতর ২ জনের অরজিন ইন্দোনেশিয়া। তাদের ভিতর লেন নামে একটা মেয়ের সাথে আমার শেয়ারিংটা বেশি হতো তার কারন আমাদের ডিউটি একই জায়গা বেশী পড়ত। তার বয়স ৩০ এর মত হবে কিন্তু আমাকে সে বলেছে ২৭ বছর। সে ছিল বিবাহিত এবং সুন্দর একটা ফুটফুটে বেবী। আমাকে সে তার মোবাইলে তার বাচ্চার ছবি দেখিয়েছে। যাই হোক কাজ শেষ হলে দেখতাম সে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। এমনকি ২-৩টা বাস সে ইচ্ছা করে ছেড়ে দিয়েছে। আমি এটাকে তেমন কিছু মনে করতাম না। আমি মনে করতাম এটা সে ফ্রেন্ডলী করে তাছাড়া সে ছিল বিবাহিত। এভাবে যাচ্ছিল মোটামুটি কিন্তু হটাত আমার মনে হল সে আমার সাথে একটু বেশীই মিশছে এবং খুব বেশী আমার কেয়ার করছে যতটা আমার ফ্যামিলী করে তার থেকেও বেশী। আমি বাসায় পৌছেছি কিনা, খেয়েছি কিনা, কখন আসব কাজে আবার ইত্যাদি। তার মেসেজ এবং কলও আসতে লাগল বেশী করে। হঠাত একদিন সে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল এবং আমার ঘাড়ে কিস করল। সাথে সাথে আমার গায়ের সমস্ত পশম খাড়া হয়ে গেল এবং আমার গা কাপতে লাগল। পরে তার কথা বার্তায় আমি অন্য কিছু আমার কাছ থেকে পাওয়ার আশা দেখতে পেলাম।ঐ দিনের পর আমি তাকে এড়িয়ে চলতে লাগলাম। কল বা মেসেস দিলে আমি রিসপন্স করতাম না। আর দেখা হলে কথা যতটা না বললেই নয় ততটুকু বলতাম। ২ দিন পর দেখি দেখি সে আমাদের বসকে বলেছে যে, “আমি ওকে পসন্দ করি যে করেই হোক ওকে রাজী করে দাও”। বস মানে আমাদের কিছুটা উপর লেভেলের বয়স ২৫ এর মত হবে। পরে বস আমাকে যখন ঐ কথাটা বলল, আমি বললাম, “আমি তাকে পছন্দ করি না”। আমাদের কালচার বিয়ের পুর্বে সেক্স সাপোর্ট করে না। আমার এই কথা শুনে সে যেন আকাশ থেকে পড়ল। তাকে আমি কিছুতেই বিশ্বাস করাতে পারি নাই এই কথা। সে বলল আমি ১৪ বছর থেকে সেক্স করা আরম্ভ করছি এবং এখনো করে যাচ্ছি। আমার প্রথম সেক্স হয় ২০ বছরের একটা মেয়ের সাথে। বস যখন আমাকে কিছুতেই ম্যানেজ করতে পারল না তখন বলল, “ ওকে তোমার যাকে পছন্দ হয় আমাকে বলো আমি তোমার জন্য ম্যানেজ করে দিব”। এভাবে লেন যখন আমাকে ম্যানেজ করতে পারে নাই তখন সে আমাকে একটা অফার দিল এবং বলল আমি আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছি তুমি আমার সাথে চল ৩ দিন থাকব তারপর চলে আসব। আমি বললাম আমি থিসিস নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি যেতে পারব না। পরে সে বলল আমি তোমার ভিসার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি সাথে সমস্থ খরচ আমার চল আমার সাথে কিন্তু আমি বললাম আমার প্রফেসরের সাথে মিটিং সাথে সত্যি আমি ব্যস্ত। এভাবে তাকে আমি এড়িয়ে গেলাম। এখনো যদি দেখা হয় হাই, হ্যালো ছাড়া আর বেশি কথা বলি না।
ঘটনা-৩: কাজের সময় আমার অনেক অনেক সিংগাপুরিয়ানের সাথে পরিচয় হয়েছে যাদের বয়স ৬০ এর কাছাকাছি। তাদের ভিতর আমি ২ জনের কথা আপনাদের বলছি। এক আংকেল নাম জিমি বয়স ৫৪ বছর। গতকাল আমাকে বলল বাহার কাল আমি আসব না আমি সকালে ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছি। আমি বললাম আংকেল কেন যাচ্ছেন। বলল সেক্স করতে। আমি ভাবলাম মনে হয় আমার সাথে মজা করছে। পরে বুঝলাম না সে আমার সাথে সিরিয়াসলি বলছে। আমি বললাম ওখানে আন্টি থাকে? সে বলল আমি এখনো বিয়ে করি নাই আর করবও না। জীবন হচ্ছে আনন্দ করার জন্য যা ইনকাম করি তার বেশীর ভাগ আমি সেক্সের পিছনে ব্যয় করি। আমি বললাম কতবার গেছেন ওখানে সে বলল ১০০ বারের বেশী হবে। আর আমাদের যেতে আলাদা কোন ভিসা লাগে না।
আর একজন সিঙ্গাপুরিয়ান নাম জন। আমি প্রথমে ভেবাছিলাম সে মনে হয় আমাদের সাবকনটেন্টের। দেখতে বেশ কালো আমাদের থেকেও বেশী কাল অনেকটা তামিলদের মত। বয়স সে বলল ৫১ বছর। সে বলল সে বিয়ে করে নাই। সে কালো বলে কেউ তাকে বিয়ে করতে চায় না কিন্তু সেক্স করতে চায় তাই বিয়ে না করে সেক্সই করি।এটাই মজার আর জীবন মানেই তো আনন্দ। এদের আমি কিছুতেই বুঝাতে পারলাম না বিয়ে না করে সেক্স করা ঠিক না এবং আমরা এটা করি না। সে আমাকে উল্ট অনেক কিছু বিঝিয়ে দিল!
কিছুদিন আগে ইরানের এক ইমাম বলেছিলেন মেয়েরা যত কম পোষাক পরিধান করবে ততোই প্রাকৃতিক দূর্যোগ বেশী হবে। আমার মনে হয় তার ঐ কথা সত্যি।
আমি উপরের যে ৩টা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম তা পাই(π) এর মানের মত ধ্রুব সত্য। আমি শুধুমাত্র ব্লগের বন্ধুদের সাথে আমার এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম কেউ অন্য কিছু মনে করেন প্লিজ।