হেদায়েতের জয় হলনা,সে বুঝলো ভুল পথে পা বাড়িয়েছে।আবার নিজেকে উদ্ধারের চেষ্টা।স্ত্রীর প্রতি ভালবাসায় হেদায়েত এভাবে শুন্যের মধ্যে ঠিকানা খোঁজে।কেরামতের ভাই ভাবির প্রতি ভক্তি ছিল।মাছুমার সাথে ঠাট্রা মসকারা করত, আবার তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে মাছুমাকে হেয় করতেও তার বাধতো না, যা অতি অধিকার ফলানোর মধুর বিড়ম্বনা মাত্র।কেরামত হেদায়েতের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে,সংসারটা কোন মতে চলে যাচ্ছে, হেদায়েতের দোকান বিক্রির ঘটনা শুনে মোবারক রাগ করলেও নিজেই সে রাগ সংবরন করে নিয়েছিল।ব্যাবসায় লাভ লস থাকবেই। ছেলে শহরের বিত্তবানদের সাথে ওঠা বসা করে ব্যাবসা বানিয্যের চেষ্টা চালাচ্ছে।এভাবেই তো মানুষ বড় হয়।চলতে থাকুক হেদায়েতের চেষ্টা…………………….সময়ের আবর্তে হেদায়েত আবার পুত্র সন্তানের বাবা হল।কেরামত দোকানদারী করে তবে মন তার নদীর স্রোতের মত ছলাৎ ছলাৎ ।শহরে বন্ধু বান্ধবের অভাব নেই, সেই সাথে হালের টেডি ফ্যশন, দোকান ফাঁকি দিয়ে আড্ডা বাজি করে সময় কাটায়। হটাৎ একদিন বৃষ্টি ভেজা সন্ধায় এক লোক তার দোকানে আশ্রয় নিল। লোকটা কুচকুচে কালো, চোখে নিকেলের চশমা,বয়স ৫০-৫৫ হাসিমুখ অমলা মার্কা চেহারা। কেরামতের সাথে লোকটির পরিচয় হল।লোকটি জানালো তার বড় ভাই খয়েরের ব্যাবসা করে(পান খায় যে খর দিয়ে)এ কারনে এ এলাকায় তার ব্যাপক যাতায়াত আছে।দ্বীর্ঘক্ষন আলাপ চারিতায় কেরামতের সাথে লোকটির ভাল সখ্যতা গড়ে উঠল।লোকটি যাবার সময় বার বার কেরামতকে নিমন্ত্রন করল।কেরামত যেন তার বাড়ি গিয়ে নেমন্ত্রনের মর্যাদা রাখে। ( করামতের বয়স ২২-২৩ পাঠক সমাজকে এ বয়সের ব্যাখ্যা দেওয়ার দরকার নেই)দিন দশেক পর কেরামত তার দু চারজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে ২৫ মাইল রেলপথ পাড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া জেলার বাহাদুর পুর গ্রামে নেয়ামতের বাড়ি উপস্থিত হল।নেয়ামতের কথার সাথে সব কিছু মিলল বটে। নিয়ামত আবেদ দুই ভাইয়ের অতিথি আপ্যায়নে, তাদের ব্যাক্তিত্বে আশেপাশের লোকের উৎসুক চাহনীতে কেরামতের বুঝতে বাকি রইলনা, এই এলাকার সমাজ দর্পনে এরাই শিরোনাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১৩