২য় পর্ব
মোবারকের বড় ছেলে হেদায়েত, গ্রামের স্কুলে মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ মাধ্যমিকে অবতরন করার পর নিজেই সে নিজেকে আবিস্কার করল।যৌবনের উদ্যমতা, দুর্বার গতি, তাকে আপন আবেগে বয়ে নিয়ে যায়।আপন মামাতো বোনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছে।হেদায়েত সুদর্শন ও আত্মপ্রত্যয়ী। সেই সময়ে হৃদয় ঘটিত ব্যাপারটাকে মানুষ ভালভাবে গ্রহন করত না।বেকার অবস্থায় নিজ আত্মিয়ের মধ্যে বিয়ে করে মোবারকের স্বপ্ন পদদলিত করে, হেদায়েত মোবারকের আশা আকাঙ্খাকে হত্যা করেছে। তাই এই বিয়ে মেনে নেওয়ার পক্ষে মোবারকের মত ছিলনা।মোবারকের ঘনিষ্ট বন্ধু মোজাম্মেল মন্ডল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ভুমিকা রাখলে, মোবারক পুত্র, পুত্রবধুকে মেনে নিতে রাজী হয়।মোবারক সংসারে হেদায়েত ও মাছুমা গ্রহনযোগ্যতা পেলেও তারা দৃষ্টি নিন্দিত।হেদায়েতের অগোচরে আনোয়ারা মাছুমা কে কুট কথা শুনিয়ে দেয়।পুত্র কে দায়মুক্তি দিয়ে পুত্রবধুকে জব্দ করে মনের জ্বালা মেটায়।আনোয়ারার অশোভন উচ্চারণ”মাগী ভাতার ধরতে হয় কি করে তা জানো, ভাতার বাড়ি এসে ঘরে বসে না থেকে সংসারে কাজ করা লাগে তা বোঝনা” মাসুমা আনোয়ারার আপন বড় ভাইয়ের মেয়ে, মোবারকের বড় সমন্দির বড় মেয়ে, তাতে কি? এ সম্পর্ক এখন আনোয়ারার দৃষ্টিতে গৌণ।মাসুমার পরিচয় সে এ বাড়ির বৌ, আর আনোয়ারা শ্বাশুড়ি।শ্বাশুড়ি কে থাকতে হবে তার আপন ভঙ্গিমায়।খুবই ছোট কালে এ বাড়িতে এসে শ্বাশুড়ি আমেনার কাছে আনোয়ারার সংসার বিদ্যার হাতেখড়ি।বর্তমানে সে শ্বাশুড়ি।সংসার চালানোর গতি বিদ্যার মুল তত্ব অজ উন্মোচনের দিন।হোক সে ভাইয়ের মেয়ে তাতে কিছু আসে যায় না।জাফর মিয়ার সংসারের মত এ সংসারেও আনোয়ারা বিকৃত পেতাত্মা হয়ে খড়গ হাতে হন্ত দন্ত হয়ে আধিপত্য বিস্তারে ব্যাপক মরিয়া। এই বুঝি তার রাজ্যে কে যেন ভাগ বসাচ্ছে।সংসার নামক কলের গাড়িতে আনোয়ারা ড্রাইভার, বউ হবে হেলপার। উস্তাদ সেবাই একমাত্র পরমব্রত। স্টিয়ারিং এ হাত দেওয়া নিষেধ। সংসারে বউ, শ্বাশুড়ির জিম্মায় থাকবে, যখন যা বলবে তাই মেনে চলবে।কিন্তু আনোয়ারা কি জানে? তার আদি বসতির সাথে একই বৃত্তে এই রুপসী নারীর আত্ম সংযোগ আছে ।যে কিনা হেদায়েতকে ভালবেসে স্বেচ্ছায় পালিয়েছে। সুতরাং পরিস্থিতির মারপ্যাচে যতই সে আনোয়ারাকে উস্তাদ মানুক, স্টিয়ারিং এ সে ঠিকই হাত দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:১৪