পৃষ্টা ১১-১৩
‘ঠিকাছে আর হাঁকাহাঁকি করব না। এখন তোর দাদিকে নিয়ে দেশান্তরে চলে যা নইলে সক্কালে উঠে আমি উদাসিনীকে বিয়ে করব। উদাসিনীর চিন্তায় তোর দাদির মগজ বিকল হয়েছে। হাত ধরে অন্য কামরায় যা নইলে আমি পাগল হয়ে যাব।’ বলে মাতিনের বাবা দাঁত খিঁচিয়ে চোখ পাকিয়ে বললেন, ‘আমার কামরা থেকে বেরিয়ে যাও নইলে মামলা করব।’
‘যাচ্ছি তো, দাবড়াচ্ছেন কেন? বিয়ের কথা বললে চেত লাগে গো।’ বলে মাতিনের মা আড়চোখে তাকিয়ে মুখ ভেংচিয়ে চলে যান এবং মাতিনের বাবা শুয়ে পড়েন। পরদিন ঘুম থেকে উঠে বিয়ের আয়োজনে সবাইকে নিয়ে ব্যস্ত হন। নয় মাস পর দিনের তৃতীয় প্রহরে খালিবাড়ির ধারিতে বসে উদাসিনী পাথর দিয়ে আঁকিবুকি করে। বাড়ি এখন অবোলা পশুপাখির অভয়ারণ্য। মাঝে মাঝে উদাসিনী যেয়ে পশুপাখির সাথে কথা বলে। হঠাৎ হু হু শব্দে দমকা হাওয়া ওর আউলা চুল এলোমেলো করলে চোখ তুলে রুষ্টকণ্ঠে বলল, ‘হুমড়ি খেয়ে পড়ে মর।’
ওর হাঁকে পশুপাখিরা ডাকাডাকি শুরু করে। পাথর মাটিতে রেখে হাতে হাত ঝেড়ে মৃদু হেসে সান্ত্বনা-সূচক শব্দ করলে ওরা শান্ত হয়। পাথর হাতে নেবে এমন সময় মনের কানে শুনে, ‘মালীহা, তুমি এসেছ?’
‘মাসুম, তুমি কোথায়?’ উদাসিনী চমকে উঠে চিৎকার করে বলে চারপাশে তাকায়। এমন সময় কারণবশত খালিবাড়ির পাশ দিয়ে আরমান যায়। তাকে ডেকে উদাসিনী বলল, ‘বাজান, কয়েকটা আম পেড়ে দেবে?’
গাছের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে আরমান বলল, ‘নিশ্চয়।’
‘বাজান, আপনার ভয় হয়নি?’ বলে উদাসিনী অবাকদৃষ্টে তাকায়। আরমান ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে পাথর হাতে নিয়ে উদাসিনীর মুখের দিকে তাকিয়ে আমগাছে ঢিল মেরে বলল, ‘কেন?’
‘এমনি বলেছিলাম। আমাকে দেখলে লোকজন দৌড়ে পালায়। বাজান, মা কেমন আছেন?’ বলে উদাসিনী হাসার চেষ্টা করে। আরমান ধীরে ধীরে হেঁটে মাটি থেকে আম তুলে উদাসিনীর দিকে এগিয়ে দিয়ে মৃদু হেসে বলল, ‘ও ভালো আছে। আমাদের জন্য দোয়া করবে। আমার বাড়ি যাও না কেন?’
‘জানো বাজান? আপনার মন আয়নার মত। আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি আমার মুখ দেখতে পেয়েছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।’ বলে উদাসিনী হাত পাতে। ওর হাতে আম দিয়ে মৃদু হেসে আরমান বলল, ‘আমার একটু আজ আছে। আমি এখন যেতে পারব?’
‘চিন্তা করো না বাজান সব ঠিকঠাক হবে। আপনি যান আমিও চলে যাব।’ বলে উদাসিনী হাত নাড়ে। আরমান মৃদু হেসে হাত নেড়ে দ্রুত হেঁটে বাজারে যেয়ে কাজ সেরে চা’র দোকানে বসে চা পান করে। তাকে দেখে মাতিন যেয়ে চেয়ার টেনে বসে কপাল কুঁচকে বলল, ‘আজ তোর কী হয়েছে?’
আরমান কিছু না বলে এদিক-ওদিক তাকায়। মৃদু হেসে মাতিন বলল, ‘মনের কথা খুলে বল, চিন্তাভাবনা করে চিন্তা-রোগের সর্বনাশ করার বৃথা চেষ্টা করব।’
আরমান কপাল কুঁচকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মাথা নেড়ে বলল, ‘সব সময় হেয়ালি ভালো লাগে না তা শিয়ালীও ভালো জানে। তোর তো সুখে দিন কাটছে, কিন্তু আমার…?’
‘তোর কী হয়েছে, না বললে বুঝব কেমনে? আহাম্মক কোথাকার।'
‘মাস কয়েক পর বছর হবে। যেমন এসেছিল বউ আজো তেমন আছে।’
‘তাতে কী হয়েছে?’
‘কী হয়েছে?’
‘ওই, মনের কথা বুঝিয়ে বলতে তোর এত কষ্ট হয় কেন?’
‘কারণ, কানা-খোঁড়ারা আমাকে আঁটকুড়া ডাকতে শুরু করেছে।’
‘জানিস…।’
‘আমি কিচ্ছু জানি না। কিছু জানাতে চাইলে বল।’
‘ছোটকালে আমি যখন ঘুমাতে পারতাম না, তখন আমার প্রদাদি রূপকথার গল্প শুনিয়ে আমাকে ঘুম পাড়াতেন।’ বলে মাতিন শরীর কাঁপিয়ে হাসলে আরমান কপাল কুঁচকে বলল, ‘মাতিন, এখন গুলতানির সময় নয়।’
মাতিন নড়েচড়ে বসে বলল, ‘গল্পটা শোন, মনে রং লাগবে। প্রদাদি আমার পিঠে গায়ের জোরে কিল বসিয়ে খিলখিল করে হেসে বলতেন, জানিস, অন্ধেরযষ্টি আঁটকুড়ার নাতনী আমি আঁটকুড়ির প্রনাতি হলে তুই বীরপুরুষ। আমার প্রদাদির কথা তুইও মনে রাখিস, আঁটকুড়া একটা শব্দটা মাত্র। যে শব্দের কোনো অর্থ নেই। কুঁড়া শব্দের অর্থ ধান, কুঁড়ি শব্দের অর্থ কলি এবং আটের স্ত্রীলিঙ্গ অষ্টমী।’
‘ওরে বুদ্ধিভোঁতা, বুদ্ধিমানের মত বুঝিয়ে বল।’
‘আট এবং কুঁড়াকে এক করলে আঁটকুড়ির পুংলিঙ্গ আঁটকুড়া হয়।’
‘থামলে কেন?’
‘থামার কারণ, আঁটকুড়া ঢিলা আর আঁটকুড়ি ল্যালা। ভয়ে ওরা বিবাহবিচ্ছেদ করে না, বিধায় আজীবন নিঃসন্তান থাকে।’
‘মাতিন, কী বলতে চাস?’
‘অজ্ঞতা হল অভিশাপ, অজ্ঞরা অভিশপ্ত এবং মূর্খরা কুসংস্কারে বিশ্বাসী।’
‘মাতিন, আমি এখন রাগতে চাই না। বুঝিয়ে বল।’
‘সক্ষম নর নারী সংগমে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হলে, সংগমসাথি বদলানো তাদের জন্য গত্যন্তর মাত্র।’
‘এসব কী বলছিস?’
‘বলছি, বিবাহবিচ্ছেদ করে অন্যের সাথে বিবাহবদ্ধ হওয়া উচিৎ।’
‘বছর কয়েক পর আরেক বিয়ে করব।’ বলে আরমান অধরদংশে তাকালে মাতিন চোখ বুজে মাথা দিয়ে ইশারা করে বলল, ‘খামোখা দুশ্চিন্তা না করে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। এমন সুযোগ সবাই পায় না। বাড়ি যেয়ে সশরীরে স্বর্গভোগ কর, বিমনা মন চনচনে হবে।’
‘কার অভিশাপে অভিশপ্ত হলাম?’
‘পাপ শাপ অভিসন্তাপ ভুলে ধর্মকর্মের সাথে গ্রামধর্ম পালন করলে তুই আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবে ইন শা আল্লাহ। মনে রাখিস, আজীবন কেউ দুঃখভোগ করেনি।’
আরমান অনুতপ্ত হলে মাতিন বলল, ‘বাড়ি যেয়ে বউর সাথে লটরপটর করলে বংশঝাড়ে ফল ধরবে, এখানে বসে হুঁকা টানলে ফুসফুসে সমস্যা হবে। দৌড়ে বাড়ি যা।’
মাথা দুলিয়ে আরমান চলে যায়। মাতিন বাড়ি যেয়ে কামরায় প্রবেশ করে দরজায় খিলি দিয়ে স্ত্রীর পাশে বসে। স্ত্রী মৃদু হাসলে পেটে কান লাগিয়ে কিছু শুনতে না পেয়ে মাথা তুলে বলল, ‘ও বউ, ছেলে আমাকে বাপ ডাকছে না কেন?’
‘কোলে আসলে ডাকবে।’
‘কবে আসবে?’
‘ভাবী বলেছে ইদানীং আসবে।’
‘ভাবীর জন্য এখুনি হাজিরির সমন জারি করব।’ বলে মাতিন দাঁড়িয়ে পিছু হেঁটে পিছমোড় দিতে চাইলে স্ত্রী অধীরকণ্ঠে ডেকে বলল, ‘এই যে, ব্যথা শুরু হয়েছে। এখন কোথাও যাবেন না।’
‘কী হয়েছে?’
‘ব্যথা শুরু হয়েছে। ভাবীকে ডাকলে চিল্লাচিল্লি করতে হবে না। ভাবী আমাকে বলেছিলেন।’ বলে স্ত্রী কোঁকাতে শুরু করে। মাতিন দরজার খুলে ভাবীকে ডাকে। ভাবী দৌড়ে যেয়ে মাথা দিয়ে ইশারা করে বললেন, ‘জলদি ধাই-বুড়িকে নিয়ে আসো।’
মাতিন দৌড়ে যায় এবং ধাত্রী সাথে ফিরে বারান্দায় পায়চারি করে। হঠাৎ শিশুর কান্না শুনে দরজার পাশে যায়। ভাবী দরজা খুলে খিল খিল করে হেসে বললেন, ‘ষণ্ডার বউ অবলা ছেলেসন্তান প্রসব করেছে।’
‘তোমার কোথায় যে চুমু দেই? কপোলে না কপালে দেব?’ বলে মাতিন মথা দিয়ে ইশারা করলে ভাবী শিউরে একপাশে সরে বললেন, ‘কমপক্ষে অন্তত মাস দুয়েক দূরত্ব বজায় রাখবে, নইলে তাড়ু তেড়ে মারবে।’
‘ঠিকাছে, এখন দরত্ব বজায় রেখে বলো আমার ছেলে কোথায়?’
‘ছেলের মুখ পরে দেখবে আগে আজান দাও। আজানের ধ্বনি কানে প্রতিধ্বনিত হলে ধর্মাত্মা হবে।’ ভাবী মৃদু হেসে বললে, চোখের দিকে তাকিয়ে সবিনয়ে মাতিন বলল, ‘তোমার রাঙা পায়ে চুমু দিতে হবে। ভাবী, আমার ছেলের জন্য দোয়া করো, তোমার ছেলেদেরকে বুকে আগলে রাখব।’
‘আজান দাও, তোমার ছেলেকে গোসল করাব।’ বলে ভাবী চলে যান। মাতিন আজান দিয়ে দরজার পাশে যেয়ে উঁকিঝুকি শুরু করলে ভাবী বললেন, ‘এখন ভিতরে আসলে কেউ মারধর করবে না।’
ভাবীর কথা শুনে আনন্দে অধীর হয়ে কী করবে ভেবে না পেয়ে দরজার পাশে বসে স্ত্রীর ব্যথাক্লিষ্ট কোঁকানি শুনে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘জীবনের মালিক আল্লাহ তুমি জীবন দান করো। সত্যাসত্য বুঝতে আমরা এত অক্ষম কেন?’
ছেলেকে স্ত্রীর কোলে দিয়ে ভাবী তার সামনে যেয়ে বললেন, ‘অজ্ঞরা বুঝতে চায় না। তাকিয়ে দেখো, ব্যথায় কোঁকাচ্ছে তবুও চোখে আনন্দাশ্রু।’
মাতিন অশ্রু মুছে ভাবীর দিকে তাকিয়ে বিচলিত হয়ে বলল, ‘আজ আমি বাবা হয়েছি তাই না ভাবী?’
‘ধাই আসার আগে কপাল কপোলে চুমু দিলে আঁচলে মুখ লুকিয়ে বলব, ও ধাইমা গো আমি কিচ্ছু দেখিনি গো।’
‘ঠিকাছে, তুমি পাহারা দাও আমি কয়েকটা চুমু দেই।’ বলে মাতিন স্ত্রীর পাশে বসে মৃদু হেসে বলল, ‘এখন আর যন্ত্রণা করব না।’
কথা না বলে স্ত্রী হাসার চেষ্টা করে। স্ত্রীর কপালে চুমু দিয়ে ছেলেকে কোলে নিয়ে সাদরে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে মৃদু হেসে মাতিন বলল, ‘আজ আমি বাপ হয়েছি।’
এমন সময় ধাত্রী যেয়ে ব্যস্তকণ্ঠে বললেন, ‘এই বউআ, বউর বগলে বসেছিন কেন?’
‘ও ধাইমা গো, বউকে একটা উম্মা দিতে পারব?’ মাতিন মিনতি করে বললে ধাই দাঁত কটমট করে বললেন, ‘দাঁড়া, বাগ পেয়েছি আজ তোকে দুরস্ত করব।’
‘আদুরে বউকে একটু আদর করলে তোমার এত জ্বলে কেন?’ পিছু হেঁটে বলে মাতিন দৌড়ে বাজারে যেয়ে মিঠাই মন্ডা কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রী ভাবী এবং ধাইর মুখ মিঠা করে দৌড়ে আরমানের বাড়ি যেয়ে ধারীতে বসে হেঁকে বলল, ‘আরমান, দৌড়ে আয়।’
আরমান বেরিয়ে বলল, ‘কী হয়েছে, চিল্লাছিস কেন?’
‘আমার ছেলে হয়েছে এবং স্ত্রী সুস্থ আছে।’ বলে মাতিন দুহাত প্রসারিত করলে আরমান তাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’
মাথা দিয়ে ইশারা করে মাতিন বলল, ‘ভাবীকে তৈরী হওয়ার জন্য বল, ফুফুকে আমি বলব। তোমরা আমার সাথে যাবে।’
‘মাতিন।’
‘কী হয়েছে, কাঁদছিস কেন?’
‘অপয়া আমরা অনামুখো।’ বলে আরমান মাথা নত করলে মাতিন রেগে চটে তার বুকে ধাক্কা মেরে বলল, ‘আমার সম্মুখ থেকে সরে যা, শপ্ত শব্দ আবার উচ্চারণ করলে জানে মেরে ফেলব।’
আরমান চিৎ হয়ে মাটিতে পড়ে ডুকরে কেঁদে বলল, ‘মারতে মারতে সক্ষম বানা, আপত্তি করব না।’
‘তুই কাঁদতে থাক, ক্লান্ত হলে আরেক চোপ দেব।’ বলে মাতিন আরমানের মাকে ডেকে বলল, ‘ফুফু, আমি জানি আপনি এখন যাবেন না। আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার ছেলেকে পাঠাব।’
‘খবরদার, তোর ফুফাকে ডাক দে।’
‘ফুফাকে ডাকতে হলে আমাদের বাড়ি যেতে হবে।’
‘ঠিকাছে, আরমানের সাথে গল্প কর বউমাকে আমি বলব।’ বলে আদিলের মা দ্রুত চলে যান। মাতিন বেরিয়ে আরমানকে ডেকে বলল, ‘ওই, আরেকটা দেই?’
‘নাম রেখেছিস?’ বলে আরমান অশ্রু মুছে।
‘এখনো রাখিনি। আব্বা আম্মা রাখবেন। তুই একটা ডাক নাম দে।’ বলে মাতিন মাথা দিয়ে ইশারা করলে আরমান চোখ পাকিয়ে বলল, ‘আমার উরে আসলে ধাক্কা মেরে দূরে ফেলব, আরেকটা কথা বললে নাকের ডগায় টুসি মারব।’
‘ঠিকাছে, আমি তাকে ভালো নামে ডাকব। মিষ্টি খেয়েছিস?’
‘হ্যাঁ, পেট ভরে খেয়েছি।’ বলে আরমান ডানে বাঁয়ে তাকায়। বসন্তের বাতাসে ফুলের সুবাস। বুক ভরে শ্বাস টেনে আরমান বলল, ‘এই মাতিন, এটা কোন মাস?’
মাতিন উত্তেজিত হয়ে বলল, ‘ওরে বাসরে, আমার ছেলের জন্ম বসন্তে হয়েছে। তুই না বললে আমি জানতাম না। তোকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’
‘অনেক বছর হয় প্রভাতফেরিতে যাইনি। আগামী বছর তোর ছেলেকে নিয়ে যাব। মাতিন, একটা কথা বলি, রাগ করবে না তো?’
‘বল, আজ আর রাগ করব না।’
‘আমার মেয়ে হলে তোর ছেলেকে দামান্দ ডাকতে পারব?’ বলে আরমান দু হাতে মুখ লুকিয়ে ডুকরে কাঁদলে মাতিন দাঁত কটমট করে বলল, ‘কবে যে তোর ভোঁতাবুদ্ধি ক্ষুরধার হবে?’
‘মার, মারতে মারতে বুদ্ধিধর বানা।’
এই বই দুই খন্ডে আমাজনে প্রকাশ করেছি
Poromatthio: Volume 1 (Bengali) Paperback – 21 Jun 2016
by Mohammed Abdulhaque (Author)
Product details
Paperback: 596 pages
First edition (21 Jun. 2016)
Language: Bengali
ISBN-10: 1534824596
ISBN-13: 978-1534824591
Product Dimensions: 12.7 x 3.4 x 20.3 cm
এক সাথে পড়তে চাইলে আমাজন থেকে কিনতে পারবেন
অথবা অনলাইন পড়তে চাইলে আমার সাইটে আছে
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪