পৃষ্টা ৪-৬
কথা না বলে মাতিন কপাল কুঁচকে ইশারা করে এবং দ্রুত হেঁটে উদাসিনী চলে গেলে দুজন হাঁটতে শুরু করে। এক পথিক তাদেরকে ডেকে দ্রুতে পাশে যেয়ে নন্দিরগাঁওর দিশপাশ জানতে চাইলে আরমান বলল, ‘কোণাভিমুখী হলে র্নৈঋতকোণে শ্রীনগর, বায়ুকোণে নন্দিরগাঁও এবং অগ্নিকোণে দিগন্তরপুর। এখন আপনি দিগ্দর্শন করুন আমরা বাজারে যাব।’
‘ঈশানকোণের গ্রামের নাম নিশ্চয় জ্ঞাতব্য?’
‘বৈরাগীরগাঁও। ঠিকাছে? এখন আমরা চলে যাব। এক দমে পুকুর পারাতে পারলে দিগ্বলয়ে দেখা হবে।’ বলে আরমান হাত নাড়লে লোক মাথা দুলিয়ে বলল, ‘কিছু কষ্ট আছে যা কখনো ভোলা যায় না এবং কিছু সুখ আছে যা আমরা পলকে ভুল যাই। চাইলেও কষ্টকে ভুলতে পারি না আমি নয়নজলে সলতে জ্বালিয়ে দিগভ্রান্ত হয়ে দিগন্তরপুর এসেছি।’
‘আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আপনার একটা কথাও আমি বুঝিনি। সদয় হয়ে আরও থোড়া সামান্য খোলাসা করতে পারবেন?’
‘নিশ্চয়, বেহায়া মন আমাকে দিগম্বর বানিয়েছে। মনকে দেখা যায় না এবং ধরাও যায় না। ধরতে পারলে মটকিবন্দি করতাম। পারি না, সে পবনে বসে হাসে। আখিজলে কালি বানাবার জন্য বেয়াড়া মন আমাকে বাল্যকালে বাধ্য করেছিল। সেই থেকে বিরহনলে কষ্টকে পুড়িয়ে আমি রাত জেগে কেঁদে নোনাজলে ছাই মিশিয়ে সুখের বারোমাসী লেখি।’
‘রে মূর্খ, অল্পবিদ্যা ভয়ংকর এবং কুসংস্কারের অর্থ অভিশাপ তা তুই জানিস না। শোন, তত্বজ্ঞানহীনরা শোনা কথা শুনিয়ে সুধীর সূরি হতে চায়। সমাজে প্রতিবিধান নেই বিধায় নারীরা আজো অসহায় এবং অপণ্ডিতরা অভিশপ্ত। সুতরাং, সংবিধান অমান্য করে অম্লধর্মী অবস্থায় পড়লে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়, গুরুবাক্য অনিতিক্রমণীয় এবং বিধাতার বিধান অবশ্যপালনীয়।’
‘হে মণি, আপনার হাবভাবে এত রেষারেষি কেন?’
‘অগা ওরে অকর্মার ধাড়ি তোর মনে কি ঋষি হওয়ার শখ?’
‘জি না। আমি হলাম ভাটিতে ভাসা নায়ের নাইয়া। দাড় বৈঠা নেই। হাতে লগি, অতই জলে থই পাই না। বিবেক হতবাক হয়েছে। দিশাহারা হয়ে আমি ঠায় বসেছি। দিনান্তে রাত পোহায়, খিল খিল করে ভানুমতী আর হাসে না। গোমড়া মুখে বলে, কী যে হল? মনে সুখ নেই।’
‘ওহে মন্ত্রদ্রষ্টা মুনি, কানা আমি কানে কম শোনি।’
‘হে দেশহিতব্রতী, আপনি নিশ্চয় জানেন, উন্নয়নশীল শব্দের অর্থ অনুন্নত অবস্থা অতিক্রম করে উন্নতিসাধনে সচেষ্ট।’
‘হে শ্রীভ্রষ্ট, স্বেচ্চায় হুমড়ি খেয়ে আমার পায়ে পড়ে তুই ডাক্তারের আজুরা উদ্ধারে ব্রতী হয়েছিস। বিব্রত হয়ে থানায় তারবার্তা পাঠাতে হবে নাকি?’
‘আপনি তো ভাই জবর প্যাঁচোয়া মানুষ, ঝামেলার প্যাঁচে তিন গিরা দিয়ে বলছেন তাগায় টান দেননি।’
‘আউলার মত ঝাউলিয়ে কথা বললে কাউয়ারা কথা বুঝে না। তা কি জানিস?’
‘কার মনে কী জট পাকে তা মনের মালিক জানেন।’
‘বুঝেছি মুগুর মেরে তোমাকে দুরস্ত করতে হবে। দাঁড়া এখুনি সুবন্দোবস্ত করব।’ বলে আরমান দাঁত কটমট করে ডানে বাঁয়ে তাকালে পথিক বিরক্ত হয়ে চলে যায়। মাতিন বিদ্রুপহেসে হাঁটতে শুরু করে বলল, ‘আরমান শোন, মূর্খামী এবং অতীত ভুলে বর্তমান সম্বন্ধে চিন্তা করলে তুই সাফল্যমণ্ডিত হবে।’
‘তুই না জানলেও আমি জানি, ঠাট্টা করলে মাথায় ঠাঠা পড়ে।’
‘শোন, ছন্দ শিখে সবাই ছান্দসিক হতে পারে না এবং জ্ঞান অর্জনে জ্ঞানী হওয়া যায় না।’
‘এই মাতিন, তুই না বুঝলে আমার মনের দুঃখ কে বুঝবে, দুঃখে ভারাক্রান্ত বিরহের গল্প কে শুনবে?’
‘আমার সামেন কথার তুবড়ি না ছুটিয়ে আমড়াগাছি দিয়ে ঘাসুয়ার হাত পা বাঁধলে দরদি হয়ে দুঃখের বান্ধব হবে। আগড়ম-বাগড়ম এবং প্রেম পিরিতির জবরজং অর্থ আমি বুঝি না।’
‘চোখ মুখ বুজে দৌড়ে বাড়ি যা।’
‘তুই কোথায় যাবে?’
‘ঘাসুয়াকে ঘোষ দিয়ে খালিবাড়ি নিয়ে যাব।’
‘আরমান শোন, আব্বা আম্মা বারণ করলে আমি পানি পান করি না। বাড়ি চল, কান্নাকাটি করে মশলা পিষে দিলে আমাদের কষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে ভাবী সুন্দরী জা খুঁজে আনবেন।’
‘তোর সাথে কথা বলে লাভ হবে না।’
এমন সময় বাঁশির সুর বাতাসে ভাসলে আরমান দৌড়াতে শুরু করে। মাতিন হেঁকে বলল, ‘কোথায় যাচ্ছিস?’
‘কদমতলে।’
কথা না বলে মাতিন দ্রুত হেঁটে বাড়ি গেলে বিদ্রূপ হেসে ভাবী বললেন, ‘নয়নে দেখে মন মিনমিন করে বলছে, খোদার খাশির গতরে মাস লাগতে শুরু করেছে। বিষয় বিষাদযুক্ত হলেও জবরদস্ত বিরিয়ানির সুবন্দোবস্ত করতে হবে।’
মাতিন গাল ভরে হেসে বলল, ‘ছাওয়াল কালে শুনেছিলাম, অত্যন্ত হৃষ্টপুষ্ট অথবা নাদুসনুদুস হলে জাঁকজমকওয়ালি বউকে বাসরঘরে জব্দ করা যায়। যাক, আমি বলছিলাম কী, আরমানকে বিয়ে করাতে হবে। মানে, এক কথায় বিষয় আশয় বাজেয়াপ্ত করতে হবে নইলে কুলমান যাবে এবং কুলকন্যা কুলটা হবে। তা গ্রহণযোগ্য নয় এবং পরিস্থিতি নীতিবিষয়ক কি না আমি জানি না কিন্তু সুনিশ্চিত কেলেঙ্কারি সম্বন্ধীয় ব্যাপার।’
‘ও ধাইমা গো, উনার ভাইয়ে একী কথা শুনাল গো?’ বলে ভাবী ডান হাত মুখের কাছে নিয়ে মির্মির করে তাকালে গম্ভীরকণ্ঠে মাতিন বলল, ‘ভাত সালন গরম করে দাও। ভুখে পেট আমলাচ্ছে।’
ভাবী চিন্তিতকণ্ঠে বললেন, ‘তার কী হয়েছে?’
‘সে…ই কবে ঘোড়ারোগে জেঁতেছিল। সত্বর কবিরাজি না করালে নিমরাজি হওয়ার জন্য সম্মিলিতভাবে চিরাত চিবাতে হবে।’
‘তোমার জন্য সুন্দরী একটা জুটেছে। দেখলে মন গুনগুন করে বলে, তোমার খুঁজে সব পেয়েছির দেশ থেকে পালিয়ে এসেছে।’
‘ভাবী, ভুখ লাগলে ভদ্রলোকরা অভদ্রের মত কথা বলে। এখন আমার ভুখ লেগেছে, ভাত দাও।’
‘এত নীরস হয়েছ কেন?’
‘অজ্ঞরা বলে নারীরা ভোগের পণ্য, আমি জানি নারীরা অনন্য। বিয়ে করে আমি সশরীরে স্বর্গভোগ করব। তুমি হয়তো জানো, মানসিক অভিপ্রায়সূচক ভাবভঙ্গি অথবা স্থায়িভাবের উদ্ভবজনিত দৈহিক বিকার সঞ্চারের অভিধা হল অনুভব।’ বলে মাতিন বিদ্রুপ হাসলে ভাবী আড়চোখে তাকিয়ে মুখ বিকৃত করে বললেন, ‘চাইলে যেয়ে দেখতে পারবে।’
‘ভাগ্যরেখা দেখলেও ভাগ্যলেখাপড়া যায় না। আমি মূর্খ মানুষ, ভাগ্যচক্রে চক্কর খেয়ে ভাগ্যহত হতে চাই না।’ বলে মাতিন মৃদু হাসলে ভাবী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আগামী মাসে বিয়ে হবে।’
আঙুলে গুনে ভাবীর মুখের দিকে তাকিয়ে চিন্তিতকণ্ঠে মাতিন বলল, ‘তিন হায়ন কপচিয়ে মাত্র চারটা শব্দ উচ্চারণ করলে?’
‘আরমানের কী হয়েছে?’
‘বিয়ে করতে চায়।’
‘কী বললে?’
‘সব বলব পরে আগে বলো আরকান কোথায়, দুপুরে ভাত খেয়েছে না বাউরামি শিখতে গিয়েছে?’
‘তুমি তাকে খামোখা ধমকাও কেন? একমাত্র তোমার ভয়ে বাড়ি আসে না।’
‘দুরস্ত করার জন্য আজ তাকে আমড়ার ডালে লটকাব।’
‘আম্মা শুনলে তোমাকে লটকাবেন।’
‘বুঝেছি, ভরা কটালে উজিয়ে কাজ হবে না, মরা কটালে ভাটিতে ভাসতে হবে। যাক আমি এখন বাজারে যাব, তোমার কিছু লাগবে?’ বলে মাতিন থালে হাত ধুয়ে দাঁড়ালে, মাথা দিয়ে ইশারা করে ভাবী বললেন, ‘বর্তন বাটির কী হবে?’
‘জোয়ান বয়সে গতর খাটিয়ে কাজ করলে বুড়া বয়সে কষ্ট কম হয়। এখন টাকা দাও। আর হ্যাঁ, গত মাসে আলতা কুমকুম আনিয়েছিলে, এখনো টাকা দাওনি।’
‘কী বললে, মাত্র এক তুলা কুমকুমের জন্য আর কত টাকা চাও?’
‘আনার সময় মনে হয়েছিল কয়েক মণ, তুমি বলছ মাত্র এক তুলা, কম হলেও হাজার টাকা দাও।’ বলে মাতিন হাত পাতলে অধরদংশে এদিক-ওদিকে তাকিয়ে ভাবী বললেন, ‘দাঁড়াও, আজ তোমাকে তুরুমঠোকা দেব।’
মাতিন যখন ভাবীকে রাগায় আরমান তখন নাদীর পাড়ে বসে গুনগুন করে, ‘আমারে কাঁদিয়ে তোমরা কী আনন্দ পাও? দুঃখ ভালোবাসি আমি জানি সুখ তোমরা চাও। মন ময়না হয়ে উড়তে চায়, ময়ূরসিংহাসন হয় দখিনা বাও। সুখপাখিকে দেখি মির্মির চোখে, হায়, সুখ হয়ে যায় উধাও। ষোলো আনা দিলাম পেটরা খুলে তবু বলে আরও দাও, আমি এখন পর হতে চাই আমার লাগি বাসর সাজাও।’
এমন সময় মাতিনের বড় ভাই তাকে ডেকে বলল, ‘আরমান, এদিকে আয়।’
‘জি ভাইজান।’ আরমান চমকে জবাব দিয়ে প্রায় দৌড়ে যেয়ে চোখ কপালে তুলে বলল, ‘চিতল কোথায় পেলেন?’
‘বেড়াজালে পুঁটি ধরতে চেয়েছিলাম। আমার সাথে কুস্তি করার জন্য পাড়ে উঠেছিল, লেজে ধরে আছড়া মেরেছিলাম।’
‘খুব ভালো করেছেন ভাইজান। ভাবীকে বললে কোপ্তা বানিয়ে দেবেন। সমস্যা হলো, খেতে চাইলে মশলা পিষতে হবে।’
‘তা তোর সমস্যা।’
‘জি ভাইজান।’ বলে আরমান চিতল কাঁধে লয়ে দ্রুত হেঁটে যেয়ে পাকঘরে প্রবেশ করে চিতল নামিয়ে ধপাস করে বসে বলল, ‘ভাবী গো, মশলা পিষতে পারব না।’
‘তোমার বউকে দিয়ে পিষাব।’ বলে ভাবী চিতল দেখে দূরে সরে শিউরে চোখ কপালে তুলে বললেন, ‘জলজ্যান্ত জলন্ধরকে কোন গাঙে ধরেছ?’
‘কুস্তি করার জন্য পাড়ে উঠে ঠেকছিল, ভাইজান আমাকে বলেছিলেন।’ বলে আরমান মাথা কাঁত করে চিতলের দিকে তাকিয়ে চোখ বুজে শিউরে ওঠে। মাথা দিয়ে ইশারা করে ভাবী বললেন, ‘ও ঘোড়ারোগী, আমার মনভোমরা গুনগুন করে এতবড় চিতল ধরলেন কেমনে?’
‘আমি জানি না গো ভাবী। তাকিয়ে দেখো, খাবি খাওয়ার জন্য আই-ঢাই করছে।’
‘এখনো জ্যান্ত নাকি?’
‘থিরথিরানি দেখে মন বলছে, হয়া হায় যায় যায়। হয়ে এসেছে এখন তখন। যমে মানুষে টানটানি। বাঁচে কি মরে ঘাটের-মড়া এখনো মরেনি গো ভাবী।’ বলে আরমান মাথা নেড়ে চিতলের দিকে তাকালে ভাবী কপাল কুঁচকে বললেন, ‘তোমার কী হয়েছে?’
‘বিবাগী আমি বিরহীর দুঃখ শোনার দরদি নাই শান্তি আমার মনে অনল। অশান্তি বুকে তুষেরাগুন জ্বলে অষ্টপ্রহর নয়নে জল।’ বলে আরমান হাসার চেষ্টা করলে মাথা দিয়ে ইশারা করে ভাবী বললেন, ‘তুমি এত ম্যাদা হয়েছ কেন?’
‘মরদা হব কেমনে?’ বলে আরমান হাসার চেষ্টা করলে দুষ্টুহাসি হাসে ভাবী বললেন, ‘দুপুরবেলা বাঁশি বাজালে, ঠাট ঠমক ঠসক করে হেঁটে যেয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে বলবে, বাঁশি আর বাজাইও না বন্ধু ঘরে রইতে পারি না আমি অবলা।’
‘ও ভাবী, আর জ্বালা দিয় না।’
‘মশলা পিষে দিলে মেন্ধি পিষে দেব।’ বলে ভাবী সভয়ে বসবেন এমন সময় এক যুবতী পাকঘরে প্রবেশ করে চিতলের সাথে আরমানকে ধস্তাধস্তি করতে দেখে গলারজোরে চিৎকার করে। চিঁকের দাপটে আরমান চিৎপটাং হলে মাতিন হাসতে হাসতে বলল, ‘কী হয়েছে?’
‘ডরের চোটে চিত্তবিকল হয়ে আমার কলিজায় ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল।’ বলে আরমান শিউরে উঠলে মাতিন বিদ্রুপহেসে বলল, ‘বিয়ে করলে সব ঠিকঠাক হবে। বিয়ে করতে চাস?’
‘না রে ভাই ওকে আমি বিয়ে করব না। ভাবী বলেছেন দুপুরবেলা বাঁশি বাজালে ঠাট ঠমক ঠসক করে হেঁটে যেয়ে বলবে, বাঁশি আর বাজাইও না বন্ধু ঘরে রইতে পারি না আমি অবলা।’
‘ঠিকাছে। কোথায় বসে বাঁশি বাজাতে চাস?’ বলে মাতিন মাথা দিয়ে ইশারা করলে আরমান হাঁটতে শুরু করে বলল, ‘গাঙ পাড়ে চল।’
এমন সময় মাতিনের ভাই হেঁকে বলল, ‘আরমান, মালেক কোথায়?’
‘হাওয়াখানায়।’
‘চিতলের কল্লা কেটেছিস?’
‘জি না ভাইজান, আমার সাহসে কুলায়নি। উদাসিনীকে কোথায় পেলেন?’
‘চিতলের কোপ্তা খাওয়াবার জন্য এনেছি।’
মাতিন কপাল কুঁচকে তাকালে কপট হেসে উদাসিনী বলল, ‘বাজান, কী হয়েছে?’
‘আমাকে বাজান ডাকো কেন?’
‘বাবার ভাই বান্ধবকে আমি বাজান ডাকি।’ বলে উদাসিনী মৃদু হাসলে গম্ভীরকণ্ঠে মাতিন বলল, ‘আমাদের গ্রামে এসেছ কেন?’
‘আমার আম্মা আমাকে বলেছিলেন, দরদিবাড়িতে এতিম অনাথের আত্মীয়রা থাকে। এতিম আমি অনাথিনী।’
‘তোমার আম্মা সত্য বলেছিলেন। কিছু খেয়েছ?’
‘বাজান, আমার হাত লাগলে ঠাস করে মটকি ফাটে। আমার পাতে ভাত দিলে বজ্জাতের জাত যায়। আমার স্পর্শে পঞ্চামৃত বিষাক্ত হয়। বিষকন্যা আমি সর্বনাশিনী।’ বলে উদাসিনী বিচলিত হলে হাসার চেষ্টা করে মাতিন বলল, ‘আমাকে তুমি বাজান ডেকেছ। মেয়ের বিয়ের বয়স হলে বাপ চিন্তিত হয়। আমি চিন্তামুক্ত হতে চাই।’
‘বাজান, আমি কুলটা হয়েছি। কলঙ্কিনীকে কেউ কুলে তুলবে না।’
এই বই দুই খন্ডে আমাজনে প্রকাশ করেছি
Poromatthio: Volume 1 (Bengali) Paperback – 21 Jun 2016
by Mohammed Abdulhaque (Author)
Product details
Paperback: 596 pages
First edition (21 Jun. 2016)
Language: Bengali
ISBN-10: 1534824596
ISBN-13: 978-1534824591
Product Dimensions: 12.7 x 3.4 x 20.3 cm
এক সাথে পড়তে চাইলে আমাজন থেকে কিনতে পারবেন
অথবা অনলাইন পড়তে চাইলে আমার সাইটে আছে
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০১