somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগার কগচডড, এই পোস্টটা আপনার জন্য

১৩ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে একটা মজার ঘটনা বলি যেটা দিনের পর দিন দেখে আসছি । সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে অনেক সংবাদ সম্মেলন করেন, ক্ষমতার বাইরে গেলে আরো বেশি করে করেন । কিন্তু কোন সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরাসরি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দেন না । একটা কাগজে তার বক্তব্য লিখে আনেন এবং সেটা তোতা পাখির মতন পড়ে উঠে চলে যান । এমনকি অনেক সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বলে দেয়া হয় যে কোন প্রশ্ন করা যাবে না । আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, এই বাংলাদেশে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যিনি দেখেছেন খালেদা জিয়া কোন সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি কোন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ।

ব্লগার কগচডড এর এই পোস্টটা র আইডিয়াও মনে হয় তার নেত্রীর কাছ থেকে ধার করা । পোস্টের টাইটেলটা পড়ুনঃ আওয়ামীলীগ বহু রুপী ভন্ডের দল। কারন ঃ ***** অন্ধ আওয়ামী সমর্থক দের পড়া নিষেধ। । কেন? পড়লেই জবাব চলে আসবে তাই? সেই জবাবের উত্তর নেই আপনাদের কাছে তাই? আমি জানতাম ব্লগ এমন একটা জায়গা যেখানে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হবে, বক্তব্যের সমালোচনা হবে , যুক্তি দেখানো হবে আবার সেই যুক্তি খন্ডানো হবে । যুক্তি আর সমালোচনাকে যদি এতো ভয়ই পান তবে এখানে আসেন কেন? আমি জানি আপনারা আপনাদের নিকের খনি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বেন এই পোস্টে মাইনাস দিতে, গালি-গালাজ দিতেও কেউ কেউ পিছপা হবেন না, কিন্তু তাদের কেউ যুক্তি খন্ডানোর ধারে কাছে দিয়ে যাবেন বলে এখনো পর্যন্ত আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা । বলা হবে একটা জবাব দেবেন আরেকটা । তবুও আসুন । এই পোস্ট সবার জন্যই উম্মুক্ত ।

আমি অন্ধ কিনা জানিনা, তবে হ্যা, আমি আওয়ামী সমর্থক । আমি জানি আওয়ামী লীগ ধোয়া তুলশী পাতা নয়, তার ভেতরেও হাজার হাজার লক্ষ কোটি দোষ আছে । কিন্তু সেইসাথে আমি এও বিশ্বাস করি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে যদি কোন দলকে সমর্থন করা যায় সেটা আওয়ামী লীগ । কারণ বাকীদের দোষ ত্রুটি তার চেয়ে লক্ষ কোটি গুন বেশি । ব্লগার কগডচচ এর পোষ্টে কড়া নিষেধ থাকা সত্বেও পোস্টটা পড়ে ফেললাম (জানেন তো নিষিদ্ধ জিনিষের আকর্ষণ বেশি) , কিন্তু তার উপর আবার কমেন্ট করার ধৃষ্টতা দেখালাম না । ভাবলাম আরেকটা পোস্ট দেওয়াই ভালো ।

=============================================
আপনার প্রথম জিজ্ঞাসাঃ
ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বলতে আমাদের মানুষ বোঝে জামাতের রাজনীতি। অথচ ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করার মধ্যে অনেক গভীর অর্থ লুকিয়ে আছে। যা নিরীহ বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। আওয়ামীলীগ ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা বলছে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে মাঠ গড়ম করে বিরোধী দল গুলোকে কোনঠাসা করছে ।আমার প্রশ্ন এই কাজ গুলোও কি লীগের এক ধরনের ধর্মীয় রাজনীতির মধ্যে পড়ে না?
----------------------------------------------------------------------------------

ওয়াও!!!! নিরীহ বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির অর্থ বোঝা সম্ভব নয়, আর আপনি সেটা বুঝে এতো বড় পোস্ট দিয়ে দিলেন? আপনি তো দেখা যাচ্ছে একদমই নিরীহ না!!! আর বাংলাদেশের আমজনতাকে এতো বোকা ভাবেন ভালো, সেটা এভাবে প্রকাশ করা তো ঠিক না । তবে আপনি কিভাবে যেন একটা সত্যি কথা বলে ফেলেছেন । ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির অর্থ সত্যিই অনেক গভীর । আর জামাত যেটা করে সেটা সোজা কথায় বাটপারী, সেখানে পুরোটাই রাজনীতি (সেটাও নিকৃষ্ট শ্রেণীর), ধর্মের সামান্যতম ছোঁয়াও নেই তাতে । তাহলে কি দাড়ালো? আপনার কথামতেই, সরকার আসলে জামাতের বিরুদ্ধে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে না । বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করার রীতি আপনি আগে দেখেন নি? এরশাদ বা খালেদা জিয়া সেটা করেন নি? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করাকে আপনি কোন যুক্তিতে ধর্মীয় রাজনীতি ভাবেন কে জানে । অবশ্য আপনার টানটা যদি জামাতের জন্য হয় তাহলে ভিন্ন কথা ।


=============================================
আপনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় জিজ্ঞাসাঃ
২) আওয়ামিলীগ নিজেদের সেকুলারিস্ট বা ধর্ম নিরপেক্ষ মনে করে অথচ আওয়ামীলিগ ধর্মীয় ভন্ডামিতে সবার সেরা। জামাতের চাইতেও সেরা-কারনঃ ?????
মনে আছে?? ফতোয়া বাজদের সাথে আব্দুল জলিলের চুক্তি।বেশী দিন আগের কথা না, ২০০৬ সালের ঘটনা। কাওমি মাদ্রাসার আলেম ওলামা যারা নিজেদের চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী, সেই সকল গোড়া আলেমদের সাথে আওয়ামি সাধারন সম্পাদক জলিল চুক্তি করেছেন এইটা মিডিয়ার সামনে প্রকাশ হয়। আমি এটা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। প্রগতিশীল আওয়ামিলীগের এই ধরনের পশ্চাদ পর চিন্তা কেন? একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে বুঝবেন এইটাও আওয়ামী হায়েনাদের ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির অংশ। আর এই জলিল সাহেব যা করেছেন তা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমেই হয়েছে। হাসিনার পারমিশন ছাড়া এই জলিলের সাধ্য নাই এই ধরনের চুক্তি করা।

৩) ওই চুক্তিতে সেই সকল গোড়া কাওমী আলেমদের ফতোয়া দেয়ার রাস্ট্রিয় ক্ষমতা দেয়া হয়েছিলো। তার মানে ফতোয়া কার্যকর করার জন্য পুলিশ, আনসার,RAB সবাই বাধ্য থাকতো। যেই ফতোয়া বাজদের জন্য আমাদের গ্রামের মানুষের ভীষন দুর্দশা সেই ফতোয়া বাজদের রাস্ট্রিয় পোষকতা করার নিশ্চয়তা এই আওয়ামিলীগের দল দিয়েছিলো কেন জানেন? এই ফতোয়া বাজদের সমগ্র বাংলাদেশ রয়েছে কমপক্ষে ৪০ লক্ষাধিক ভোট। ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ কতোটা ঘৃন্য পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলো তা বুঝতে আমার মতন স্বাভাবিক মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয় না।
---------------------------------------------------------------------------------

এটা আপনি কি করলেন? লাইন#৩ দেখেনঃ জামাতের চাইতেও সেরা । :-/ এতো সহজে স্বীকার করে নিলেন জামাত ভন্ডামীতে সেরা (অবশ্য আপনার মতে দ্বিতীয়) ? তবুও ভালো । মরা মরা বলতে বলতেই নাকি মানুষ রাম রাম বলতে শিখে ( এই নেন আপনার হাতে মোক্ষম একটা অস্ত্র তুলে দিলাম । এইবার মন খুলে আমাকে হিন্দু/ ভারতের দালাল / র'এর এজেন্ট বলতে পারবেন । খুশি তো? )

যাহোক, আওয়ামী লীগ একটা চুক্তি করলো বলেই আপনাদের এত্তো রাগ? নাকি আপনাদের একটা অংশ ছুটিয়ে এনেছিলো বলে রাগটা বেশি? আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশের রাজনীতি সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য? সাধু-সন্ন্যাসীদের পক্ষে শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর কোথাওই রাজনীতি করা সম্ভব না । দালাই লামাও এখন আমেরিকাতে গিয়ে পিজা খায়, জানেন না? বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন মানুষ দেখান তো যিনি ১০০ ভাগ সৎ । এদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতায় যাওয়াটাই আসল। আর আওয়ামী লীগের জন্য সেটা মনে হয় জান বাচানোর মতই ফরজ । ২০০১ এর নির্বাচনের পর থেকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের কতজন প্রথম সারির নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলুন তো । ও থুক্কু, আপনারা তো বলেন ২১শে আগষ্ট হাসিনা নিজেই নিজের উপর গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিলো । আপনি যে চুক্তির কথা বলছেন সেটা ছিলো আব্দুল জলিলের স্বাক্ষরিত, হাসিনার স্বাক্ষর ছিলোনা বলেই চুক্তিটা শেষ পর্যন্ত হয়নি (এখন হাসিনার সম্মতিতে জলিল স্বাক্ষর করেছিলো, নাকি সে তার নিজের বুদ্ধিতে করেছিলো সেটা নিয়ে আপনি আমি সারাদিন সারারাত গলাবাজি করতে পারি, তাতে প্রমাণ হবে না কিছুই) । চুক্তিটা যদি হতোও আপনি কি মনে করেন সেটা বাস্তবায়ীত হতো? মনে আছে সেই সময় এরশাদের সাথেও একটা চুক্তি হয়েছিলো মহাজোট ক্ষমতায় গেলে এরশাদকে রাষ্ট্রপতি বানানোর জন্য । সেটা নিয়েও তো নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামাত অনেক হইচই করলো, সেটা কি বাস্তবায়িত হয়েছে?

=============================================

আপনার চতুর্থ ও পন্চম জিজ্ঞাসাঃ
৪) আওয়ামিলীগের নির্বাচনি প্রচারনা শুরু হয় সিলেটের শাহজালাল মাজারের থেকে।লীগের বড় বড় নেতারা মাজারে যেয়ে হাত তুলে দোয়া চান, ব্যাপক দান খয়রাত করেন। তারা যদি ধর্ম নিরপেক্ষ হয়েই থাকেন তাহলে মাজারে যাবে কেন। তাহলে তারাতো ইসলামপন্থি দল হয়ে গেল। শেখ হাসিনা হজ্বে গিয়ে মাথায় স্কার্ফ লাগিয়ে মিডিয়ার সামনে আসেন। বঙ্গবন্ধুর মাজারে বিশাল দলবল নিয়ে জিয়ারত করতেযান। আওয়ামি-ওলামা লীগ নামে একটি আলেমদের দল আছে। ওনারা বিভিন্ন সময়ে চরমোনাই, জামাত,ও যাকের পার্টিকে কাফের বলতে ব্যাস্ত।
লিগের এই কার্যকলাপ তালেবান যুগের কথাকেও হার মানায়। তার পরো ভাবি এই দলটি সেকুলারিস্ট হয় কি ভাবে?

৫) চট্রগ্রাম এবং সিলেট সহ দেশের আনাচে কানাচে অনেক বড় বড় ওলি আওলিয়াদের মাজার আছে। আর বেশীর ভাগ মাজারের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আওয়ামী নেতারা। চট্রগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারে সহ অনেক মাজারে হিন্দুদের ও যেতে দেখেছি। এই খানেও পলিসি। হাজার হাজার ভক্ত এবং হাজার হাজার ভোট। মাজারের টাকার ভাগ তো আছেই।এমন কি পাড়া মহল্লার মসজিদ কমিটির সভাপতি পদেও আওয়ামী নেতারা রয়েছেন।
বায়তুল মোকারমের মসজিদের খতিব ও আওয়ামি সমর্থিত। সুবিধা অনেক লাখ লাখ মুসুল্লিদের ব্রেইন ওয়াশ। আর দলীয় ভিত্তি পাকা পোক্ত করা। অন্য দিকে জামাত কোন ঠাসা শুধু মাত্র কিছু মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।
---------------------------------------------------------------------------------

এই প্রশ্নের জবাবে একটা কথাই বলবো, আপনার জ্ঞান আসলেই খুব সীমিত অথবা আপনি জেনেশুনে মানুষকে ভ্রান্ত ধারণা দিচ্ছেন । আপনি মনে করেন ধর্মনিরপক্ষতা মানে ধর্মহীনতা বা নাস্তিকতাবাদ এবং আপনি (পড়ুন আপনারা) আপনাদের এই ভুল ধারণা জেনে শুনে সাধারন মানুষের মধ্যেও চালান করতে চান ।

একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মূলনীতি হচ্ছে রাষ্ট্র সজ্ঞানে তার কর্মকান্ডে কোন একটি (বিশেষ) ধর্মকে সমর্থন করবেনা এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ ধর্ম পালনে যথাসম্ভব সহযোগীতা করবে । এখন আমাকে বলেন, একজন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ মসজিদে নামায পড়তে গেল বা গীর্জাতে পূজা দিতে গেল, তাতে তার ভন্ডামী প্রকাশ পেল কিভাবে? ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে, তাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মসজিদে যাওয়া ও অন্যান্য ধর্মীয় আচার আচরনও আপনারা বন্ধ করতে চান? অন্যের ধর্মকে সম্মান দেওয়ার কথা পবিত্র কুরআনেও বলা আছে । কুরআন শরীফে এটাও বলা আছে, তোমরা একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে কাফের বলো না । আপনারা কোন কুরআন মানেন তা আল্লাহ পাকই জানেন ।

=============================================

আপনার শেষ জিজ্ঞাসাঃ
৬) শুধু ইসলাম ধর্মীয় গোড়ামি নিয়েও সেকুলারিস্ট আওয়ামিলীগ সন্তুস্ট হতে পারেনি। তাদের আরো ভোট দরকার তারা নিশ্চিত হতে চাইছিলো ক্ষমতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার। তাই সংখ্যা লঘুদের ভোট টানার কৌশল আরম্ভ করলো। তাই তারা এবার ধর্ম নিরপেক্ষতার ভান করলো। এবং হিন্দু বৌদ্ধ সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সহানুভুতি আদায় করা শুরু করলো।
যাতে বিরোধীদল কোন ভাবেই সুযোগ না পায়। আমার ধারনা বেশীর ভাগ হিন্দুরা চায়না ইসলাম পন্থি সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসুক। এইটা তাদের একটা ভয়ের কারন তাই তারা চায় সেকুলারিস্ট দল ক্ষমতায় আসুক। যেমন টি, ভারতের মুসললান রা চায় না শিব সেনা বা বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় আসুক।ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়িয়ে পড়ুক, তাই তারা কংগ্রেস কে ভোট দেয়। বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় উদারতা এই দক্ষিন এশিয়ার মডেল। ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-নেপাল সব দেশে হিন্দু-মুসলিম, হিন্দু-খ্রীস্টান, হিন্দু-বৌদ্ধ দাঙ্গা হয়েছে। একে অপরকে হিংস্র ভাবে খুন করেছে। বাংলাদেশে কখনোই জাতিগত/ ধর্মীয় দাঙ্গা হয়নি, কখনো হবে না। তাই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি। কিন্তু এই আওয়ামিলীগকেই দেখলাম সংখ্যা লঘু ভোটার টানার অপপ্রয়াস চালায়। আমরা সবাই বাংলাদেশী, সংখ্যা লঘু কথাটি আসবে কেন? নিজেদের সেকুলারিস্ট দাবি করে এই সংখ্যা লঘুদের সহানুভুতি আদায় করে ভোট ব্যাঙ্ক ভারি করে। অনেক হিন্দুই শরিয়া আইন কে বাস্তবায়নের ভয়, সেকুলারিস্টদের সমর্থন করে। আমার ধারনা, এই জন্যই আওয়ামিলীগকে মালাউন দের দল বলা হয়।

প্রশ্ন হলো আওয়ামিলীগ তাদের সেকুলারিস্ট দাবি করে কেন? সংখ্যা লঘুদের সাথে এই প্রতারনা কেন?
----------------------------------------------------------------------------------

এটার জবাব আপনি নিজেই দিয়ে দিলেন, শেষে আবার নিজেই প্রশ্ন করলেন । আপনি নিজেই বলেছেন, যেমন টি, ভারতের মুসললান রা চায় না শিব সেনা বা বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় আসুক।ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়িয়ে পড়ুক, তাই তারা কংগ্রেস কে ভোট দেয়। । আর বিএনপি-জামাত জোট ২০০১ এ ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘুদের যেভাবে আদর করেছিলো সেটা মনে রাখলে তো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামনের ১০০ বছরেও বিএনপি-জামাত জোটকে ভোট দেওয়ার সাহস করার কথা না । আপনি বলেছেন, আমরা সবাই বাংলাদেশী, সংখ্যা লঘু কথাটি আসবে কেন? এসব বই্য়ের কথা, বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন । বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হওয়ার জ্বালা সংখ্যালঘুরাই জানে । কপাল খারাপ তাই কিছু ঘটনায় আমাকেও জড়িয়ে যেতে হয়েছে তাই আমি জানি । এর মধ্যে প্রতারনার কি হলো তা তো বুঝলাম না। আর আপনি যে কোন ঘরানার মানুষ আর সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে আপনার ধারনা যে কি সেটা তো বুঝতেই পারলাম যখন আপনি তাদের সম্বোধন করলেন মালাউন নামে ।

=============================================

আশা করি শুধু মাইনাস দিয়েই চলে যাবেন না, সামান্য হলেও কিছু সংগতিপূর্ন যুক্তি দেখিয়ে মাইনাস দিবেন । ভালো থাকুন ।
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×