(১ম পর্ব)
ছোট ছোট সাধ ছিল, ছোট ছোট প্রাণে
হৃদয়টা বড় ছিল- সকলেই জানে।
আমাদের গ্রাম ছিল- শান্তির নীড়
মধুমতি ধানসিঁড়ি ঝিনায়ের তীর।
এক চাওয়া সকলের, একটাই আশা
হৃদয়ের খাল বিল, ভরা- ভালোবাসা।
স্বপ্নের রঙ ছিল- সকালের রোদে,
রাত জুড়ে গড়াগড়ি, জোছনার- চাঁদে।
ধর্মের ভাগ আর রাজনীতি ভেদ
খোঁজে নাই কেউ সেথা- হিংসের ক্লেদ,
রুপবান বেহুলারা বনবাস ছেড়ে
দল বেঁধে ঘর বাঁধে, এইগ্রাম- তীরে।
প্রকৃতিও মিশে ছিল, মানুষের মত
আম জাম জামরুল- গাছ ছিল যত,
রাম জন রহিমেরা সেথা ভাই ভাই
মসজিদ মন্দির- ঈদগাহে যাই।
দ্বিতীয় পর্ব ঃ
আমাদের গ্রাম আজি- ব্যস্ত শহর
এক ছাদ নিচে থেকে- সকলেই পর।
পাড়ার বিপদে কারো- কেউ ছুঁটে না,
শান্তিরা গৃহত্যাগী- সুখ জোটে না।
কেউ থাকে ডানদিকে- কেউ রয় বামে,
কেউ রয় সব দিকে- মাঝখানে থামে।
পাতি নেতা হাতি নেতা- নেতাদের মেলা
গলাগলি- ডলাডলি- রাজনীতি খেলা।
দলাদলি ঠেলাঠেলি- দুই দল ভাগে
হিংসায় আক্রোশে, মিটে ক্ষোভ- রাগে।
ঈদ পুঁজো- পার্বন, উৎসব যত
রাজনীতি চাষাবাদ- বিভেদের ক্ষত।
এই খানে রমণীরা- খাল নদী ভুলে
দরিয়ার স্বাদ খুঁজে- শাওয়ারের জলে।
যমুনার বুক চীরে, ছুটে ট্রাক- বাস
যন্ত্রের সভ্যতা, করে- উপহাস!
সবক’টা জানালা কেউ খোলে না
ওরা এসেছিলো কি-না, কেউ জানে না।
সে খবর বেচাকেনা পণ্যের দরে
চেতনার হাওয়া হয়ে- শাসনের বরে।
সালাম আর রফিকের আত্মার দান
লাখো কোটি স্রোত ধারা- রক্তের বান,
তার সুর প্রেরণায়, আজ বাজে না-
সেই গ্রামে স্বপ্নরা- আর সাঁজে না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫১