কেউ কেউ ঝরে যায়- শুকনো পাতায়,
পড়ে থাকে আড়ালের- শুন্য খাতায়।
কারো কারো মরে- বাঁচা- একা নির্জনে,
চির দুঃখি নিরালায়, ঈদ- পার্বনে।
কারো কারো ঘর নেই, কেউ ঘর হারা,
যাতায়াতে পথ নেই- ফিরবার তাড়া।
কারো দিন শুরু হয়, আহাজারি- শোকে,
উল্লাস আয়োজনে- বধিরের মুকে।
কেউ কেউ ভোর খুঁজে, সারারাত- জেগে,
স্বপ্নের ছায়া হয়ে- বিনাশী আবেগে।
কারো রাত শেষ হয়- গড়িয়ে দুপুর,
হতাশার সুরে- বাজা, দুঃখের নুপুর।
কারো কারো অমানিশা- জোছনার সুখ,
ঝড়ো হাওয়া- ঝাপটানো, বিনাশের মুখ।
কেউ কেউ স্রোতে বাঁধে- বাঁচবার নীড়,
রঙধনু বুকে আঁকে, সাধের- আবীর।
কারো কারো দিন আসে, বিদিশা- কাজলে,
বৃষ্টির ধারা বেয়ে- কুয়াশার গালে।
ঘুমটা আঁচল ঢাকা- সূর্যের চোখে,
বৈরাগী ভুলে ডুবে, থাকে- দুইচোখ।
কারো মন- শ্রাবনেও, চৈত্রের দেখা,
বৃষ্টির- অঝোরেও, বিরান সে, খাঁ- খাঁ।
রোদের ঝলক খুঁজে, বৈশাখী মেঘে,
বিজলির চমকানি, নির্ঝর থেকে।
কেউ তবু চেয়ে থাকে- আশায় আশায়,
আগামীর পথ পুষে- ভুলের খাঁচায়।
আদরে- যতনে করে, ভুলের আবাদ,
ভুল চাষাবাদে খুঁজে-বিজয়ের স্বাদ।
এই গাণিতিক ছকে- কারো কোন মন,
বিপরীত ধারাপাতে- উল্টো জীবন।
বিপরীত বসবাসে- বিপরীত আশা,
বিপরীতে মরে- বেঁচে, ভুলে- ভালোবাসা।
কেউ তবু চেয়ে রয়, আশায়- আশায়,
আগামীর বীজ পুষে, ভুলের- খাঁচায়।
আদর যতনে করে- ভুলের আবাদ,
ভুল চাষাবাদে খুঁজে- বিজয়ের স্বাদ!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭