এইখানে নদীদের মৃত কোলাহল
চৈত্রেও থৈ থৈ বর্ষা- সজল,
তার জলে জড়াজড়ি আবাদী পলল
তবু তার দুই তীর মরু চলাচল।
এইখানে দিন আসে- অলখের সুর
কান্নায় শুরু তাই- জীবনের ভোর।
লালসার তাপে পুড়ে- ক্রোধের দুপুর
ইচ্ছের পায়ে মল- শিকল- নুপুর।
ফ্যাকাশে বিকেলজুড়ে- এই জনপদ
সন্ধ্যের অমানিশা ভয়াল শ্বাপদ,
রাতগুলো জেগে রয় ভীতু হাহাকারে,
প্রভাতের ঘুম ভাঙে ভীত- চিৎকারে।
জ্ঞানের ছায়ায় দেখি- মুখোশ ভাঁরুর
নবীনের ভয় চোখ, অলস- ভীরুর।
হুকুমে কপাট খোলে, বিবেকের দোড়
শকুনের মুখে খই- আবেগের ঘোর।
এইখানে জেগে থাকে- পিতার কবর,
বুকেজুড়ে খেলাকরে, ফসুলে- জঠর
দুই চোখ এই আকাশ, এপাড়- ওপাড়,
তিনি এই পতাকা- পিতা আমাদের।
এ জাতির অহমিকা শৌর্যের স্থান
মুক্তির নেশা লাগে, তার- আহ্বান,
শৃংখল ছিঁড়ে দিয়ে, পেতে- অধিকার,
উড়িয়েছি পতাকা, স্বাদ- স্বাধীনতার!
পতাকাকে উচু করে, বাঁচা- সম্মান
মৃত্যুকে রুখেছিল- হয়ে বলিদান,
কে তার কাঁধে আজ পাষান- সওয়ার?
একে একে কেড়ে নেয়, সব- অধিকার!!
সেই নাম পুঁজি করে, কে রুটি- রুজি করে?
কে কত ভোগে ডুবে, কার কত পুঁজি বাড়ে?
এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে
এসো মিলি- একতায়, হাত রেখে- হাতে।
কোন দিল, দরিয়ায়- ভৈরবী বান
কোন বুকে বয়ে চলে, ঝড়ের - তুফান,
দেশমাতা প্রয়োজন, হায়দারী- হাঁক,
কাঁধে- কাঁধ রুখে দেই, বিনাসের ডাক।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১১