উৎসব- পার্বনে, নিত্যই রোজা
ঠেলাগাড়ী পরিবারে, আরও ক্ষুধা- বোঝা,
ঘামে ভেজা নিঃশ্বাস, নতঃশীর- কুঁজা
বোধ- প্রতিবন্ধী, সুজাত আলী সুজা।
নিয়তির করুনায়, বাঁচে- মশকরা
ক্ষুধিতের হাহাকার, ভাগারের- মরা,
অসময়- দায়ে ফুটা, নতমুখ- ঝরা
সুজাত আলী সুজা তিনি, সাং- সাতকুড়া।
চৌকিদার দাদা ছিল- হুকুমের প্রজা
কবিরাজ বাবা তার- নামকরা ওঁঝা,
মা ছিল বিধাতার- বন্দনা পুঁজা
সুজাত আলী নাম তার, লোকে বলে- সোজা।
হাট ঘাট মসজিদ, যেথা যাক সুজা,
শুধাবার উত্তরে, "বলে কেন- সোজা"
সেই থেকে সুজাত আলী, সুজা নয়- সোজা
জুতা নাই স্যান্ডেলও- পায়ে থাকে মোজা।
একদিন ভোরে ছিল প্রতিদিন- রূপ,
বাবা ছিল বাড়িতেই, মা নিশ্চুপ।
সারা বাড়ী মৌ মৌ, লোবান আর ধূপ
সুজাত আলী সেই শেষ- হেসেছিল- খু উ ব...।
এরপর গল্পটা- শুধু কান্নার
ইট কাঠ পাথরের- বুনো হাহাকার।
কেঁদে ভেসে মাকে খুঁজে, দিন রাত- ভোর,
সুজা হলো ভবঘুরে- ভুলে ঘর- দ্বোর।
এ জীবন কেন শুরু, কোথা তার শেষ,
কেন তার এত রূপ, কত তার- বেশ !
বোধ- প্রতিবন্ধী, তবু বুঝে সুজা
বাঁচবার সব পথ, বাঁকা- নয় সোজা...।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭