সরকারের নীতিনির্ধাকেরা বাংলাদেশের শিশুদের নিয়ে খুব চিন্তিত। কয়েকদিন আগে তারা আবিস্কার করল। ফ্ল্যাট মালিকদের কারণে আমাদের শিশুরা খেলার জায়গা পাচ্ছে না। তাই একদম নিয়ম করে বলে দিল যে প্রতিটি হাউজিং এলাকায় এখন থেকে খেলার জায়গা থাকতে হবে। কিন্তু তারপরও মনে হয় সরকারের নীতিনির্ধাকেরা খেয়াল করলেন। ছেলেপেলেরা খেলাধুলা করছে না। করলেও বাসায় কম্পিউটারে। তাই তারা পুরোনো এক ইংরেজী প্রবাদ বাক্যের শরণাপন্ন হলেন। প্রবাদ বাক্যটা হলঃ " Early to bed, early to rise,makes a men healthy,wealthy and wise" . কথাটা সত্য। কিন্তু তার অন্য রূপও এখন শিশু কিশোরসহ সবাই দেখতে পারছে সরকারের ডিজিটাল টাইমের কারণে। বিশেষ করে যাদের ৭.৩০ বা ৮ টায় ক্লাস ধরতে হয় তারা মনে হয় ভালভাবেই বুঝতে পারছেন প্রবাদ বাক্যটির মর্মকথা। ৭.৩০/ ৮টায় ক্লাস হলে যানজটের কথা মাথায় রেখেই ৬.৪৫ থেকে ৭টার মাঝে বাসা থেকে বের হতে হয়। এই সময়ে বাসা থেকে বের হতে হলে ৬.৩০ এর মাঝে ঘুম থেকে উঠতে হবে। ডিজিটাল টাইমের কল্যানে ৬.৩০ টায় অন্ধকার হয়ে থাকে। ৬.৪৫ এ যখন বাসা থেকে বের হতে হয় তখন মাত্র ভোরের আলো মাত্র ফুটতে শুরু করে। এই সময়ে একটা রিকশা পাওয়াও দুঃসাধ্য ব্যপার। ফলে সবাইকে হেটে অনেকটা পথ যেতে হবে (যাদের গাড়ি নেই)। সরকার তো এটাই চাচ্ছিল। এই প্রতিযোগীতার যুগে বাচ্চাদের ব্যায়ামের সময় কই। সুতরাং সরকারের এই দূরদর্শী সিদ্ধান্তে আজকাল তারা নিয়মিত ব্যায়ামের সুযোগ পাচ্ছে। যা কিনা তাদের healthy করে তুলছে। তাছাড়া এই যে রিকশাভাড়া বেচে যাচ্ছে তাতে টাকা পয়সাও বাচছে। এটা তাদেরকে wealthy করছে। এই দূর্ভোগ পোহাতে পোহাতে তারা সরকারের ছাগলামী ধরতে পারছে। সুতরাং তারা wise হয়ে যাচ্ছে। সরকারের সবার জন্য যে মহা উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য সবার সাধুবাদ দেয়া উচিত।
শুনছি ঘড়ির কাটা নাকি পেছানো হবে না। তার মানে কয়েকদিন পরে সকাল ৭টা - ৭.১৫ তে সকাল হবে। মজাই হবে সবাই শেষরাতে ক্লাস করতে যাবে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাউকে তো সকাল ৬.৩০ টায় উঠতে হয় না। সুতরাং একঘন্টা পিছালেই বা কি আগালেই বা কি ?