somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজ়িটাল টাইম

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারের নীতিনির্ধাকেরা বাংলাদেশের শিশুদের নিয়ে খুব চিন্তিত। কয়েকদিন আগে তারা আবিস্কার করল। ফ্ল্যাট মালিকদের কারণে আমাদের শিশুরা খেলার জায়গা পাচ্ছে না। তাই একদম নিয়ম করে বলে দিল যে প্রতিটি হাউজিং এলাকায় এখন থেকে খেলার জায়গা থাকতে হবে। কিন্তু তারপরও মনে হয় সরকারের নীতিনির্ধাকেরা খেয়াল করলেন। ছেলেপেলেরা খেলাধুলা করছে না। করলেও বাসায় কম্পিউটারে। তাই তারা পুরোনো এক ইংরেজী প্রবাদ বাক্যের শরণাপন্ন হলেন। প্রবাদ বাক্যটা হলঃ " Early to bed, early to rise,makes a men healthy,wealthy and wise" . কথাটা সত্য। কিন্তু তার অন্য রূপও এখন শিশু কিশোরসহ সবাই দেখতে পারছে সরকারের ডিজিটাল টাইমের কারণে। বিশেষ করে যাদের ৭.৩০ বা ৮ টায় ক্লাস ধরতে হয় তারা মনে হয় ভালভাবেই বুঝতে পারছেন প্রবাদ বাক্যটির মর্মকথা। ৭.৩০/ ৮টায় ক্লাস হলে যানজটের কথা মাথায় রেখেই ৬.৪৫ থেকে ৭টার মাঝে বাসা থেকে বের হতে হয়। এই সময়ে বাসা থেকে বের হতে হলে ৬.৩০ এর মাঝে ঘুম থেকে উঠতে হবে। ডিজিটাল টাইমের কল্যানে ৬.৩০ টায় অন্ধকার হয়ে থাকে। ৬.৪৫ এ যখন বাসা থেকে বের হতে হয় তখন মাত্র ভোরের আলো মাত্র ফুটতে শুরু করে। এই সময়ে একটা রিকশা পাওয়াও দুঃসাধ্য ব্যপার। ফলে সবাইকে হেটে অনেকটা পথ যেতে হবে (যাদের গাড়ি নেই)। সরকার তো এটাই চাচ্ছিল। এই প্রতিযোগীতার যুগে বাচ্চাদের ব্যায়ামের সময় কই। সুতরাং সরকারের এই দূরদর্শী সিদ্ধান্তে আজকাল তারা নিয়মিত ব্যায়ামের সুযোগ পাচ্ছে। যা কিনা তাদের healthy করে তুলছে। তাছাড়া এই যে রিকশাভাড়া বেচে যাচ্ছে তাতে টাকা পয়সাও বাচছে। এটা তাদেরকে wealthy করছে। এই দূর্ভোগ পোহাতে পোহাতে তারা সরকারের ছাগলামী ধরতে পারছে। সুতরাং তারা wise হয়ে যাচ্ছে। সরকারের সবার জন্য যে মহা উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য সবার সাধুবাদ দেয়া উচিত।

শুনছি ঘড়ির কাটা নাকি পেছানো হবে না। তার মানে কয়েকদিন পরে সকাল ৭টা - ৭.১৫ তে সকাল হবে। মজাই হবে সবাই শেষরাতে ক্লাস করতে যাবে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাউকে তো সকাল ৬.৩০ টায় উঠতে হয় না। সুতরাং একঘন্টা পিছালেই বা কি আগালেই বা কি ?
১৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৪



চাইলে জিয়াউর রহমান ঢাকায় ঝাঁ চকচকে দালান কোঠা রাস্তা বানিয়ে সবার চোখ ধাঁধিয়ে উন্নয়ন করার বাহাদুরি করতে পারতেন। সেটা না করে তিনি ঘুরতে লাগলেন সারা দেশে, গ্রামে গঞ্জে গিয়ে খাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জবাবদিহিতার অনন্য দৃষ্টান্ত

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে। সেসব পোস্টে তার বিরুদ্ধে বিপুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি যাত্রা করবেন নাকি রাজনীতি করবেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১১


ইদানীং দেশে রাজনৈতিক দল গজানোর হার দেখলে মনে হয়, দেশের মাটিতে এখন ধান নয়, গজায় দল। ভোট এলেই বুঝি এই দলগুলো দুলে ওঠে, আর না এলেই পড়ে থাকে ফাইলের পাতায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের নেতারা যদি সত্যিই নির্দোষ হতেন, তাহলে তারা পালিয়ে গেলেন কেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৯

আওয়ামী লীগের নেতারা যদি সত্যিই নির্দোষ হতেন, তাহলে তারা পালিয়ে গেলেন কেন?

পলায়নপর ছবি কৃতিত্ব এআই

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ ছেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সুরের জাদু: গিটার বাজালে কি ঘটবে?

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪১



গাজীপুরের পুবাইলের পুরনো গির্জাটি রাতের আঁধারে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই গির্জার নির্মাণকালে কিছু না জানা কুসংস্কারের অনুসরণ করা হয়েছিল। গাজীপুরের লোককথায় বলা হয়, এই গির্জার নিচে আটটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×