গিয়াস লিটনঃ
বইমেলাতে গিয়ে ভায়া
করছে ঘুরাঘুরি
দেখলাম তার বগল দাবা
টুকটুকে এক পরী।
ফুচকার বিল নিয়ে
দন্ধে জড়ায় দুই
ভায়া কয় তুই দে
পরী কয় তুই!
এ খামচায় ও কামড়ায়
ভীষণ হুলুস্থুল !
যেন দু;জন বাচ্চা মানুষ
পড়ছে কোন স্কুল।
রাবেয়াপু রফা করে
নিজেই দিয়ে বিল,
ততোক্ষণে ভায়া বেহুঁশ
খেয়ে বেদম কিল।
সেই থেকে ভায়াটা
কথা কয় মেপে
শুধু পরী দেঝলেই
মাথা যায় ক্ষেপে।
কি করি আজ ভেবে না পাইঃ
পরী কারে কইছো হে
সাক্ষাত ডাইনি;
লাগে যেনো ফুচকা সে
জীবনেও খায়নি।
সে কি তার খাওয়া ভায়া
আচানক অদ্ভুত;
চামচের কাম নাই
গিলে খায় কোৎ কোৎ।
দশ মিনিটেই প্রায়
দোকানের মাল শেষ;
আরো চাই,আরো চাই
টায়ার্ডের নেই লেশ।
দোকানেতে ছিলো প্রায়
দু'বস্তা ফুচকা;
সব ছেরি একা খেলো
সেকি জোর মোষ কা!!!
না হলেও খেয়েছে সে
চার কেজি চটপটি;
এরপরে খেতে চায়
কাবাব আর নানরুটি।
কাবাবটা খেয়ে চায়
ফুল প্লেট কাচ্চি;
দুইদফা খেয়ে চায়
ডেজার্ট আর লাসসি।
কত কি যে খেলো বাপু
হিসেবের নেই কুল;
বই মেলা যাওয়াটাই
ছিলো মোর মহা ভুল।
ভিসা কার্ডে বিল দিয়ে
ব্যলেন্সটা হলো ফাঁকা;
ওমা দেখি ছেরি এ'লা
বিড়ি খেতে চায় টাকা!!!
খুচরো যা ছিলো জেবে
নিলো এক টানেতে;
চলো যাই বইমেলা
কয় কানে কানেতে।
বইমেলা ছিলো তার
আরো এক ধান্দা;
দোকানে দোকানে ছিলো
কমিশন বান্ধা।
এটা কিনে,ওটা কিনে
টেনে মোর জামারে;
কেনা শেষে বিলখানা
চামে দেয় আমারে।
রাবুবু'র কাছ থেকে
মোটা টাকা নিয়ে ধার;
সেইদিন কোনমতে
পাই শেষে উদ্ধার।
আজো স্মৃতি মনে হলে
খুব পায় কান্না;
কানে ধরি এজীবনে
ছবি সনে আর না।
গিয়াস লিটনঃ
এ কান ও কান করে
বাজালে যে নেশন
আমি কি বলেছি মোর
ভায়াটা এই জেসন।
আবার টানলে কোন
পরি রূপি ছবিকে,
এই ছবি কে গো
প্রশ্নটা কবিকে।
এক ছবিকে চিনি
সে মোদের ফাতেমা
সে কেন নিজেকে টানে
লাগে ক্যান আঁতে ঘা।
আসলে মুই ছুড়েছিলাম
অন্ধকারে ঢিল,
বুঝলাম এখন কে খেয়েছে,
কে দিয়েছে কিল!!!
কি করি আজ ভেবে না পাইঃ
হাজার সেলাম তোমা
টেটনার দাদারে;
কি নিখুঁত ঢিলা ছুড়ো
আন্দাজে আঁধারে।
লেগেছে তা ঠিক ঠিক
ক'লে কথা যত্ত;
কি আজব!কি ম্যাজিক!
সব কথা সত্য।
তোমার ঢিলটি খেয়ে
ছবি দিলো কল;
অশ্লীল গালাগালি
দেয় অনর্গল।
ছি ছি ছি ছি তোবা তোবা
খারাপ এত মুখ!!!
রাগে ক্ষোভে ঘেন্নায়
ভেজে মোর চোখ।
কত তর জানে গালি
মনে রেখে গুনিনি;
এরাম অশ্লীল গালি
এ জীবনে শুনিনি।
খনখনে মোটাগলা
কর্কশ কন্ঠি;
টোন শুনে তিতকুটে
হয়ে যায় মনটি।
সেই স্বরে ঝারি মেরে
চায় আরো চান্দা;
প্রতিমাসে তারে নাকি
দিতে হবে বান্ধা।
নাহলে করবে নাকি
রেগুলার ব্লেকমেল;
ইভটিজ মামলায়
ফাঁসিয়ে পাঠাবে জেল!!!
মোরে-তারে নিয়া নাকি
বানিয়েছে ভিডিও;
থানাতেও এডভান্স
করেছে সে জিডিও!!!
কথা শুনে উঠে জ্বর
মুখ মোর ফ্যাকাসে;
ছেরি কয় এক্ষুনি
টেকা পাঠা বিকাশে।
পাঁচহাজার না পাঠালে
ভিডিওটা দিমু নেটে;
ডেমারেজ নিমু পরে
কেস ঠুকে হাই রেটে।
ও বাবারে কাম নাই
ডাইনিরে ঘাটিয়ে;
কলিজায় নেই পানি
দেই টাকা পাঠিয়ে।
টাকা পেয়ে বদনীর
ওমা সেকি ফূর্তি!!
কয় এলা ভালা ভালা
আহ্লাদে ভর্তি।
সোনা জাদু কয়ে ফোনে
দিলো মোরে চুমি;
গা গুলিয়ে আসে মোর
শুরু হলো বমি।
খনখনে টোনে ছেরি
যেই খেলো চুমাটা;
কলিজা আঁতকে উঠে
হৃদে পড়ে বোমাটা।
মনে পড়ে স্মৃতি সব
থু থু থু যা বাজে না;
দেখেছিতো নিজ চোখে
ছবি দাঁত মাজে না।
যা কয়েছি বর্ণনা
তুলনায় কমি;
মনে হলে আজো করি
বমি ঝমঝমি।
টাকা যাক নাই খেদ
ইজ্জতে হামলা;
খোদা তরে কাঁদি রোজ
সম্ভ্রম সামলা।
জান মোর ফানা ফানা
পড়ে ছবি পাল্লায়;
জানিনে কবে যে হায়
উদ্ধারে আল্লায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৬