সময়কাল- ১১ঃ৩০ মিনিটের আশপাশ ;
খাবার প্রায় গলা অবধি হয়ে আছে তাই ছোটবোনের শর্মা'য় আপাতত ভাগ বসাতে পারছি না ।
ফার্স্ট ফুডের প্রতি আমার তীব্র নেশা। আমার ছোটবোন ঠিক আমার বিপরীত।
ছোটবোনের তেমন আগ্রহ নেই! অর্ধেকটা খেয়ে অর্ধেকটা ফ্রিজে রেখে দিয়েছে, সকালে স্কুলে নিয়ে যাবে ।
তখন থেকে আমার লোভার্ত হিংস্র নজর ফ্রিজের দিকে।
চিল শকুন হায়নার মতো একরোখা তীক্ষ্ণ টার্গেট করে রেখেছি!
লোকস্বরাগমের কারণে টার্গেটে হামলা করতে পারছি না।
সিদ্ধান্ত নিয়েছি সকলে ঘুমিয়ে পড়া মাত্র'ই চুপে চাপে সাবাড় করে দেবো।
বলে রাখা ভালো পূর্বে'ই নিজের আস্তো শর্মা আর মায়েরটায় ভাগ বসিয়ে তার শর্মা'র অর্ধেক'টা খেয়ে নিয়েছি।
টার্গেটের আশপাশে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি বাবা'র চোখে লাগে। তিনি ফ্রিজ চেক করে দেখেন সব ঠিক ঠাক আছে।
আমি মুখ লুকিয়ে মুচকে মুচকে হাঁসছি আর ভাবছি একটু পরে'ই তো সাবাড় করে দেবো।
শুয়ে শুয়ে ইউ টিউবে তামিল সিনেমা দেখছি, দেখতে দেখতে কখন যে চোখ লেগে আসলো বুঝতেই পারিনি। গহীন ঘোরে স্বপ্ন দেখি ছোটবোন বড় বড় "হা" করে গোটা শর্মা'টা গিলে খাচ্ছে, তা দেখে ঘুম ভেঙে গেলো।
দৌড়ে ফ্রিজের কাছে গেলাম!
ফ্রিজে শর্মা নেই।
একেবারে মাথায় হাত, এতো জল্পনা কল্পনা পরিকল্পনা সব ভেস্তে গেলো ।
শোকার্ত নয়নে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি বেলা এখন ১০ টা বাজে অর্থাৎ ছোটবোনের টিফিনের সময় শেষ হয়েছে ঘন্টাখানেক আগে সুতরাং নিশ্চিত হয়ে বলা যায় শর্মা এখন স্বর্গে আছে এবং স্বর্গে আছে আমার জল্পনা কল্পনা আর পরিকল্পনাগুলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৪