___ দাদা কি অবস্থা আপ্নের?
___ খুব প্যারায় আছি দাদা!
___ কিসের প্যারা?
___ অফিসের কামে!!
___ দুপুরে খেয়েছেন?
___ হুম খেয়েছি। আপনি?
___ হুম আমিও খেয়েছি, এখন বিড়ি টানতেছি।
___ ওহহ!! দুই ঘন্টা হলো খেয়েছি কিন্তুু এখনো বিড়ি টানিনাই। পরে কথা হবে দাদা, একটা বিড়ি টাইনা আসি!
উপরের কথা গুলো প্রায়ই বন্ধু মহল কিংবা অফিসের কলিক অথবা পরিচিতদের মধ্যে হয়ে থাকে।
আসলে এই অভ্যাস কিংবা নেশায় আমাদের হাজার বারের শপথ থাকলেও কেউ কখনো সহজে ছারতে পারিনা।
নেগেটিভ চিন্তাই আমরা বেশি করি পজেটিভ খুব একটা যুক্তি নেই। কেন জানি আজ মনে হয় অল্পসল্প কিছু নেতিবাচকতা আছে।
একটা প্রশ্ন করি ___
আপনি কি পজিশনে আছেন? আপনার ইনকাম কেমন? আপনি কোন স্থরের মানুষ___?
সোজাসাপটা উত্তর___ মানুষের আচার আচরণ বংশ সামাজিকতা আর জবের লেভেলটা ...
a) আমার অনেক ফ্রেন্ড আছে যারা ব্যানসন খায় কেউ গুডলিফ খায়!
b) আবার কিছু ফ্রেন্ডস আছে যারা নেভি স্টার খায়।
c) আর কিছু ফইন্নী আছে এরা ডারবী, হলিউড কিংবা শেখ ব্রান্ড নিয়া খুব খুশি।
আচ্ছা বলুনতো a টাইপের ফ্রেন্ডদের ইনকাম কেমন? আসলে আমার কাছে এদের উত্তর একটাই এদের ভবিষ্যৎ খুবি উজ্জ্বল! এদের মনমানসিকতাও অনেক উপরের লেভেলের... ভালোরাই সবসময় ভালো জিনিসের প্রতি দুর্বলতা আছে।
b) টাইপেরা খুব অভাবি হয়ে থাকে। এরা মধ্যেবর্তি স্থরের মানুষ ... কোনমতে এরা সামাজিকতা টিকিয়ে রাখে! এদের ইনকাম খুব কম।
c) টাইপের কথা বলতেই ইচ্ছে করছেনা। এদের স্বভাব এতোটাই নিচু লেভেলের যে ভাষা আমার কাছে নেই। এরা অতিরিক্ত কৃপণ! মনমানসিকতাও অনেক নিচু!
c টাইপের লোকেদের কিছু সুন্দর স্বভাব আছে এরা ফাও পাইলে ব্যানসনের বায়না ধরে বসে। ব্যানসন ছারা নাকি চলেই না। কিন্তু বাহিরে লোকদেখানোর জন্য যখন নিজের টাকায় সিগারেট কিনে তখন কিন্তু নেভী অথবা স্টার সিগারেট কিনে খায়। মাইনকা চিপায় পরলে যা হয়।
এবার আরো কিছু কথা বলে বিষয়টা আর একটু সহজ করে দিচ্ছি!
বলুনতো কারা আন্দোলন করে?
____ কারা আবার! ছাত্র, রাজনীতি যাহারা করে তাহারা।
কিন্তু আপনি কখনো শুনেছেন যারা ধুমপান করে তারা কি সিগারেটের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হরতাল অবরোধ করছে।
আমার উমুক ফ্রেন্ড তো বিড়ি টানেনা। কত ভালো নিষ্পাপ ছেলে!
আহারে! বোকা হাদারামাটা জীবন টাই উপভোগ করতে পারলোনা। লাইফ হবে পরিপূর্ণ লাইফে অপরিপূর্ণ রাখতে নেই।
জীবনে ব্যার্থতার জন্য যারা শলাকা টানে আর নিজেকে দুঃখি ভেবে সবার কাছে উপস্থাপন করে এগুলা সব কিছুই হল শলাকা খাওয়ার ধান্দা।
দুই বন্ধু মিলে শেষ বিকেলে কোন নদীর ধারে কিংবা গলির চিপাতে যখন গপ্পো শেয়ারিং করার টাইমে হঠাৎ পকেট থেকে ম্যাচের কাঠি বের করে ঠোঁটে ঝুলিয়ে রাখা শলাকার পাছায় আগুন লাগিয়ে টানতে থাকে তখন কেমন লাগে একবার ভাবুনতো...
যখন দুই বন্ধু মিলে মোতা টানার জন্য কারাকারি করে তখন কেমন লাগে বলতে পারবেন?
অন্তত এই একটা বিষয় যেটাতে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলা যায় এরা সামাজিকতা আর মনমানসিকতা দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলেনা কাউকে দায়ভার করেনা।
সিগারেটের প্যাকেটে কি বিশ্রী ছবিরে বাবা!!! তবুওতো তারা আন্দোলনে নামেনি। হরতাল অবরোধ দেয়নি।
দুনিয়াতে একটা সময় আসবে তখন মানুষ ভুলে যাবে শেয়ার কি? ভাগ করা কি?
কিন্তু যারা ধুমপায়ী তারা কখনোই ভুলবেনা। কারন তারা জানে একটা শলাকা কিভাবে কত ভাগে ভাগ করে খাওয়া যায়।
উপরের দাদার ল্যাঞ্চ করার দুই ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু এখনো কাজের চাপে সিগারেট খেতে পারেনি। কিন্তু কাজ শেষে একটা জয়ের প্রশান্তি নিয়ে যখন বলে দাদা জাইগা একটা বিড়ি টাইনা আসি। তখন ভাবতে কেমন লাগে
বাহহ!!! কি দারুন লাইফস্টাইল রে বাবা!!!