বয়স হয়ে গেলো, বসন্ত একের পর টা টা দিচ্ছে, অথচ অনেক এখন আবিয়াইত্যা। আমি পোলাপাইনদের কথা বলছি। যারা বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে বসে আছে, বিয়ের পর কি কি করবে তার উষ্ণ পরিকল্পনাও করে রেখেছে। গল্প-উপন্যাস-মুভি-নাটক পড়ে/দেখে বা বন্ধুদের কথা শুনে কল্পনার ফানুস উড়াচ্ছে, অথচ ফানুস কিন্তু হঠাৎই ফুসস্ হয়ে যাবে, যদি কল্পনাটা বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা না হয়।যেহেতু অনেকেরই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নাই দৈহিক সম্পর্ক বা বিবাহ পরিবর্তী প্রাথমিক কার্যকলাপের তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পোলাপাইনরা নানা রকম ভুল ধারনা নিয়ে বসে থাকে। তার সাথে পর্নোছবি-বই (চটি) আর অনেকের বাড়িয়ে বলা অভিজ্ঞতায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়। কেউবা একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে চিন্তা ভেবে বসে থাকে, আর বিয়ের পর তার এদিক ওদিক হলে টেনশনে পরে। কেউ বা হীনমন্যতায় ভুগে বিয়ের দিকেই যেতে চায় না। দ্বিতীয় শ্রেনীর অবস্থা আরো কাহিল করে রাস্তায় বিলানো মঘা-ইউনানীর লিফলেটগুলো।এটা একটা ইন্ট্রো। বিস্তারিত পরের পর্ব গুলোতে আসবে। বিষয় গুলো আসবে বিয়ে ঠিক হবার পর কি কি করনীয় তার ভিত্তিতে।আবিয়াইত্যাদের জন্য বিবাহিত ভাইদের একটা উপহার সরুপ। তাই বিবাহিত ভাইদের মন খুলে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শমুলক কমেন্টের আহবান জানানো হচ্ছে। এদের ভয় না দেখিয়ে কিভাবে বিয়ের জন্য ভালোভাবে তৈরি করে দেয়া যায় সেই প্রচেষ্টা থাকা উচিত।
বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আংটি পড়ানো শেষ। এবার বিয়ের তোরজোর চলছে। গায়ে হলুদ-বিয়ে আর বৌভাতের ডেট ঠিক করা হবে, এরপর মোহরানা, কমিন্যুটি সেন্টার, ক’জন অতিথী, গেটে কত দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ওসব মুলতঃ অভিভাবকরাই করবেন। পাত্র হিসেবে আপনার কাজ কি?
করনীয় ১:
মোবাইল নম্বর এতদিনে অবশ্যই আদান-প্রদান হয়েছে! এটা খুবই জরুরী। বিয়ের আগে অনেক কিছুই ফিক্স করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে। মানসিক-শারীরিক অনেক বিষয় আলোচনায় আসবে যা বিয়ে পরবর্তী জীবনের জন্য খুব প্রয়োজনীয়।অপশনালঃ বিয়ের ডেট ঠিক করা নিয়ে একটু বলি। অনেকেই বিয়ের রাতে আবিস্কার করে যে তার নববধুর পিরিয়ড চলছে। সো এতদিনের “প্রথম রাইতে বিলাই মারা”র প্ল্যান কুপোকাত। এটা যদিও খুব জরুরি কোন বিষয় না, পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে সর্বোচ্চ ৩-৪ দিনের মধ্যে। তারপর প্ল্যানমাফিক…তবে মেয়ে বা আত্মীয়াদের মধ্যে কারও সাথে যদি ফ্রি থাকেন তবে একটা ট্রাই করা যেতে পারে। যেমনঃ আপনার ভাবী আছে, তাকে বলুন যেনো বিয়ের সময় মেয়ের কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে। ভাবীরা এই লাইনে “আকেলমন্দ”, তাই ইশারা বুঝে ঠিকই হবুবধুকে পরবর্তি পিরিয়ডের ডেট জিজ্ঞেস করে সেভাবে বিয়ের ডেট ফিক্সে ভুমিকা রাখতে পারেন। তারপরেও অনেক সময় বিয়ের টেনশনে অনেক সময় মেয়েদের অসময়ে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়। তাই আবারও বলছি এটা বড় কোন ইস্যু না।
করনীয় ২:
হবু বধুর সাথে ফ্রী হয়ে নিন। টেলিফোনে আলাপ যেহেতু শুরু হয়ে গেছে। এইবার তার সাথে শারীরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু করুন। তবে রয়ে-সয়ে। সরাসরি প্রথম ১/২ দিনেই শুরু করলে কিন্তু বিপদ। কিভাবে শুরু করবেন নিজেই চিন্তা করুন। মনে রাখবেন এই আধুনিক যুগে মেয়েরা কিন্তু সবই জানে। জানার সোর্স আপনার মতই। এটাকে নেগেটিভলি দেখার কিছু নাই। বরং পজেটিভলি দেখুন, ভাবুন তার এই জানা আপনার কাজকে সহজ করে দেবে। তবে মেয়েরা জানলেও প্রকাশ করবে না, কারন তার মনে ভয় কাজ করবে যে আপনি তাকে ভুল বুঝতে পারেন। তাই প্রথম স্টেপ আপনি নিন। জানা বিষয় আলাপ শুরু করুন, তবে তত্ত্বীয় বিষয় গুলো।
করনীয় ৩:
শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকুন ও শক্তিশালী হোন। না, কোন বটিকা বা সালসা খাওয়ার কথা বলবো না। স্রেফ মধু খান ডেইলি এক চামচ করে। দুধে মিশিয়ে খেলে আরো ভালো। আর স্বাভাবিক খাবারতো খাবেনই। ভুড়িটাকে বেশি বাড়তে দিয়েন না। বাসর রাতে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটা খারাপ হয়ে যাবে তাইলে। আর প্রচুর পানি খান। চেহারা ফ্রেশ থাকবে। পরর্বতী পর্বে আলাপ হবে সরাসরি বাসর রাতের প্রস্তুতি নিয়ে। কি কি কিনতে হবে আর সাথে রাখতে হবে।এই পোষ্টের বিষয়ে কারও কোন প্রশ্ন থাকলে করার আহবান জানাচ্ছি। এবং এই লাইনের গাযীদের মতামত আশা করছি।
করনীয় ৪:
লুব্রিকেন্ট বা জেল কিনে রাখুন। ভালো কোন ফার্মেসী থেকে লুব্রিকেন্ট কিনে রাখুন। বন্ধুরাও অনেক সময় গিফট দেয়, কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে বিপদ। এই লুব্রিকেন্ট বলতে গাড়ীর লুব্রিকেন্ট বুঝানো হয় নি। এটা সার্জিক্যাল জেল। ভালো মানের একটা লুব্রিকেন্টের নাম বলি। জনসন এন্ড জনসনের “KY Gelly”। বড় ফার্মসীগুলোতে পাবেন, KY Gelly বল্লেই দিবে। আর এক টিউব দিয়ে দশ-বারোজন বন্ধুর সংসার শুরু হয়ে যাবে। কারন একজনের বেশি লাগে না। এই সার্জিকেল জেল না পেয়ে অনেকে নারিকেল তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করে। এদুটোই কিন্তু রাফ, ইভেন কনডম ফেটে যেতে পারে। গ্লিসারিন কখনও র’ অবস্থায় ইউজ করবেন না। পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তবে গ্লিসারিনের ব্যবহার সাধারনত নিরুৎসাহিত করা হয়।কেন ও কি ভাবে ব্যবহার করবেন:আমরা সবাই কম বেশি জানি যে অনাঘ্রাতা মেয়েদের যৌনাংগের প্রবেশপথটা খুব সরু থাকে। অর্থ্যাৎ চাইলেই সহজে সেখানে আপনার অংগ প্রবেশ করবে না। এর সাথে আছে হাইমেন বা বা সতিচ্ছেদ বা পর্দার প্রতিরোধ। তাই প্রথমদিকে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়ে অনেক হতাশ হয়ে পড়ে। এটা নিয়ে টেনশন না করে আপনি প্রথমে আপনার এসাইনমেন্ট ঠিক করুন “প্রবেশ করাতে হবে”।এই সরু পথে জোর করেই প্রবেশ করতে হবে, জোর করা মানেই শক্তি প্রয়োগ, এবং স্বাভাবিক ভাবেই এতে আপনার সংগীনি ব্যাথা পাবে। তাই শক্তি প্রয়োগটা গোয়াড়ের মত না করে ভালোবাসার সাথে করুন। দুইস্থানেই জেল লাগিয়ে এবার চেষ্টা করুন, একদিনে না হলে দুইদিনে হবে। আরো এক/দুইদিন বেশি লাগলেও পরিশ্রম কমবে, দুঃশ্চিন্তা কমবে, ব্যাথা কম পাবে, শুরু করা যাবে তাড়াতাড়ি।কিছু ভুল ধারনাঃপ্রথমতঃ অনেকে প্রথম প্রবেশের সময় নববধুর কুমারিত্বের পরীক্ষা নেয়ার ইচ্ছাও মনে মনে পোষন করে। ভুলেও একাজ করবেন না। একটা প্রচলিত ধারনা আছে কুমারী বা অনাঘ্রাতা মেয়ে মানেই সতিচ্ছেদ বা হাইমেন থাকবে, তাই স্বামীই সেটা বিদীর্ন করে বউনি করবে। এটা এই যুগে হাস্যকর। সাইকেল চড়লে-দৌড়াদৌড়ি-খেলাধুলা করলে হাইমেন ফেটে যাবেই, তাই সেটা ন্যাচারাল, স্বামীকে দায়িত্ব নিতে হবে না। কেউ হাইমেনের উপস্থিতি না পেলে আবার নববধু সম্বন্ধে খারাপ ধারনা করে বসে থাকবেন না।দ্বিতীয়তঃ আর একটা ভুল ধারনা হলো রক্তপাত না হলে মেয়ে কুমারী না। এটা বিশ্বাস করা মুর্খতার সামিল। যদি হাইমেন ফেটে গিয়ে থাকে আগেই, বা আপনি যদি লুব্রিকেন্ট ইউজ করেন তবে অনেক সময়ই রক্তপাত নাও হতে পারে। তাই এসব কোন মানদন্ড না।তৃতীয়তঃ বিভিন্ন পর্নো কাহিনী পড়ে অনেকের ধারনা হয় যে সেক্স করার সময় যোনীপথ পিচ্ছিল কামরসে ভেজা থাকবে, তাই উঠো..যাতো, আলাদা লুব্রিকেন্ট ইউজের প্রয়োজন নেই। আসলে ব্যাপারটা তা না। এই ফ্লুইডটা বের হবে উত্তেজিত হলেই। আর নতুন নতুন বাবা-মাকে ছেড়ে আসা ভয়-শংকা-লজ্জায় থাকা একটা মেয়ের পক্ষে উত্তেজিত হওয়া এত সহজ না। ইভেন অনেকে তো প্রথম প্রথম কোন অনুভুতিই পায় না। তাই ফ্লুইড না বের হলে ভয়ের কিছু নেই, সময় নিন কয়েকদিন, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।চতুর্থতঃ স্তনের স্থিতিস্থাপকতা ও কোমলতা দেখেও অনেকে টাচড-আনটাচড কন্ডিশন বের করতে চান। শক্ত-টানটান হলে নাকি আনটাচড। এটা সবচে বড় বোকামী। আমাদের মেয়েরা এমনিতেই শারীরিকভাবে নরম প্রকৃতির। তাই স্তনও নরম হতে পারে। মুভির নায়িকার টান-টান বুক বউয়ের কাছে আশা করবেন না, কারন বুক টানটান রাখতে শোবিজের লোকেরা অনেক টাকা খরচ করে, কসরত করেপঞ্চমতঃ টিনএজ থেকেই হস্ত-মৈথুনে অভ্যস্ত ছেলেরা অনেক সময় বিয়ের করতে ভয় পায়। মঘা-ইউনানীর লিফলেট পড়ে আবিস্কার করে তার “আগা মোটা গোড়া চিকন”,তাই তাকে দিয়ে স্ত্রীকে সুখ দেয়া সম্ভব হবে না। এটা নির্মম রসিকতা। এসব নিয়ে টেনশন না করে লাফ দিয়ে নেমে যান বিয়ে করতে। এত মানুষ দেখেন আশে পাশে সবাই কি ধোয়া-তুলসি পাতা? সবাই অনাঘ্রাতা বউই চাই আমরা। আর নিজে যদি অভিজ্ঞতাহীন হই, তবে একই আশা করবো নববধুর কাছ থেকে। সর্বোপরি কারও যদি সন্দেহপ্রবন মন থাকে, তবে সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে নেয়া উচিত আগেই। এনগেজমেন্ট বা বিয়ের আগেই মেয়ে সম্বন্ধে সব খোজ-খবর নিয়ে নিন। বিয়ের পর আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। মনে রাখবেন, সন্দেহের পোকা একবার মনে ঢুকলে সেখানেই বাসা বেধে বসে যাবে। তাই আগে থেকেই সব ক্লিয়ার হোন। বিয়ের পর নো টেনশন আগের ব্যাপার নিয়ে। ভালবাসতে শুরু করুন যেভাবে পেয়েছেন সে অবস্থা থেকেই।
করনীয় ৫:
আত্মবিশ্বাসী হোন, অযথা ডাক্তারের কাছে দৌড়াবেন না। টিন-এজে স্বমেহনের কারনে অনেকেই অপরাধবোধে ভোগে, মনে শংকা তৈরি হয় শারীরিক ভালোবাসায় পারংগমতা দেখাতে পারবে কিনা। অনেকে দৌড়ায় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে না তা নয়। তবে যদি নিজের দৈহিক সুস্থতা থাকে আর পুরুষাংগের প্রাত্যহিক উত্থান (সকালে, যাকে “মর্নিং গ্লোরী” বলা হয়।) হয় তবে ভয়ের কিছু নেই। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার রিস্ক হচ্ছে অনেকে এই সুযোগে টু-পাইস কামানোর ধান্ধায় আপনার উল্টো ক্ষতি করে দিতে পারে। অনেকে আবার মঘা-ইউনানীর মত ফ্রডের কাছে যান, ওখানে গেলে নাকি লাইফ হেল করে দেয়।তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় আমলে আনা হয় না, সেটা হলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন। ইউরিন ইনফেকশন হয় কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারনে, এবং পুরুষরা এটাতে আক্রান্ত হয় টয়লেট ব্যবহারের মাধ্যমে। পুরুষদের সবাইকে কম-বেশি পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। ইউনি’র হল-অফিসের টয়লেটকেও পাবলিক টয়লেট হিসেবে ট্রিট করুন এখানে। এসব টয়লেট নানা ধরনের মানুষ ব্যবহার করে। এবং অনেক টয়লেটেই পানির সুব্যবস্থা থাকে না। এদের মধ্যে কারও যদি ইনফেকশন থেকে থাকে তবে সে টয়লেট ব্যবহারের পর ভালো ভাবে পানি না দিয়ে গেলে, বা নতুন ব্যবহারকারী পানি দিয়ে ফ্লাশ না করে ব্যবহার করলে প্যানে থাকা ব্যাক্টেরিয়া আক্রমন করে। এভবেই পানি ইউজ না করলে ইনফেকশন হয়। এটা একটা “যৌনবাহিত রোড (STD)”, এবং স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীরা এটা পেয়ে থাকে। তাই যদি আপনি প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা পেইন অনুভব করেন তবে বিয়ের আগেই একবার টেষ্ট করুন, থাকলে ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী আক্রান্ত হলে প্রেগন্যান্সির সময় এটা এক্সট্রা টেনশন এড করবে। হাই এন্টিবায়োটিক খেতে হবে তখন।
করনীয় ৬:
যৌনমিলনের সেফ পিরিয়ডঃ নিজে জানুন, হবু বধুকে জানান। সেফ পিরিয়ড মানে যে সময় কোন প্রতিরোধক (কনডম বা এ জাতীয়) ছাড়াই দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন, এক্সিডেন্টালী প্রেগন্যান্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। এটা অনেকেই জানেন, আবার একটু রিভাইস করে নেই।মেয়েদের মেন্স বা পিরিয়ডের সাথে সেফ পিরিয়ডের সম্পর্ক। ধরলাম কোন মেয়ের পিরিয়ড হয় ৩০ দিন পর পর (কম বেশিও হতে পারে) এবং এই মাসে তার পিরিয়ড শুরু হয়েছিলো ১ তারিখে। তার আগের মাসেও ১ তারিখে। এটাকে এক সাইকেল বলা হয়। নরম্যালি ওভুলেশন হয় সাইকেলের মাঝামাঝি সময়ে, ধরলাম ১৪ দিনে। তাহলে ১৪ তারিখে ওভুলেশন হচ্চে। এই ওভুলেশনের হওয়ার আগের এক সপ্তাহ ও পরের এক সপ্তাহ ফার্টাইল বা উর্বর সময়। এসময়ে প্রোটেকশন না নিলে প্রেগন্যান্ট হবেই। তাহলে মাসের ৭ তারিখ থেকে ২১ তারিখ প্রটেকশন ছাড়া এগোনো যাবে না। বাকী সময় সেফ, থিওরিটিক্যালী কোন প্রটেকশনের দরকার নেই।এটা ন্যাচারাল পদ্ধতি, তবে সমস্যা হলো পিরিয়ড এর ডেট বিয়ের পর বদল হতে দেখা যায়। এবং অনেকের ক্ষেত্রে সাইকেলটাও স্ট্যাবল থাকে না। তাই সাইকেল স্ট্যাবল না হওয়া পর্যন্ত প্রটেকশন নেয়াই উচিত। যদি দ্রুত বাচ্চা নেয়ার প্ল্যান না থাকে তাহলে প্রটেকশন নিয়েই শুরু করতে হবে। নো হান্কি পান্কি। তবে কখনই প্রথম বাচ্চা হবার আগে আপনার স্ত্রীকে বার্থকন্ট্রোল পিল খাওয়াবেননা। এটা স্বাভাবিক ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি করে থাকে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
করনীয় ৭:
জানুন প্রি-ম্যাচ্যর ইজাকুলেশন কি? প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন মানে খুব দ্রুত বা সময়ের আগেই বীর্যপাত। সময়ের আগে মানে পার্টনারের অর্গাজমের আগেই আর দ্রুত সময় মানে ১.৫ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে। অধিকাংশ পুরুষই (৯০-৯৫%) জীবনের প্রথম যৌনাভিজ্ঞতায় প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনের সম্মুখীন হয়। প্রথম দিকে এটা নরমাল, এবং সময়ের সাথে সাথে এটা ঠিক হয়ে যায়। কেন হয়?প্রথমেই দুটো কারন আসবে, অনভিজ্ঞতা ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। অনভিজ্ঞ একজন পুরুষ তার প্রথম সেক্সের সময় প্রচন্ড উত্তেজিত থাকে। উত্তেজিত অবস্থায় নারী সংগীর সাথে শারীরিক খেলায় মেতে উঠার সময় থাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে, অল্প সময়ে বেশি পথ বিচরনের চেষ্টায় নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না। পাশাপাশি প্রবেশ করানোর পর যোনীর ভেতরের উচ্চ উষ্ণতায় দিশেহারা হয়ে যায় অনেক সময়ই। ফলাফল খুব অল্প সময়েই নারী সংগীর অরগাজম হবার আগেই বীর্যপাত।দ্বিতীয় কারন হিসেবে আসবে “টেনশন”। নতুন বিয়ে বা সম্পর্কে নিজেকে শারীরিক ভাবে সামর্থবান হিসেবে তুলে ধরতে চাওয়ার মানসিক চাপ থেকে সৃষ্টি হয় টেনশন, ফলে নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না। তৃতীয় কারন হলো “সংগীনির তৈরি না হওয়া”। প্রথম দিকে শান্ত ও ধীর-স্থির ভাবে সংগীনিকে উত্তেজিত করার কাজটা অধিকাংশ পুরুষই করে না। ধরে নেয় তার নিজের মতই তার সংগীনিও উত্তেজিত হবে। ঘটনা উল্টা। মেয়েদের উত্তেজিত হতে পুরুষদের চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাই সে তৈরি হবার আগেই পুরুষ সংগী উত্তেজনার চরমে পৌছে যায়। ফলাফল অকাল বীর্যপাত।সমাধানঃঅনভিজ্ঞতার সমস্যা সমাধানের দরকার নেই, এই খেলায় অভিজ্ঞতা কাম্য নয়। বাকি থাকলো অধিক উত্তেজনা ও টেনশন। নতুন বিয়ে, প্রথমবার কাছে পাওয়া, উত্তেজনা তো থাকবেই। এটা আপনার উপর এখন,অধিকাংশ পুরুষই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, যদি আপনি পারেন তাহলে “স্যালুট”। না পারলে কোন সমস্যা নেই। আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছেন এটা পেপারে বা টিভিতেও আসবে না। তাই যা স্বাভাবিক তাই হোক।টেনশন কিভাবে দুর করবেন? প্রথমে ভাবুন আপনাকে কি আপনার সংগীনির সামনে নিজেকে বিশাল কিছু-প্রচন্ড সামর্থবান প্রমান করতে হবেই? নাকি স্বাভাবিক একজন মানুষ হিসেবে? যাই করুন না কেন আপনার স্ত্রী আপনারই থাকবে। সুপারম্যানের প্রতি মুগ্ধতা থাকে, ভালোবাসা থাকেনা, আপনি সুপারম্যান হতে চাচ্ছেন কিনা নিজেই ভাবুন।আর “সংগীনির তৈরি না হওয়ার” দোষটা পুরোপুরি পুরুষের উপর বর্তায় না। পুরুষকে ধৈর্য্য ধরে স্ত্রীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে হবে, শরীরের স্পর্শকাতর অংশগুলোতে কোমল ভাবে স্পর্শ করে বা ঘষে, কিস করে। ব্যাকনেক, কানের আশে-পাশে, ঠোট-জিহবা, স্তন-নিপল, তলপেট-নাভী, যৌনাংগ-উরু, হাত-পায়ের আংগুল ইত্যাদি স্পর্শকাতর স্থান বলে পরিচিত। স্ত্রীর নিজেরও দায়িত্ব থাকে এ চেষ্টায় সাড়া দেয়ার। এক হাতে তালি বাজে না।
দীর্ঘায়িত করতে চাইলে সমাধানঃ
১। এর কোন স্বীকৃত ঔষধ নেই। তাই বাজারে প্রচলিত ঔষধ না খাওয়াই ভালো।
২। একটা কার্যকর এক্সারসাইজ আছে। এখন থেকেই নিজের বীর্যপাত ঠেকিয়ে রাখার প্র্যাক্টিস করতে পারেন। আমরা যে ভাবে প্রস্রাব আটকাই, সেভাবে ডেইলি বিভিন্ন সময় একলাগা ১০ বার প্রস্রাব আটকানোর কসরত করুন। যখন সময় পাবেন। প্রস্রাব না ধরলেও করুন।
৩। যখনই চরম মুহুর্ত আসবে মনে হয়, তার আগেই থেমে গিয়ে পুরুষাংগ বের করে নিন, প্রস্রাব আটকানোর মত করে বীর্যপাত আটকান।
৪। বীর্যপাত আটকানোর সাথে সাথে দীর্ঘায়িত করার জন্য অন্য কিছু চিন্তা করতে পারেন, এতে উত্তেজনা ডাইভার্ট হবে কিছুক্ষনের জন্য।
৫। আর একটা পদ্ধতি হলো আগেই একবার বীর্যপাত ঘটানো। এটা নিজে করে নিতে পারেন, অথবা সংগীনি যদি হেল্পফুল হয় তবে সেই হাত দিয়ে সাহায্য করবে। তবে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় না। অনেকেই আগাম দুর্বল হতে চায় না।
৬। কনডমের ব্যবহার কিছুটা হেল্প করে সংবেদনশীলতা কমাতে, তাই উত্তেজনাও কিছুটা কমানো যায়।আর কোনো পদ্ধতি জানা থাকলে বলতে পারেন।
করনীয় ৭:
কনডম সম্বন্ধে জানুন। বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের কনডম প্রচলিত আছে। সম্ভবত দেশে সবচে বেশি চলে সেনসেশন। এছাড়াও ইউ&মি, প্যান্থার, ল্যাটেক্স, টাইটানিক, ডুরেক্স, রাজাও ব্যবহৃত হয়। সেনসেশন সহ সব ব্র্যান্ডেরই কম বেশি নানা টাইপ/ফিচারড কনডম বাজারে পাওয়া যায়। যেমনঃ ডটেড, এক্সট্রা রিবড, সেন্টেড, প্লেইন, থিন, এক্সট্রা থিন, কন্ট্যুরড, লংলাস্টিং, ডটেড প্লাস রিবড, এক্সট্রা লং ইত্যাদি। এগুলো একেকটা একেক সময়ে/পর্যায়ে কার্যকর। সব সবার জন্য না, সব সময়ের জন্যও না।এক নতুন ব্যবহকারীর ক্ষেত্রে প্লেন অথবা ডটেড কনডম শুরু করার জন্য আদর্শ। অর্থ্যাৎ জাস্ট প্রটেকশনের জন্য। এক্সট্রা ফিচারড কনডম গুলো শুরুতে ব্যবহার না করাই ভালো, এতে প্রথমেই এক্সট্রা ফিচারডে অভ্যাস হয়ে গেলে কনডম ছাড়া বা নরমালী এত ভালো লাগবে না। এই কনডম গুলো সময়ের সাথে সাথে যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।কিভাবে কনডম ব্যবহার করবেনঃএটা খুব কঠিন কিছু না। কনডমের প্যাকেটে লেখা থাকে ইন্সট্রাকশন। ফলো করলেই হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ভেতরে কোন বাতাস না থাকে, তাই কনডমের টিপটা চেপে ধরে কনডম পড়তে হয়। বাতাস থাকলে সেক্সের সময় কনডম ফেটে যেতে পারে, তাতে প্রটেকশনের কাজ আর হলো না।এখানে পাবেন কিভাবে কনডম পড়তে হবে।
করনীয় ৮:
রোমান্টিক হউন, চিন্তা-চেতনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। বিয়েটা শুধু সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে শারীরিক মিলনের অনুমোদন না, মনের মিলনের অনুমোদনও। ভালোবাসার এমন সহজ সুযোগ আর কোন সিস্টেমে নেই। তাই ভালোবাসুন, সুযোগটা কাজে লাগান। শরীরকে শুধু প্রাধান্য না দিয়ে মনের কথাও ভাবুন। একটা মানুষ সব ছেড়ে আপনার কাছে আসছে, এটা অনুভব করার চেষ্টা করুন, দেখবেন মনটা তার জন্য এমনিতেও নরম হয়ে আসছে। রোমান্টিক হোন, কবিতা পড়ুন, দু’একটা তার সামনে কোট করুন, রোমান্টিক গান শুনুন। গুনগুন করে গাইতে চেষ্টা করুন। বিয়ের পরে বাসর ঘরে প্রবেশের সময় যেনো সানাই বাজে সেই ব্যবস্থা করুন। রুমে ফুল রাখুন, হালকা সুগন্ধী ব্যবহার করুন, ডিমলাইট ব্যবহার করুন রাতে। কেয়ার করুন প্রথম দিন থেকেই, তাই বলে দৃষ্টিকটু ভাবে পিছু পিছু ঘুরে বেড়িয়ে তাকে সবার সামনে অস্বস্তিতে ফেলবেন না। ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করুন। একলা থাকার অনুভুতিটা প্রথম কয়েকদিন যেনো না পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বাইরে যাচ্ছেন, সে তৈরি হলো, বলে দিন “খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে”। ন্যাকামি না করেই বলে দিন তার সৌন্দর্যে আপনার মুগ্ধতার কথা, প্রকাশ করুন ভালোবাসার কথা, তবে লাউড স্পিকারে না, একান্ত ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে। আর বাইরে যাওয়ার ৩-৫ ঘন্টা আগে জানিয়ে দিন কখন বেরোতে চান, নিজে তাড়া দিন যেনো তৈরি হয়। না হলে শাড়ি-গহনা চুজ করা-সাজগোজ করাতেই রাত হয়ে যাবে।শারীরিক মিলনের শুরুতেও ভালাবাসার প্রকাশ রাখুন, রোমান্টিকতা আগে, পড়ে পেরেক মারার কাজ।বাসর রাতে রোমান্টিক আলাপ দিয়েই শুরু করুন, এরপর ভবিষ্যত স্বপ্ন আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা, পারিবারিক বিভিন্ন রীতি-নীতির কথা স্বাভাবিক টোনে বলে যান। জোর করার কিছু নেই, শুধু জানিয়ে দিন এসব দরকারী ব্যাপার। মন ভালো হলে সংসারের খারাপ চাইবেনা সে।হানিমুনের জন্য এক্সট্রা কিছু টাকা আগেই আলাদা করে রাখুন। বিয়ের ডামাডোলে সব টাকাই খরচ হয়ে যায়, তাই সাবধান।খুনসুটি করুন, মজা করুন, নরমাল ও ১৮+ কৌতুক গুলো বলার জন্য একজন রেডিমেড শ্রোতা পেয়ে গেছেন, কাজে লাগান। তবে বোকার মত নিজে অতীতে কি করেছেন, আপনি কত বাহাদুর তা একের পর এক না বলে গিয়ে তাকেও বলতে দিন। তার মজার কথা গুলো, বাবা-মা-ভাই-বোন-বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে অভিজ্ঞতা গুলো বলার সুযোগ দিন। আপনি নিশ্চিত জেনে যাবেন তার পছন্দ-অপছন্দ-ভালো লাগা-দুর্বলতা। দুজন দুজনকে আবিস্কার করুন। জীবন আপনাদেরই, ভালোভাবে আপনাদেরই শুরু করতে হবে। তাকে বিশ্বাস করুন ১০০%। চিন্তা ভাবনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। এটা আনন্দময় বিবাহিত জীবনের মুলমন্ত্র। বিবাহিত জীবনে অনেক সময়ই একঘেয়েমী চলে আসে। মন ও শরীর দুই ক্ষেত্রেই। বৈচিত্র্যতা আনুন দুই ক্ষেত্রেই। ঘুরতে যান, মুভি দেখুন। সেক্সের জন্য নানা রকম আসন ট্রাই করুন, নানা ধরনের কনডম ট্রাই করুন। অনেক সময় ভালো মানের পর্নো ছবিও যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনতে সাহায্য করে।
করনীয় ৯:
এন্টাসিড/ইমোটিল/ফ্ল্যাটামিল/ইনো সল্ট কিনে রাখুন। বিয়ে মানেই খাওয়া দাওয়া, জোর করেই খাওয়াবে। তেল-মসলার রকমারী। পেট কিন্তু বিদ্রোহ করে বসতে পারে। বদহজম কমন একটা ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে ইনো সল্ট বা ফ্ল্যাটামিল খুব কাজে দেয়। মনে রাখবেন, পেটে শান্তি না থাকলে সেক্স করতে ইচ্ছেও করবে না। এসিডিটির প্রব্লেম মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, ব্যবস্থা নিন।
করনীয় ১০:
মিষ্টি-ফল-দুধ-ডিম খান বেশি করে। সেক্সের পরেই মিষ্টি-মধু-দুধ-ডিম বা বিভিন্ন ধরনের ফল খান। প্রথম দিকে ক্লান্তিটা বেশি আসবে, তাই এসব শক্তিদায়ক খাবার সাথে রাখুন। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে এত কিছু লাগবে না। বিয়ের আগের কয়েকদিন অযথা রাত না জেগে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অন্তত দিনে ৬ ঘন্টা যেনো পুরন হয়। নতুন জীবন সুস্থ-সবল ভাবে শুরু করুন। এর বাইরেও আর যদি আর কিছু জানার থাকে তবে প্রশ্ন করুন।
আমার পাচাল শেষ। আপনেগ কোন আইডিয়া থাকলে জানাবেন।
যৌন মিলনের চারটে গোপণ সূত্র
মার্চ ৯, ২০১০ সেক্স ২২,৫০১ বার পঠিত ৩৪৭টি মন্তব্য
আপনার পার্টনারের সঙ্গে যৌন মিলনকে মধুর করতে হলে আপনাকে চারটে নিয়ম মেনে চলতে হবে৷ আপনি যদি এই চারটে নিয়মকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মেনে পার্টনারের সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হন তাহলে আপনি প্রকৃত অর্থে সহবাসের সুখ লাভ করবেন৷
‘দ্য ফোর সিক্রেটস অফ আমাজিং সেক্স’ এই গ্রন্থে লেখক জর্জিয়া ফস্টার এবং বেভারলি এনি ফস্টার চারটে নিয়মের কথা বলেছেন৷ তাদের মতে যৌন মিলনের আগে শরীরের তুলনায় মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়াটা জরুরি৷ মানসিক ভাবে আপনি যদি যৌন মিলনের জন্য তৈরি থাকেন তাহলেই আপনি এর চরম সুখ লাভ করতে পারবেন৷ যৌন মিলনের জন্য চারটে গোপণ তথ্যের প্রথমটা হল :
সিডাকশান: বেশীরভাগ মানুষই মনে করে যৌন মিলনের আগে নিজেদের যৌন উত্তেজনা বাড়াতে হবে৷ না সেটা একেবারেই ভুল ধারনা৷ আগে মনে প্রাণে যৌন চেতনা জাগান৷ যৌন মিলনের আগে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন৷ আপনি কখনই ভাববেন না আপনার পার্টনারের যৌন উত্তেজনা নিমেষেই বেড়ে যাবে৷ মানসিক ভাবে অনুভব করার পরেই এটা বাড়ানো সম্ভব৷
সেনসেশান: যৌন মিলনের ক্ষেত্রে সিক্স সেনস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়৷ সেক্ষেত্রে আপনি এবং আপনার পার্টনার উভয়েরই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করতে হবে৷ কারণ যৌন মিলনের সময়ে প্রচুর এনার্জীর প্রয়োজন জয়৷ এনার্জী লাভের জন্য ষষ্ট ইন্দ্রিয়কে জাগানো জরুরি৷
সারেন্ডার: তৃতীয় চাবিকাঠিটা হল নিরাপত্তা৷ যৌন মিলনের সময় আপনি যদি নিশ্চিন্তে আপনার পার্টনারের কাছে নিজেকে সপে দিতে পারেন তাহলেই আপনার যৌন মিলন সফল হবে৷ এর জন্য পার্টনারের কাছে আপনি যে নিরাপদ রয়েছে সেই মানসিক ভাবনাটা থাকা জরুরি৷
রিফ্লেকশান: আপনি যদি প্রথম তিনটে নিয়্ম ভ্রুনাক্ষরে পালন করে তাহলে আপনি আপনার অভিজ্ঞতাতেই এর প্রতিবিম্বটা খুঁজে পাবেন৷ পুণরায় যৌন মিলনের আগ্রহ আপনার মনে জাগবে৷
যৌণতা বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
লিখেছেন ব্লগার “রকিবুল আলম“।