
গত সপ্তাহে দেখা হল।রীতিমত মুগ্ধ হলাম।আমার কাছে খুবই জমজমাট কাহিনীর মুভি মনে হল।ছবিটার কাহিনীর কেন্দ্রে আছে একজন ব্যাংকার (টিম রবিনস)যিনি স্ত্রী ও তার প্রেমিক কে খুন করে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত।ফলে তার আগমন ঘটে Shaw shank কারাগারে।ছবিটার অন্যতম আকর্ষণ হল সংলাপ।এই ছবিটাতে কারাগারে পরিচয় হয় রেডের সাথে(মর্গান ফ্রীম্যান)।রেড এবং ব্যাং কর্মকর্তা ডুফ্রেইএর সংলাপ ছবিটাকে প্রাণবন্ত রেখেছে।যেমন ছবির প্রথম দিকে রেডের কাছে নিজেকে ডুফ্রেই নির্দোষ দাবি করলে রেডের সংলাপ "Everybody is innocent here".ছবির শেষে ডুফ্রই পালিয়ে যায় কারাগার থেকে।তার একটি কথা কানে লেগে আছে:
"Hope is a good thing, maybe the best of things, and no good thing ever dies." অনেকেরই এই ছবিটা দেখা আছে । যারা দেখেননি দেখে ফেলুন...।
২।12 Angry men:

সাদা কালো এক অসাধারন ছবি।ছবিটার মূল আকর্ষণ মনে হল: অভিনয় আর মাত্র ১ সেটেই পুরা ছবিটার কাজ শেষ করা।কাহিনীটাও ইন্টারেস্টিং।আদালতে এক তরুণকে আপাতত সাক্ষপ্রমাণে তার পিতার খুনী হিসেবে মনে করা হয়।এখন ১২ জন জুরীকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসতে হবে: "অপরাধী" বা "অপরাধী না"।প্রথমে ১১ জনই তাকে "অপরাধী" হিসেবে মেনে নেয়। শুধু ১ জন তাকে "অপরাধী না" বলে।চলতে থাকে বিতর্ক । বেরিয়ে আসে অনেক জুরীর ব্যাক্তি জীবনের নানা পাওয়া না পাওয়ার হিসাব।একজন বৃদ্ধ সবসময় বস্তির ছেলেদের নামে যাতা বলতে থাকে।এটা বিক্ষুব্ধ করে আরেক জুরীকে।আরেক জুরীর ছেলে বখে গেছেল।তাই তার কাছে সকল তরুণকেই "guilty" মনে হয়।পুংখানুপুন্খ বিচারের পর এক সিদ্ধান্তে আসে তারা। দেখতে পারন এই ছবিটাও।ছবির প্রথমে বিচারকের জুরিদের দায়িত্ব ও তার গরুত্ব বোঝাতে একটি খুব সুন্দর কথা আছে:
"One man is dead another man's life is at stake.
3.Saving private ryan

যথারীতি আমেরিকা ও তার সেনাবিহিনীর গুণকির্তন মুলক ছবি।কাহিনীও চলে।কাহিনী এমন যে আমেরিকার এক পরিবার রায়ান পরিবারের চার ছেলেই ২য় বিশ্বযুদ্ধে চলে যায়।কিন্তু তাদের মাঝে ৩ জন মারা যায়।রায়ানদের মা তার তিন ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পাবে একই দিনে।জানা যায় চতুর্থ ভাই জেমস রায়ান বেঁচে আছে। তাই নির্দেশ আসে যেকোন উপায়ে তাকে খুঁজে দেশে ফেরত পাঠানোর।দায়িত্ব দেয়া হয় ক্যাপ্টেন মিলারের(টম হ্যাংকস) নেতৃত্বে একটিছোট দলকে।তারা খুঁজতে থাকে প্রাইভেট রায়ানকে...।
ছবির শেষ হয় বৃদ্ধ রায়ানের ক্যাপ্টেন মিলারের কবরে ফুল দেয়ার মাঝে।তবে ছবিটার কিছু অসাধারণ ও মর্মান্তিক দৃশ্য আছে।গুলীতে গ্রেনেডে ক্ষতবিক্ষত এক সেনা আর্তনাদ করছে তার মায়ের জন্য।কোন যুদ্ধের ভয়াবহতা এই এক দৃশেই বোঝা যায়।তারপরও যুদ্ধ হয় মনুষ মারে ও মরে , কিন্তু যারা এই যুদ্ধের নির্মাতা তাদের কিছুই হয়না। তাই ব্লগার আফরোজা সোমার একটি লাইন ধার করতেই হয়:
অভিমান নিও না যুবক,
কানে কানে একবার
তোমাদের বুলফাইটের ষাঁড়টিকে
জিজ্ঞেস করে দেখো-
অনর্থ বিরোধ বাঁধিয়ে
রাজারা কেমন আনন্দ পায়-
ছবিটাও দেখতে পারেন , এই সপ্তাহে চলছে আমাদের সেমিস্টার মধ্যবর্তী ছুটি।আমার শেষ সেমিস্টারের শেষ ছুটি।তাই আরো দেখব । কোন মুভিসাজেশন থাকলে জানায়েন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৩৬