খুব আয়েশ করেই খায়েশ করে পায়েশ খাইয়ে মজিদ বিয়ে করলো। সুন্দরী, রুপবতি বউ।
প্রতি রাতেই মজিদ বউয়ের সাথে তার বীরত্ব করে মানে বীরত্বের গল্প বলে। সারাদিনের বাহাদুরি জেনানাকে জানান দেয়।
একদিন সকাল বেলা মজিদ কাজে যাওয়ার জন্য নিজের বাহাদুরি পোষাক পরে প্রস্তুত হলে,এবেলা বউও মজীদের সঙগী হলো।
মজীদ কাজের জায়গায় হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। জামাইয়ের বীরত্ব দেখেতো বউ বেজায় খুশি।
এমন সময় রেল ক্রসিং এ একটা গাড়ি এসে থামলে মজিদমিয়া রেল ক্রসিঙের দায়িত্ববান গার্ড হিসাবে রেলক্রসিংয়ের গেইট লক করে দিলো তার বীরত্বের বড়লাঠি নামিয়ে। গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওপারে সব গাড়ী আটকা পড়েছে।
কিন্তু ঘটনা কি!! অন্য পাশ থেকেতো কোনো ট্রেন আসছেনা।
আটকা পড়া গাড়ীর লাইন লম্বা হচ্ছে। মজিদমিয়া বেজায় খুশি। বউও আরো ডাবল বেশী খুশি। বাহ! নিজের জামাইয়ের কী অপরিসীম ক্ষমতা।
ঠিক এমন সময়-একটা লোক মজিদমিয়ার রুমে ঢুকে দিলো মজিদ মিয়াকে জোড়ে এক থাপ্পড়।
থাপ্পড় খেয়ে মজিদমিয়া তাড়াতাড়ি করে রেলক্রসিংএর গেট খুলে দিলো। আর লোকটি হনহন করে গাড়িতে ওঠে গাড়ি চালিয়ে চলে গেলো।
মজিদ মিয়ার বউতো পুরাই অবাক। ঘটনা কি হলো?
জামাইকে বললো- কিছুইতো বুঝলাম না। এটা কি হলো?
মজিদমিয়া বললো- ঘটনা আর কিছুই নাগো বিবি।
আমার ক্ষমতা আমি দেখালাম লোক না চিনে ক্রসিংএর গেট বন্ধ করে গাড়ী আটকে দিয়ে। আর লোকটি উনার ক্ষমতা দেখালো আমার গালে চড় মেরে।
আমার ক্ষমতা আমি দেখালাম আর উনার ক্ষমতা উনি দেখালেন।
সমান সমান।
দরবেশ বাবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সরকার তার ক্ষমতা দেখালো আবার ৩০ মিনিটের মধ্যে তা প্রত্যাহার করা হলো মানে,দরবেশ বাবা উনার ক্ষমতা দেখালেন। আর মাঝখানে গোলাম মাওলারনি সরকারের ক্ষমতা দেখে বউ হিসাবে একটু খুশী হলেন। আর আমরা আম জনতাতো খানিক এ দিক থেকে আবার খানিক ঐ দিকে দমকা দামকি আর হুমকি হামকিই খেলাম।
রঙে ভরা বঙগ দেশের এমন ঢঙ দেখলে এর চেয়ে ভালো কৌতুক আর মনে পড়েনা।