এটিএন ইয়াং নাইটে দূধর্ষ ব্লগার হ্যাডম।
উপস্থাপক: কেমন আছেন
হ্যাডম: কেমনে ভালো থাকি, রাইত ১২ টা বাজে এইসব বিটলামির মানে আছে ? ওই দিকে বউ লইয়া ঝামেলায় আছি। কহন কি যে করে...... বাই দ্যা ওয়ে, রেকর্ডিং কি চলতেছে ?
উপস্থাপক: না, এই তো শুরু হবে ।
হ্যাডম: আরে কন তো কি জ্বালা, এই রাইতে কেউ ইয়াং নাইট করে ? ইয়াং পুলাপান বিজি থাকে এই টাইমে । আগের দিন আছে? গার্লফ্রেন্ড এর লগে কথা, নেটের ইম্পর্টেন্ট "জিনিষ" পত্র..কত কি। প্যথেটিক টাইম চুজ করছেন।
উপস্থাপক: আসলে আইডিয়া টা আমার না.....
হ্যাডম: কার, মাহফুজের নাকি ? হালায় নিজে জাগনা ?
উপস্থাক: জ্বী না, স্যার সকালে ইভা ম্যাডামের সাথে গলা সাধেন তো, তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন।
হ্যাডম: গলা সাধার পর ও এই অবস্থা, কেমনে কি ? যাই হোক তাড়াতাড়ি শুরু করেন।
উপস্থাপক: এইতো আর কয়েক টা মিনিট....
হ্যাডম: চেয়ার গুলাও তো সুবিধার না, সোফা কাউচ টাউচ না থাকলে আড্ডা জমে ? কি চেয়ার দিছেন মনে হইতেছে বাশের চোঙ্গার ওপর হো* দিয়া বইসা আছি।
উপস্থাপক: বাজেটের একটু.....
হ্যাডম: বাজেট ব্যাপার নাকি মিয়া ? যান একটু চা টা আনান।
উপস্থাপক ক্রু মেম্বার একজন রে ডেকে আস্তে করে জিজ্ঞাসা করেন,
উপস্থাপক: কারে আনছোস আহাম্মক, কি কয় এগুলা ।
ক্রু: আমি কি জানি বস, তবে শুনছি চরম ক্রিয়েটিভ, মাথা একটু বিলা।
উপস্থাপক: ক্যামেরার সামনে এগুলা কইলে তো...... চা আন যা।
অনুষ্ঠান শুরু
উপস্থাপক: আপনাকে স্বাগতম আমাদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য, আপনার ব্লগ নিয়ে অনেক শুনেছি । কিন্তু আপনার এই বিচিত্র নাম কেন ?
হ্যাডম: বিচিত্রের কিছু নাই, আমি কাউরে পুছি না । দ্যাটস মাই হ্যাডম ।
উপস্থাপক: আপনার ব্লগ হিট হয় প্রচুর, এ জন্য কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু কে কি আপনি ক্রেডিট দেবেন?
হ্যাডম: আপনে ব্যাপার টা ধরতে পারেন নাই, বিষয়বস্তুর তেমন কোন প্রয়োজন নাই ।
উপস্থাপক: তাহলে ?!!!
হ্যাডম: দরকার হলো হেডলাইন। যেমম আমি একটা ব্লগ লিখলাম " হুদা মুতে ধরে" । সেইরকম হিট একটা ব্লগ, কিন্তু বিষয়বস্তু কি জানেন ? ডায়বেটিস। অল্পের লাইগা স্টিকি হয় নাই।
উপস্থাপক: চমৎকার উদ্ভাবনী শক্তি আপনার, যদিও শিরোনাম টা একটু স্পর্শকাতর।
হ্যাডম: শুধু শিরোনাম ? জায়গা টাও তো স্পর্শকাতর ।
উপস্থাপক: কোন যায়গা টা ?
হ্যাডম: আরে নীচের....
উপস্থাপক: থাক থাক বুঝতে পারছি....ব্লগে নাকি অনেক গ্রুপিং হয় । একটু যদি আলোকপাত করেন.....
হ্যাডম: এক এক কইরা আসি-
নাস্তিক গ্রুপ প্রমান করতে ব্যাস্ত ঈশ্বর নাই । পাবলিক ধুমাইয়া গালি দিতেছে। তারাও ধুমাইয়া পোষ্ট দিতেছে । কে যে কি করতেছে, তারাও জানে না ।
আস্তিক গ্রুপ ইন্টারেস্টিং, তারা যে পরিমান শ্রম নাস্তিক গো পিছনে দিতাছে তা যদি ধর্ম কর্মে দিতে, এতো দিনে বেহেশতের ডাক আইসা পড়তো । তারা মসজিদ মন্দিরের তিকা ব্লগ আর ফেসবুকে বেশী থাকে।
আর ছাগু দের নিয়া কিছু বলার নাই । গুনীজনে রা ছাগু বলে গেছেন, আমার মতে তারা পাঠা। আন-সারকামসাইজড। এই সব ভার্চুয়াল গেলমানে পুরা দেশ ভইরা গেল।
আওয়ামীলীগ বিম্পি নিয়া কিছু বলার নাই । ওরা মুড়ি খাক। আর একে অপরে **** ছিড়ুক।
বোবা ব্লগার রাও চমৎকার। তাগো দেখরে ফিলিংস আসতে পারে তাগো কিছুই বলার নাই। তাগো বাসায় সকালে একটা ককটেল মাইরা আসেন, রাইতে দেখবেন ককটেল এর কার্যপ্রনালী নিয়া একটা পোষ্ট দিছে। তাও হ্যাডা সরি বুকের পাডা লইয়া একটু শব্দ করবো না।
সুড়সুড়ি ব্লগার ওরফে চটি ব্লগার। সব কিছুতেই ১৮+ ট্যাগ দিবে । আমার মনে হয় এদের যদি নিজের বায়ডাটা লিখতে দেয়া হয়, বাপের নাম লেইখা ব্রাকেটে ১৮+ ট্যাগ দিবে। আবাল জনগোষ্ঠি।
চুলকানী গ্রুপ ও আছে। তাগো খালি খাউজায়। সব পোষ্টেই তাগো বিতৃষ্ণা। এগো চুলকানীর জায়গায় ব্লিচিং পাউডার মারা উচিৎ।
সবচেয়ে ভয়ংকর হইতেছে সুশীল গ্রুপ। এদের আরেক নাম ডিগবাজী গ্রুপ হইতে পারে । তারা বোধহয় লালন ভক্ত।
উপস্থাপক: লালন কেন ?
হ্যাডম: লালন বলছে, আপন ভজন কথা, না বলিবে যথা তথা । অর্থ্যাৎ চিকনে পল্টি মারো ।
উপস্থাপক: তারমানে ব্লগে ভালো পোষ্ট আসে না?
হ্যাডম: (সামনের দিকে আগাইয়া) আমারে চউক্ষে পড়ে না রে মমিন ?!!
উপস্থাপক: জ্বী , আমার নাম আনিস। যাই হোক, আপনাকে নিয়ে অনেক গুঞ্জন আছে বাংলা ব্লগে, আপনি বহু নিকের অধিকারী, আপনার.....
হ্যাডম: এগুলা সোনার ষড়যন্ত্র।
উপস্থাপক: কার !!!???
হ্যাডম: আরে সোনাব্লগ। আরে মিয়া উপস্থাপনা করতে আইছেন, একটু স্টাডি তো করবেন ব্লগ নিয়া
উপস্থাপক: ও সোনারবাংলাব্লগ।
হ্যাডম: এই সোনাতেই খাইলো ইয়াং জেনেরেশন রে ।
উপস্থাপক: সাথে ব্লগ টা বলবেন প্লিজ,নাইরে রং ইন্টারপ্রিটেশন হবে।
উপস্থাপক: একটা কল নিয়ে নেই, জ্বী আপনার নাম টা বলুন।
কলার : আমি রিপন। ভাইয়ের বাসা থেকে বলছি, ভাবি আপনেরে তাড়াতাড়ি যাইতে বলছে।
হ্যাডম: রিপন, তুই এতো রাইতে আমার বাসায় কি করছ ?????
কলার: ভাবির শরীর টা ম্যাজ ম্যাজ করতেছে, তাই ভাবলাম দেখাশুনার একটা ব্যাপার আছে....
হ্যাডম: কস কি মমিন.....!!! ( আকাশ থিকা পড়ার ভাব)
উপস্থাপক: কল টা কেটে গেছে।
হ্যাডম: এই চোঙ্গার ওপর আর কতক্ষন ? ওই দিকে ব্যাচেলর পোলাপানে ঘর তামা তামা কইরা দিল
উপস্থাপক: আমরা শেষের পথে । বাংলা ব্লগের ভবিষ্যৎ নিয়ে যদি কিছু বলতেন ।
হ্যাডম: খারাপ, অহন সবাই ব্লগার । ফেসবুকের মতো স্টাটাস দেয়। জিনিষপত্র বেচা কেনা হয় । মাঝে মধ্যে মনে হয় আইডিবি ভবনে নাইলে কাওরান বাজার আইসা পড়ছি । ব্যান হইছে একজন, আরেকজন ওইটা লইয়া হাউকাউ শুরু করে । কেমনে কি......
উপস্থাপক: শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাডম: এইটা কোন ব্যাপার না । ভালো থাকিস মমিন।
উপস্থাপক: আমার নাম আনিস.... যাই হোক বিদায়।
অনুষ্ঠান শেষ ক্যামেরা অফ।
হ্যাডম: অনুষ্ঠানের বাজেট বাড়ান মিয়া । কফির মগ রাখেন, চা টা খাওনের দরকার তো । পানিরও ব্যাবস্থা নাই । হায়াৎ মউত আল্লার হাতে, মরার সময় তো কেউ এই স্টুডিওতে পানিও পাইবেন না।
উপস্থাপক: চেষ্টা চলছে।
হ্যাডম:ভিডিও পামু তো?
উপস্থাপক: কিছু অংশ বাদ পড়তে পারে স্যার....
হ্যাডম: ওকে। আর চেয়ার মাস্ট বদলান । চোঙ্গার উপর বইয়া থাইকা আমার পাইলস রোগের ফিলিংস আসতেছে । চোঙ্গার আইডিয়া টা যার, তার নাম মেইল করবেন অবশ্যই।
উপস্থাপক: কেন স্যার ?
হ্যাডম: চোঙ্গা ওর...পিপ পিপ পিপ পিপ............ মাথা গরম আছে
বি:দ্র: হ্যাডম চরিত্র টি কাল্পনিক।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:১১