আমি বলতে গেলে সেদিনের ছেলে, বলা যেতে পারে নাক টিপলে দুধ পড়ে । দেশের অতীতের বড় কোন আন্দোলন আমি দেখি নি । সেগুলোর মর্মও হয়তো সেভাবে বুঝি না । কিন্তু ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে যা কিছু চলছে সেগুলো আপনাদের কাছে প্রকাশ করতে চাই, আপনাদের জানাতে চাই ।
বর্তমান সময়ে আমরা অধিকাংশই হয়তো লক্ষ্য করেছেন যেখানেই যাবেন ছোট ছোট শিশু-কিশোরের মুখে ঠাট্টার চলে উচ্চারিত হয় "জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু" , যা আমার কাছে খুবই অপমানজনক মনে হয়। আজ এগুলো শুধুমাত্র মুখের বুলি বা বলা যেতে পারে যে কিছু মানুষের মুদ্রাদোষে পরিনত হয়েছে । কিন্তু যা বলেছে তার অর্থ, মর্ম, গুরুত্ব ও তাৎপর্য তারা বোঝে না, বোঝার চেষ্টা করে না বা বোঝার মত ক্ষমতা তারা রাখে কি না সেই ব্যাপারে সন্দিহান হওয়ার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে । আজ ছাত্রলীগের কর্মীরা মদ-গাজা খাওয়ার সময়েও "জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু" বলে ।
অতীতের আন্দোলনগুলো সম্পর্কে বইতে পড়েছি এবং সেগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি, মূলত এখনো করে চলছি । কারন ইতিহাস সঠিকভাবে অধ্যয়ন এবং বুঝতে না পারলে আদর্শ রাজনীতি কাকে বলে সেটাও বোঝা কঠিন হয়ে পরবে । তাই আমি দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি ।
ফিরে আসি প্রসঙ্গে । কথা প্রসঙ্গে চলে আসে ছাত্রলীগ । এই ছাত্রসংগঠনটির রয়েছে একটি সুদীর্ঘ সোনালি অতীত । দেশের বড় বড় আন্দোলনে তারা সম্মুখে নেতৃত্ব দিয়েছে যা অনস্বীকার্য । আমি আমার অন্তরের মর্মস্থল হতে সেই সকল আদর্শ বিপ্লবী নেতাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করি । তবে এযুগের ছাত্রলীগ নতুন দীক্ষায় দিক্ষিত নতুন এক ছাত্রসংগঠন । দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বর্তমানের ছাত্রলীগের প্রতি আমার ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই, যেটা আছে সেতা হল ঘৃণা । কারন আমি সত্যি তাদের প্রচণ্ড ঘৃণা করি । তাদের মধ্যে হয়তো কিছু ভাল নেতা আছেন তবে সেটা ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
আওয়ামীলীগেরও একই অবস্থা । আওয়ামীলীগ বা ছাত্রলীগ আজ জনমানুষের মনে শুধু ক্ষোভ আর হতাশাই জন্ম দিয়েছে ।
এখন আমি যা বলতে চেয়েছি সেটা সংক্ষেপে হল এরকম যে, শ্লোগান দিলেই নেতা বা রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না আর জাতি আজ জানে আপনাদের শ্লোগান দেয়ার পেছনে রসদ হিসেবে কাজ করছে টাকা । আপনারা নিজেরাই নিজেদের শ্লোগানের মর্যাদা নষ্ট করেছেন।
যারা কষ্ট আমার এই লেখাটা পড়েছেন তাদের ধন্যবাদ । আর একটাই অনুরোধ যে নিজে জেগে উঠুন আর অন্যদেরও জাগান ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৩