somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেমন্তের শেষ বিকেলের আলোয় যে জীবন হারিয়ে গেছে

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঠিক এই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে বেঁচে থাকা আমার জন্য ভীষণ কঠিন। এত শূন্যতা, এত হাহাকার, চারদিকের এত আয়োজন সব মনে হচ্ছে বিষাদের আরেক নাম। ডিসেম্বর মানেই আমার জন্য কিছু কঠিন দিন। এতটা কষ্ট কেন হয় আমি জানি না। একটাই ইচ্ছে জাগে, i wanna breathe. হেমন্তের শেষ বিকেলের আলোয় মাঠভর্তি পাকা ধান পেছনে ফেলে যেতে যেতে আজ থেকে সাত বছর আগে আমি একরাশ হতাশা নিয়ে ভাবছিলাম, আমার আর বোধহয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হল না। ঠিক সাত বছর পর হেমন্তের শেষ বিকেলের হলদেটে আলোয় দ্বিগুন হতাশা নিয়ে খামে ভরা একটা কাগজ নিয়ে আমি ফিরছি। এতটা শূন্য, রিক্ত মনে হচ্ছিল।

একটা মেয়ের জীবনে নিজের বলতে কী কী হয় আমার জানা নেই। ব্যাপারটা আপেক্ষিক ধরে নিয়েছি। আমার নিজের বলতে কিছু যদি পাওয়া হয় সেটা রুম নং ৪৩৬। এর চেয়ে আপন আমার আর কিছুই হয়নি। এত শান্তি একজীবনে আর কখনো পাবো কিনা জানিনা। আট ওয়াটের টেবিল ল্যাম্পটা খুলতে গিয়ে মনে হচ্ছিল, আমার এত এত রাত জাগা ; অশ্রুবিসর্জন ; সমস্ত ভালোবাসা নিয়ে কারো জন্য অপেক্ষা ; সিজদাহ্ অবনত হওয়া ; আমার সমস্ত গোপনীয়তার নির্বাক দর্শক। এত কাছ থেকে কেউ আমাকে জানে না। এই জায়গাটা আর কোনোদিন আমার হবে না এটা ভাবতেই মনে হয় দমবন্ধ হয়ে আসে।

তারপর সমস্ত শূন্যতা আমায় চেপে ধরে। জীবন এমন কেন? একবার মনে হচ্ছিল সমস্ত ডায়েরি পোড়ায় ফেলি। এত ভার আমি নিতে পারবো না। কিন্ত, এটুকু ছাড়া আমার আর আছেই বা কি! হয়তোবা, কখনো পথ চলতে গিয়ে এই স্মৃতিটুকু কঠিন দুঃখ দিয়ে হলে ও বাঁচিয়ে রাখবে আমাকে। প্রার্থনা আর প্রেমে শরীক রাখতে নেই। তবু ও আমার কিছুই পাওয়া হল না।

হেমন্তের শেষ বিকেলের আলোয় জীবনের সমস্ত না পাওয়া লিপিবদ্ধ হয় অন্য কোনো পাতায়। সেই বিবর্ণ পাতা ধারণ করে এক বুক বিষণ্ণতা। যা কখনো ছুঁয়ে দেখা হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৩
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×