আমাদের কোন "কফি হাউস" ছিল না।
আমরা শফিকুলের টং চায়ের দোকানে
তিনটা চা পাঁচটা করে পাইলট খেতাম।
রতনের মুখেই আমরা
প্রথম কফির গল্প শুনেছিলাম!
সে বলেছিল
ও জিনিষ খেতে পোড়া,পোড়া লাগে
আর স্বাদটা বিটকেলে।
তাই শুনে
শফিকুল বলেছিল
"তাহলে পুড়ে গিয়েছিল বুঝি"!
হাসতে হাসতে সে দিনের আড্ডা
শেষ হয়েছিল।
কত রাজা উজির মেরে মধ্য রাতে
বাড়ী ফিরতাম।
বেনসন তখন আমাদের কাছে
স্বপ্ন ছোঁয়ার মত
সস্তা ব্রিষ্টল সিগেরেটে
নিজেকে ম্যাকগাইভার মনে করতাম।
"চে গুয়েভারা" তখনও স্টাইল আইকন হয়ে উঠেনি
রীতিমত বিপ্লবী।
আলম বলেছিল
লাল পতাকারা এদিকেও আসছে।
আমি বলেছিলাম "সিরাজ শিকদার" নয় "চে গুয়েভারা।
ও বলেছিল একই ব্রান্ড আলাদা প্রোডাক্ট।
কি ছিল না!
সেই আড্ডায়,
মাধুরী দীক্ষিত থেকে অক্ষয়।
আমজাদ খানের "শোলে"
"বেদের মেয়ে জোৎস্না"
থেকে পাড়ার মেয়ে সখিনা।
আমাদের সুজনতো "সুজন সখি"
দেখেই এখন চার সন্তানের গর্বিত পিতা।
সেদিন শুনেছি শফিকুলের ছেলে নাকি ওখানেই
"কফি হাউস" বানাবে।
আমি হয়তো আমার খোকার
মুখেই আড্ডার গল্পটা শুনব।
(রিপোস্ট)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭