তখনও ঈশ্বর তোমাকে গড়েনি
এদোন উদ্দ্যানে আমি ছিলাম একা।
কিন্তু নিঃসঙ্গ ছিলাম না
তবুও আমি ছিলাম ভীষণ রকম বোকা ।
কখন যে বুকের একটা বাঁ পাঁজর হারিয়ে গেল
আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না
যেমন বুঝিনি আমি তোমার জন্ম লীলা
ঈশ্বর কি দিয়ে গড়লেন তোমাকে মাটি নাকি শিলা!
সেদিন সেন্ট জোসেফের গীর্জায়
সেই লক্ষ,কোটি বছর আগে
হারিয়ে যাওয়া পাঁজর খানা খুঁজেছিলাম!
এখনও গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়
বুকের বা পাশে
শুন্যতা বিরাজ করে,রয়েছে খানিকটা ফাঁকা
অথচ ঈশ্বর জানে আমি ছিলাম কতটা বোকা।
সমাধিতে অথবা সর্মপিত দিনে প্রার্থনায় খুঁজি তারে
কিভাবে হারিয়ে গেল কেমন করে!
কেন এমন হয়ে গেল হায় ঈশ্বর!
পবিত্র বইয়ে তা কেন বলোনি
অনেক দিন খুজেছি তারে হাজার বছরের দিবস রজনী।
স্বর্গের দেয়ালে অথবা এদোন উদ্দ্যানে
লেখা আছে আমাদের ভালোবাসা ছিল এক জীবনে।
আমিতো খেতে চাইনি জ্ঞান বৃক্ষের ফল
কেন ঈশ্বর তবুও আমার চোখে নামে বর্ষার জল?
কি এক সর্বনাশা কালে অথবা অকালে
আমি এখন ভীষন একা
প্রতিটি সকাল দুপুর বিকেলে।
অথচ আমি নিঃসঙ্গ ছিলাম না
আমার একটা পৃথিবীসম স্বর্গ ছিল
ঘুমের ঘোরে কে কেড়ে নিল!
হায় ঈশ্বর! আমি কত বড় বোকা
প্রথম জন্ম থেকে হয়ে গেলাম একা!
(দ্রষ্টব্যঃকবিতাটি আমি এই ব্লগে কল্লোল আবেদীন নিকে লিখেছিলাম)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯