সেদিন এক বন্ধু ফোন দিল, দোস্ত প্রাইমারি পাসতো দিলাম। এখন কোন স্কুলে ভর্তি হই ক'তো।
তোর কি আক্কল বলতে কিছুই নেই? রাত দেড়টায় ফোন দিয়ে জিগাস কোন স্কুলে ভর্তি হবি? ফোন রাখ।

পরদিন আমি রাত তিনটায়


পরদিন তিন জন মিলে খুজতে বেরুলাম নতুন স্কুল । দোস্ত আমার তেদরের তেদর, পুরান স্কুলে ভর্তি হবেনা। নতুন স্কুল চাই তার। নতুন নতুন স্কুলে নাকি ম্যাডাম থাকে ইয়াং

দোস্ত কুইন্না মাইরা বলে বেক্কল এটাতো প্রাইমারী।

ভর্তি হলাম , বছর ঘুরে পরীক্ষাও হাজির। ওমা পরীক্ষায় দেখি রচনা আসছে "প্রিয় সামু" , গজব, আমিতো এইডা পড়িনাই


রচনা হাতে পাইয়া আল্লাহর নাম নিয়ে লিখা শুরু করলাম।
ভুমিকা:
সামু "সামহোয়ারইনব্লগ" এর শর্টকাট। ভকতরা নাম বাড়ানোর কথা দুরে থাক কেটে কুটে শর্ট করে দিছে। সামুতে কি নেই? সব আছে, গল্প, কবিতা, রম্য, ফটো, ইতিহাস, রাজনীতি, রান্না বান্না, খেলাধুলা, গালাগালি, মারামারি থেকে শুরু সব প্রেম পিরিতিরও সুবর্ণ সুযোগ সুবিধা আছে। তাইতো লুলদের জন্য সামু একটা হার্ডখোড় প্লাটফর্ম।

সামুর সৃষ্টি:
একদিন জানাপু দুপুর বেলা ভাত ঘুমে


সেদিন তামার মিনিং খুঁজিতে গিয়া আরিল্ড ভাই চৌদ্দ ডিকশনারি তামা তামা করিয়াও তামার মিনিং খুজিয়া পাইলোনা।

সামুর নাম করণ:
স্বপ্নের নেট বাবার ইশারায় জানাপু একখান ব্লগ খুলিবে মনস্থির করিয়াই ফেলিল। হাজার হউক, জানুর জীবন তামা হইতে দিতে পারেনা। কি নামে ব্লগ খুলিবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়িয়া গেল। দুঃশ্চিন্তার অবসান হইল আরেকদিন সন্ধ্যার ঝিমানিতে। :-< যাক বাবা এই একটা বদাভ্যাস কাজেই আসিল শেষ মেষ। সন্ধ্যায় চোখ লাগিয়া আসিল মাত্র হঠাৎ ব্লগ বাবা হাজির স্বপ্নে। কন্যে ব্লগের নাম দিবি সামহোয়ারইন ব্লগ। নাম পেয়েই খুশিতে চিল্লায়া উঠে জানাপু। জানাপুকে আচমকা চিল্লাতে দেখে আরিল্ড ভাই বলেন, হুয়াট হেপেন জানু? জানাপু বলে, আঁই গট, আঁই গট। আরিল্ড ভাই বলে কি গট কি গট?

সামুর স্থান:
নাম পাওয়ার পর এবার একটা অফিস তো দরকার। এইটাতো আর ঘুমে পাওয়া হবেনা, তাই হুড় মুড় করে বোরকা পড়ে দৌড় লাগালেন গুলশানে , আরিল্ড ভাই চিল্লায়, জানু চটিটাতো পইড়া যাও। জানু মানে জানা আপায় বলে এখন চটি পড়ার সময় নেই। আরিল্ড ভাই বলে, জানু সোনা খালি পায়ে গেলেতো পায়ে ফোস্কা পড়বে, ওয়েদার যা হট। রাস্তা ইজ কুল নট

সামুর মডু
সামুর স্কুলের শিক্ষক। ডাক নাম মডু, সমার্থক গন্ডারের চামড়া। স্কুলের বান্দর কিছিমের ভদ্র নম্র ছাত্ররা এত জ্বালান জালায় এই মডুদের তাতে বিন্দু মাত্র নারাজগী নেই। তাদের সহ্য ক্ষমতার প্রসংসা না করলে তাদের আসলত্ব বুঝা দুস্কর ঠেকবে। কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা, নাটক করা, ছবি আকাঁ আর রাজনীতি নিয়ে ছাত্রদের যারপরনাই কাদা ছুড়াছুড়ির সব কাদাই খুব ঠান্ডা মাথায় উনারা গায়ে মেখে নেন ফারফিউম মনে করে। উনাদের হজম ক্ষমতা সিরাম।শুনেছি সামুতে এখন নতুন মডু আসছে। আমিও মডু হইতাম চাই

স্কুলের ছাত্ররা
ছাত্রদের মধ্যে কয়েকটা শ্রেণী আছে। যেমন কবি, গল্পকার, রম্যকার, ফটোগ্রাফার। আরো আছে লুল, ছাইয়া ও মাল্টি। দু'একজনতো আছেন সব গুনেই গুনান্বিত। এই স্কুলের ছাত্ররা যারপরনাই ভাল, শান্ত, ভদ্র, নম্র। বিটলামী কি জিনিস, লুলামী কি জিনিস, গালাগালি কি তারা তা কিছুইই জানেনা বল্লে ভুল হবে


সামুর উপকারীতা:
কি আর কমু সামুর উপকারীতা নিয়ে। কি কাজে আসেনাই সামু? রাত নাই ঘুম নাই, খেলা ধুলা নেই, পড়া লেখা নেই, কাজ কর্ম নেই সব ছেড়ে ছুড়ে সামুতেই পড়ে থাকে ছাত্র ছাত্রীরা। আড্ডা দিতে চাইছে, সামু। বিড়ি খাইতে চাইছে? সামু। গান শুনতে চাইছে? সামু। লুলামি করতে ইচ্চা হইছে? সামু। এই সামু না হলে গরম পানি সিদ্ধ করার রেসিপি কেউ জীন্দেগীতেও জানতে পারতনা।জানতে পারতনা কম্পিউটার কি জিনিস । এই সামু না হলে চ্যাটিংই করতে পারতামনা কারো সাথে, এই ষামূ ণা হলে য়ামড়া ভাংলা বাসাতাও ষিখটে ফাড়থামণা। ব্লগারদের বউয়েরাতো হিন্দী সিরিয়ালের চাইতে এখন সামুর বিনোদনকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।
উপসংহার:
সামু............................
না উপসংহার আর লিখিতে পারিলামনা। প্রিন্সিপাল ম্যাডাম মানে জানাপু চিল্লায়া কয়, ওই মাইনাইচ্চে খাড়া। নিতম্বের নীচে কিরে? আমি লজ্জা আর ভয়ে ভয়ে প্যান্টের বেল্ট খুলে প্যান্ট খুলা আরম্ভ করলাম। এবার হুঙ্কার দিয়ে বলে, ওই তোরে প্যান্ট খুলতে কয় কেডা? নিতম্বের নীচেত্তে নকল বাইর কর।


রাত দুপুরে কান ধরে বিছনার উপর দাড়িয়ে থাকতে দেখে বউ বলে, অই হইছে কি তোমার? এক এক রাতে এক এক পাগলামী শুরু করো, হইছে কি তোমার? রাত দুপুরে ইয়োগা করো? এ্যাঁ?? নীচ দিয়া মশা ঢুকে, মশারী ঠিক কইরা ঘুমাও, যত্তসব

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৫