এ্যাপোলো অভিযানে যখন চাদে যায়, তখন নভোচারীরা চাদের মাঠিতে এই রিফ্লেক্টর রেখে আসে। আর এখন পাওয়ারফুল লেজার লাইটকে এই রিফ্লেক্টর দ্বারা প্রতিফলিত করে, যত সময় লাগে পৃথিবী তে ফিরে আসতে, তা দ্বারা পৃথিবী থেকে চাদের দুরত্ত্ব মাপা হয় একেবারে আনবিক মান অনুসারে (আবার অনেকেই আছেন যে মানুষের চাদে যাওয়া বিশ্বাস করেন না)। এই রিফ্লেক্টর তাদের মুখ বন্ধ করতেই যথেস্ট।
এনিওয়ে বিজ্ঞানীরাএই দুরত্ত্ব মেপে বুঝছেন যে চাদ পৃথিবী থেকে প্রতি বছর ৩ সেমি করে দুরে সরে যাচ্ছে যেটা অনেক প্রাচীন বিজ্ঞানী রা বলে গেছেন (যেমন হ্যালি ~১৬৬৫ সাল)। নিচের ছবিতে লেজার দ্বারা চাদের দুরত্ত্ব মাপা হচ্ছে।
কেন চাদ দুরে সরে যাচ্ছে তা বুঝতে হলে আমাদের জানতে হবে what is Tidal Braking
পৃথিবী তার অক্ষে খুবই দ্রুত ঘুরে (২৪ ঘন্টায়) আর চাদের লাগে ২৯-৩০ দিন পৃথিবী চারদিকে ঘুরতে। এই দ্রুত ঘুরার জন্য চাদের গ্রাভিটি ফোর্স যেটার কারনে জোয়ার/ভাটা ঘটে সেটা Tidal Bulge তৈরী করে। ছবি দুটি দেখুন
চাদের গ্রাভিটি যদিও স্ট্রেইট লাইনে সরাসরি জোয়ার তৈরি করে, কিন্তু পৃথিবীর দ্রুত ঘুর্নন জোয়ার কে চাদের গ্রাভিটি 'লাইনের" থেকে সামনে নিয়ে যায় কিন্তু পৃথিবীর সমুদ্র তলদেশের উচুনীচু ভুমির সাথে ফ্রিকশান এর জন্য পৃথিবীর ঘূর্নন টা স্লো হয়ে যায়। ইন ফ্যাক্ট ৬৪০ মিলিয়ন বছর আগে একদিনে ছিল প্রায় ২২ ঘন্টা (৪০০ দিনে বছর ছিল) আবার কয়েকশ মিলিয়ন বছর পরে একদিনে ২৬ ঘন্টা হবে।
আর এই টাইডাল বাল্জ চাদ কে তার অরবিটে জোরে টান দেয় তাতে তার গতি বৃদ্ধি পেয়ে তার অরবিট থেকে দুরে সরে যাচ্ছে (৩ সেমি: প্রতি বছরে)
বাইবেলে নাকি বলা আছে পৃথিবীর বয়স ৬০০০ বছর কিন্তু বিজ্ঞানী রা বলছে যে ~৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী এবং পরে চাদ তৈরী হয়েছে। বাইবেল 'বিজ্ঞানীরা' রিভার্স এক্সট্রাপ্লোরেশন করে হিসাব করে দেখায় যে ৩ সেমি প্রতি বছর হলে (যেটা তারা জীবনেও জানত না যদি না বিজ্ঞানীরা সেটা ক্যালকুলেট না করত), ১.২ বিলিয়ন (ম্যাক্সিমাম) বছর আগে চাদ আর পৃথিবীর মাঝে কোন দূরত্ত্ব ছিল না..চাদ পৃথিবীর সাথে লেগে ছিল।সুতারাং চাদের বয়স ৪ বিলিয়ন হতে পারে না..তাদের মতে এটা হবে ৬০০০ বছর!!!!!!!!!!!!!!
কিন্তু তারা তো জানে না যে Roche Limit বলে একটা কথা আছে যার মতে (The Roche limit is the minimum distance to which a large satellite can approach its primary body without being torn apart by tidal forces)
চাদ আর পৃথিবী কোনভাবে এক সাথে থাকতে পারবে না..আর তারা চাদ কিভাবে পৃথিবীর সাথে এ্যাস্টোরয়েডের সংঘর্ষে তৈরী হয়েছে তার ক্যালকুলেশন ইগনোর করে যাচ্ছে...আর বাইবেল বিজ্ঞানী রা তাদের ক্যালকুলেশনে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে ৩ সেমি: করে সরে যাচ্ছে এই এজাম্পশান নিয়ে হিসাব করেছেন। ....প্রাচীন পৃথিবীর সাথে এই পৃথিবীর জিয়োগ্রাফি অনেক অনেক ডিফারেন্ট যার জন্য ফ্রিকশান এর পরিমান ও ভিন্ন ছিল সুতারাং ৩ সেমি করে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে হয়ে আসছে যেটা ধরে বাইবেল বিজ্ঞানীরা হিসাব করেছেন সেটা ঠিক না। যখন পৃথিবীর জিয়োগ্রাফি ভিন্ন ছিল, তখন টাইডাল বাল্জ এত বড় হত না, তাই চাদ ও ৩ সেমি করে দুরে সরে যেত না। বর্তমান সময়ে ৩ সেমি করে সরে যাচ্ছে পরে আরো বেড়ে যেতে পারে..
যারা এখনও মনে করেন যে পৃথিবী ৬০০০ বছর পুরানো......তাদের জন্য একটিই জবাব....কার্বন পরমানু মিথ্যা বলে না.....শত সহস্রবার পরীক্ষা করে ও দেখা গিয়েছে কার্বন ডেটিং কিভাবে লক্ষ লক্ষ বছর পুরানো বস্তুর বয়স কে সনাক্ত করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮