২০১০ সনে যখন ক্রেইগ ভেন্টার এর গ্রুপ একটা ব্যাক্টেরিয়ার জিনোম (ক্রোমোজম যেখানে সব ডিএনএ থাকে) কে ল্যাবে তৈরী করে সেটা একটা ব্যাক্টিরিয়ার 'খোলস' কোষে প্রবেশ করিয়ে দেখান যে ল্যাবে তৈরী করা জিনোম যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সেই ডিজাইন অনুযায়ী 'কৃত্রিম' ব্যাক্টিরিয়া কাজ করা আরম্ভ করছে, তখন ই পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা নড়ে-চড়ে বসেন। কেননা জিনোমই হল সকল প্রানের ব্লু-প্রিন্ট। আপনার যে জীবন সেটা শুধুই সম্ভব হয়েছে আপনার বাবার কাছ থেকে হাফ আর মায়ের কাছ থেকে আরেক হাফ 'জিনোম' পাওয়ার মাধ্যমেই। এখন যদি এই জিনোম ল্যাবে বানিয়ে কোন ভ্রুনের মাঝের অরিজিনাল জিনোম বের করে ল্যাবে তৈরী করা জিনোম প্রতিস্হাপন করা হয়, তাহলে ই 'ডিজাইনার' মানুষ তৈরী করা সম্ভব হয়ে উঠবে। কিন্তু ব্যাক্টেরিয়াতে করা যত সহজেই সম্ভব সেটা কোন eukaryotic organism- যে গ্রুপ এর মাঝে আছে মানুষ থেকে আরম্ভ করে এককোষী ছত্রাক ইস্ট (যেটা পাউরুটি তৈরী তে ইউজ হয়- উপরের ছবিটা), সেখানে সিনথেটিক জিনোম বানানো এখনও সম্ভব ছিল না (প্রচুর complexity).
গত সপ্তাহে এক সাথে ৭ টা রির্সাচ পেপার বিশ্বখ্যাত সাইন্স জার্নালে প্রকাশ হল যেখানে দেখানো হল এই প্রথম ইস্টের এর জিনোম যেটা ১৬ টা ক্রোমোজম নিয়ে গঠিত, তার মাঝে কৃত্রিম ৭ টা ক্রোমোজম ল্যাবে তৈরী করে ইস্টে (yeast) সফল ভাবে প্রতিস্হাপন করা হয়েছে। তার মানে কৃত্রিম ৭টা ক্রোমোজম ই নেচারাল ভাবে কাজ করছে। এই কৃত্রিম ক্রোমোজম কে আরো ইফিসিয়েন্ট ভাবে কাজ করার জন্য ক্রোমোজমের 'অপ্রয়োজনিয়' অংশ কে বাদ দিয়ে ই তৈরী করা হয়েছে.... Very scary indeed.........Now what will hold them up to synthesize human genome to create/design artificial people in the lab say in 50 years......
Below is the coverpage image of the Science Journal on the artificial chromosome
Science Journal Article Link
নিচের ছবিতে দেখানো হচ্ছে কিভাবে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের 'build a genome' course/class এর মাধ্যমে ইস্টের জিনোমের ছোট ছোট টুকরা সিনথেসাইজ করা হয়েছে ২০১৪ সনে। এক বার এই ক্লাশ টাকে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল...।
After Thoughts: কিছুদিন আগে একজনের ব্লগ পোস্টে বিবর্তন বাদ নিয়ে অনেক কথা বলতে হয়েছিল...এনারা কোন প্রমান ছাড়াই বলবে বিজ্ঞান আজ যা বলছে বিবর্তন নিয়ে তা মিথ্যা..উনার যেটা বিশ্বাস করেন সেটাই সত্য..। প্রমান হিসাবে বলেন ...যেহেতু বানর এখনও বিদ্যমান, সেহেতু বানর থেকে মানুষের উৎপত্তি হয় নাই....এই যদি হয় উনাদের জ্ঞান বিবর্তন নিয়ে তাহলে আলোচনা করাই নিস্ফল। মাত্র একজনের বিজ্ঞান আবিস্কার পুরা পৃথিবীর লোকদের বিশ্বাস এর ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল উনি যখন বলেছিল সূর্য না ...পৃথিবীই সূর্যের চারিদিকে ঘুরে। এক জনের বিজ্ঞান ই সব চেন্জ করেছে। এখন কোর্ট টাই পরা ইভানজেলিক্যাল প্রিস্ট রা টিভি তে এসে বলে ও হ এটা তো বাইবেলের এত তম অহিতে প্রতিকী ভাবে বলাই আছে। গ্যালিলিও বলার আগে সে এটা খুজে পায় নাই। আজ আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে, কট্ররবাদীরা স্কুল/কলেজ এর পাঠ্য-পুস্তক থেকে বিবর্তনবাদ তুলে দিতে চাচ্ছে কিন্তু তারাও একদিন বিজ্ঞানের এমন এমন যুগান্তরী আবিস্কারে স্বীকার করতে বাধ্য হবেন বিবর্তনবাদকে। যেমন স্বীকার করতে বাধ্য হতে হয়েছিল রোমান ক্যাথলিক চার্চকে ৩৫০ বছর পরে ১৯৯২ সনে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়ে।
Roman Catholic church admits Galileo was RIGHT
বিজ্ঞান বসে নাই, কিন্তু চার্চের লোকজন কোন কিছুর চর্চা না করেই তার বিশ্বাসকে আকড়ে ধরে আছে
Website of Synthetic yeast
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৩