ব্যাক ডেটেড
ট্রেনের বগিটাতে যে কজন বসা ছিল,সবার হাতে ছিল এন্ড্রয়েড মোবাইল। কেউ কেউ ফেসবুকে সামাজিকতা করছিল, কেউবা গুগল করছিল, কেউ তার প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলছিল, কেউ হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিল। তাই সবার কাছে ব্যাক ডেটেড হয়ে যাবার ভয়ে আমি ব্যাগে রাখা গল্পের বইটা বের করতে পারলাম না।
থিউরি অব ইভলিউশন
আমরা একসময় দু’পায়ে হাটতাম।
আমাদের মধ্যে প্রেম-ভালবাসা, মায়া-মমতা এইসব গুণাবলী ছিল।
তারপর কালের বিবর্তনে একসময় আমাদের ভেতর ঢুকে গেল হিংসা-দ্বেষ। শুরু হল খুনোখুনি, রাহাজানি আর মারামরি।
মনের ভেতর শুরু হল পচন।
তারপর পচন ধরল শরীরে। আমরা হামা দিয়ে চলাফেরা শুরু করলাম। ক্রমশ শারীরিক পরিবর্তন ঘটল সম্পূর্ণ রূপে, এখনকার মতো।
বিজ্ঞানী ইরিশা কিছুক্ষণ থামলেন। তারপর বললেন, আপনাদের সবাইকে আজ আমার এই থিউরি অব ইভলিউশন জানানোর জন্যই আসতে বলেছিলাম। সবাইকে ধন্যবাদ।
ইরিশার বক্তৃতা শেষ হলে মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হায়েনাদল চোখ ভরা ঘৃণা নিয়ে ইরিশার উপর ঝাপিয়ে পড়ল!
ভৌতিক গল্প-১
রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে আবছা আলোয় দেখতে পেলাম পাশে আমার মতোই দেখতে আরেকজন শুয়ে আছে।
ভৌতিক গল্প- ২
পাঁচ বছরের তানজিনা বাবার মোবাইলে মাই টকিং টম খেলবে বলে ঠিক করল। মোবাইল স্ক্রীনে হাসিখুশি টমকে দেখা যাচ্ছে। তানজিনা টমকে জিজ্ঞেস করল, এই, তোর নাম কী? টম কান পেতে কথাটা শুনল। তারপর বলে উঠল, আমার নাম টম।
টাইম মেশিন
বিজ্ঞানী আশরাফ অনেক গবেষনার পর একটা টাইম মেশিন বানালেন। অনেক দিনের শখ তার, তিনি ভবিষ্যতে গিয়ে পৃথিবী দেখবেন। বিজয়ীর হাসি হেসে তিনি টাইম মেশিনে চড়ে ৩০০০ সালে রওনা দিলেন।
৩০০০ সালে পৌছে টাইম মেশিন থেকে নেমে দেখলেন, একটা লোক একটা গাড়িতে উঠছে। লোকটি তাকে দেখে হাত ইশারায় ডাকল। ডেকে বলল, উঠো, গাড়িতে উঠো গাধা। সামনে ভয়াবহ বিপদ নেমে আসছে পৃথিবীতে, জানো না বুঝি?
কী বিপদ? আশরাফ সাহেব জিজ্ঞেস করলেন।
পরিবেশ দূষিত হতে হতে এখন তা প্রায় ধ্বংসের পথে। সকল মানুষ চলে গেছে এখান থেকে। কথা না বাড়িয়ে তুমিও উঠে পড়ো।
কোথায় যাচ্ছেন?
আমি যাবো ২০১৪ সালের বাংলাদেশে। শুনেছি ঐ বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে সাধারন মানুষেরা রাজনীতিবীদদের বিরুদ্ধে একটা বিপ্লব ঘটিয়েছিল। ঐ বিপ্লবটাও দেখা হবে। বেঁচে থাকাও হবে।
বাকিরা কোথায়? আশরাফ সাহেব প্রশ্ন করলেন।
পৃথিবীর সবাই নিজ নিজ পছন্দ মতো পেছনের সময়ে চলে গেছে। উঠো তাড়াতাড়ি।
অধ্যবসায়
গল্প লিখে ফেসবুকে নোট আকারে প্রকাশ করি। কোন লাইক পাই না, কমেন্ট পাই না। তবু আবার লিখি। নোট আকারে ফেসবুকে প্রকাশ করি।