ম্যায় বরিশাইল্যা এবং হাজীর ঘরে পাজি!
বই পড়া ছাড়া আমার নেশা, এডিকশন বলতে তেমন কিছু নাই। সব ধরনের বই ই পড়ি, তবে ইতিহাস ঐতিহ্য নির্ভর বইয়ের প্রতি দুর্বলতা আছে। আমি প্রচুর বই কিনি এবং আরও অনেক বেশ বই গিফট পাই। বেশ কয়েক বছর যাবত ভারতীয় হিন্দিভাষীএক নাগরিক চাকুরির সূত্রে আমাদের দেশের একটা বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজে স্ব পরিবার ঢাকায় অবস্থান করছেন। উল্লেখ্য ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অনেক ইন্ডিয়ান ছাড়াও দুইজন শৃলংকান, দুইজন ইটালিয়ান নাগরিক টেকনিক্যাল এক্সপার্টাইজ হিসাবে পদস্ত কর্মকর্তা। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠাননের একটা প্রোডাক্ট তার ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করে- সেই সূত্রে তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। তার বইয়ের সংগ্রহ ঈর্ষনীয়। আমি বরিশাল অরিজিন জেনে বছর দুই আগে আমার জন্য একটা বই নিয়ে এসেছিলেন। বইয়ে হিন্দি নাম- 'ম্যায় বরিশাইল্যা'! আমি হিন্দি পড়তে পারিনা। হ্যায় ম্যায়, হাম তোম ছাড়া তেমন কোনো হিন্দি ভাষা/শব্দ বুঝিও না। কাজেই 'ম্যায় বরিশাইল্যা' পড়া হয়নি। হিন্দি পড়তে পারিনা বলায়- তিনি বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলেছিলেন... এবং কয়েক মাস পর তার একজন ইন্ডিয়ান স্টাফের মাধ্যমে 'ম্যায় বরিশাইল্যা'র ইংরেজি ভার্সন নাম- ''Me Borisailla'' আনিয়ে দিয়েছেন।
এবার আসা যাক ''Me Borisailla'' বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কেঃ
বাংলাদেশী বংশদ্ভূত ভারতীয় নাগরিক মহুয়া মাজি নামক একজন লেখক ইতিহাসের আলোকে কল্পনাশ্রয়ী উপন্যাস লিখেছেন। 'ম্যায় বরিশাইল্যা' বা 'Me Borisailla'. গত শতাব্দীর চল্লিশ দশক থেকে শুরু করা ঘটনা বিস্তৃত হয়েছে ১৯৯২ সনে বাবরী মসজিদ ভাংগা পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী(!) কল্পিত দাংগা বর্ণনায়। এই উপন্যাসের তথ্যসূত্র দাতা আওয়ামী ভাদা বুদ্ধিজীবী আবদুল মোমেন নামক একজন শিক্ষাবিদ কলামিস্ট। ঢাকাইয়া একটা প্রবাদ আছে, "হাজীর ঘরে পাজি"- একথা লিখেছি কারণ, এই উপন্যাসের তথ্যসূত্র দাতা ভাদা আবদুল এর বাবা ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জিয়াউর রহমান সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক আবুল ফজল। তাঁর মা বিশিষ্ট নারী নেত্রী উমরতুল ফজল।
লেখিকার ঠাকুর দাদা 'ঢাকাইয়া', আর মায়ের দাদা 'বরিশাইল্যা'। উনাদেরই এক বংশধর বডি বিল্ডার কেষ্ট ঘোষ ১৯৬৪ সনে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায় উন্নত জীবনের সন্ধানে। ১৯৭১ সনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন গেরিলা যোদ্ধা হয়ে বিরাট মুক্তিযোদ্ধা বনে যায় এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
আগেই বলেছি, এই উপন্যাসের কাহিনী বিস্তৃত হয়েছে
বিংশ শতাব্দীর চল্লিশ দশক থেকে ১৯৯২ সনে বাবরী মসজিদ ভাংগা পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী(!) কল্পিত দাংগা বর্ণনায়। কিন্তু বিশিষ্ট ভাকু ভারতীয় আবদুল '২০০১ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হাজার হাজার হিন্দু নারী নির্যাতন, হাজার হাজার হিন্দুদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করার' কল্পিত গপ্পো ফেঁদে ম্যাডাম জিয়াকে তুলোধুনো করেছে!