মো বাঙ্গালী.....
এখন ফেইসবুক, ইউটিউবে বানের পানির মতো হুহু করে ভিউয়ার্স বেড়ে যায়- হিরো আলম- মাহফুজুর রহমানের গানে, সুখন নামক মাদকসেবির! গোঁদের উপর বিষফোঁড়া, তার উপর আবার পরীমনি ইস্যূ! কতোটা লেইম হলে, আমরা নিজেদের নগ্ন, ফোঁড়া, দাউদ, তকতকে ঘায়ে ভরা নিতম্বটা বহিঃবিশ্বে প্রকাশ করি।
কেন তারা হিরো আলমের গান টাইমলাইনে শেয়ার করে, কমেন্ট করে। কারন, তারা হিরো আলমের চেয়ে খারাপ অবস্হানে আছে। কেন তারা পরীমনির জন্য লবিং করে? কারণ, তারা পরীমনির চরিত্র ধারণ করে। আসল সমস্যা কোথায়, জানেন? আমাদের মাথায়, মস্তিষ্কে, মননে, চিন্তায়, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও শিক্ষায়। কেন আপনি নজরুল শোনেন না? কেন আপনি রবীন্দ্রনাথ -লালন শোনেন না? কারণ, রবীন্দ্র -নজরুল -লালন বোঝার মতো ঘিলু নেই মাথায়।
অর্থনীতির ভাষায় বলি, "চাহিদা বাড়লে যোগান বাড়ে, চাহিদা কমলে যোগান কমে" চাহিদা ও যোগান ওতপ্রতভাবে জড়িত"। নিজের মানষিক বিকৃতি, অপারগতা ঢেকে রাখার জন্য, হিরো আলম, পরীমনি ও মাহফুজুর রহমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন।
কেন নিজদেশে, বহিঃবিশ্বে নিজের মা, মাতৃভূমিকে, নিজ সাহিত্য, সংস্কৃতিকে ভূলুণ্ঠিত করছেন? একবার ভাবুন। হিরো আলমকে, পরীমনিকে -আমি, আপনি নগ্ন করছি না। নগ্ন করছি আমাদের শিল্প সাহিত্যকে। আজ আমাদের মতোই কিছু বাঙ্গালীনেটিজেনদের জন্যেই বাংলাদেশ হাসির পাত্র।
আসলে জগতের সব মানুষের মধ্যে একশ্রেণীর ব্যর্থ নারী-পুরুষ আছে- যাদের মনে প্রবল বহুগামিতা লালন করে। নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ফ্রি স্টাইল বহুগামিতা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যার জন্য তাদের মনের মধ্যে এক ভিন্নরকম আক্রোশ কাজ করে। কারণ, তাদের চোখে বহুগামিতাই সবচাইতে সুন্দর। এরপর থেকে একক ভালো পুরুষ/নারীর প্রতি চরম রাগ জন্মে থাকে। কিন্তু সভ্যতার খাতিরে তা প্রকাশ করতে পারেনা। কিন্তু সুযোগ এলেই বহুগামিতাকে সমর্থন করে, নষ্টদের সমর্থন করে- যা তারা অন্তরে লালন করে। নষ্টদের সমর্থন করে একধরনের মৈথুনান্দ অনুভব করে।
আমি জীবনানন্দের, লালনসাঁইজীর বাংলাদেশের বাঙ্গালী। বাংলাদেশ হিরো আলম, পরীমনি বা মাহফুজুর রহমানের দেশ নয়। এ দেশ আমার, এ দেশ নজরুলের, বেগম রোকেয়ার, জব্বার, রফিকের বাংলাদেশ। এদেশ শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হকের, শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ। শহীদ জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ।
লেখাটি শেষ করবো বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, গল্পকার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর একটা বাক্য লিখে-
“মানুষের মরণ আমাকে বড় আঘাত করে না, করে মনুষ্যত্বের মরণ দেখিলে”।
(২০২১ সালে লিখেছিলাম)