আমার বাসার সামনের একটা মুদির দোকান থেকে সবসময় সদাইপাতি কেনা হয়। কিছুদিন আগে একটা বড় চনাচুরের প্যাকেট কিনসিলাম, বাসায় এনে প্যাকেট খোলার পর খটকা লাগল, মেয়াদ দেখলাম, ৩০ জুন ২০১২। মেজাজ গেসিল বিলা হইয়া! প্যাকেটটা সযত্নে রেখে দিসিলাম দোকানে নিয়ে যাব বলে। কেন যেন পরে আর মনে ছিল না।
আজ ঘুম থেকে উঠে নিচে নামতেই দেখি একটা মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে আছে বাসার সামনে আর অসংখ্য মানুষের ভীড় রাস্তায়। কাহিনী কি? বাঙালির স্বভাবমতন একটু উঁকি দিলাম ভীরের মধ্যে। জানতে পারলাম, ঐ মুদির দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ সদাই বিক্রি করায় ১০,০০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বলে কি? খুশিতে আমার মাইকেল জ্যাকসনের দু'একটা স্টেপ চলে আসছিল শরীরে তখন, নিজেকে কোন মতে সামলে নিলাম।
যাইহোক, ঢাকা শহরের ফলের দোকানে কখনোই নাকি ভেজালবিরোধী অভিযান হয় না। কারণ সব ফলেই কোন না কোন পর্যায়ের ক্যামিকেল মেশানো থাকে। আমার বাসার সামনের আরেকটি দোকানে জরিমানা করা হল ২০,০০০ টাকা, যে দোকানে নিজস্ব উপায়ে বানানো জুস বিক্রি হয়। বেচারা ফেঁসে গেছে দোকানের বাইরে বড় বড় করে "ক্যামিকেল মুক্ত জুস" লিখে রাখার জন্য। এটা না লিখলে কিছুই হইত না। এরেই বলে আইনের মারপ্যাঁচ!